কিভাবে_রোহিঙ্গাদের_দেশের_অন্তর্ভুক্তিকরণ_এবং_পূর্নবাসন_করা_যায়_তা_নিয়ে_ভাবছে_বিভিন্ন_এনজিও!!
বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মাল্টি ইয়ার গোল তথা দশ বছর মেয়াদী রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চাইছে খোদ ইউরোপীয় বিভিন্ন এনজিও সংগঠন।এমনকি খোদ আমেরিকার নিজের ও এ ব্যপারে সম্মতি আছে বলে শোনা যাচ্ছে।।
এ সকল পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশে ১০ বছর মেয়াদে রোহিঙ্গাদের জন্য যাবতীয় সুরক্ষার তাগিদে অনুদান দেয়ার কথা বলা হচ্ছে।
মহামারীর সময়ে বাংলাদেশে প্রথম প্রান্তিকে তৈরী পোশাক এবং অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাতে ঋণাত্নক প্রবৃদ্ধি হলেও তা এখন ধীরে ধীরে উপরের সারিতে চলে এসেছে।অর্থনীতিতে একটি বড় ধাক্কা গেলেও তা ধীরে ধীরে সামলানোর চেষ্টা চলছে।
সে হিসেবে এ কথা অনস্বীকার্য যে,রোহিঙ্গা সমস্যায় জর্জরিত থেকেও দেশের জনগন এবং প্রবাসীদের ঘামের টাকায় দেশের অর্থনীতি ২০২১ সালের শুরু নাগাদ একটি ব্যালেন্সড পর্যায়ে আসবে।
এত কিছুর মাঝেই ইন্দো-প্যাসিফিক টাস্কফোর্স এ বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া এবং রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে
জোরালো আলোচনার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের হাতে।তারই মধ্যে রোহিঙ্গাদের পূর্নবাসনের পক্ষে এমন অনুযোগ সামনে এলো।
বিদেশী এসব এনজিও গুলোর বড় রকমের ফান্ডের যোগানদাতা হলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ডোনার গোষ্ঠী যারা মুলত রোহিঙ্গা সমস্যাকে দীর্ঘায়িত করবার এক মহাযজ্ঞ নিয়ে মাঠে নেমেছে।
এই পরিকল্পনায় মিয়ানমারের হাত রয়েছে কিনা তা নিয়েও ভাবার যথেষ্ট সুযোগ বিদ্যমান।একই সাথে
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ীকরন এবং বাংলাদেশীদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করবার জন্য এসব এনজিও দের উৎসাহের কারন কারোরই অজানা থাকার কথা নয়।
একটি অর্থ আসার পথ বন্ধ করার ইচ্ছে কারোরই থাকবার কথা না।একই সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শক্ত হাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করাটাও জরুরী।
যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পগুলোতে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এসবের পেছনে পাশের দেশ এবং বহির্বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থা এবং এনজিও গুলোর হাত থাকবার কথাটাকুও উড়িয়ে দেয়া যায়না।
রোহিঙ্গাদের এ কথা বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে যে তারা বাংলাদেশ সরকারের নিকট দায়বদ্ধ এবং এ দেশে থাকতে হলে তাদের সরকারের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এমনকি দেশছাড়া করার ক্ষমতাও যে বাংলাদেশের হাতে রয়েছে তা তাদের স্মরণ করা উচিত।
বেশ আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের লালিত স্বপ্ন হলো বাংলাদেশের পলিটিক্যাল সেক্টরে যুক্ত হওয়া।এবং
এরই মধ্যে নাম পরিচয় গোপন রেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ নানা পদে উঠে এসেছে রোহিঙ্গারা।
কাল যদি রোহিঙ্গারা নিজের আলাদা বসতভুমি দাবী করে বসে তখন এসব এনজিও তাদের জন্য ভোটাভুটি করতে পারে কিনা তা নিয়েও সজাগ থাকা জরুরী।
রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিকতার চূড়ান্ত নিদর্শন হিসেবে তাদের এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে তবে এ কথা তাদের ও মনে রাখতে হবে যে তারা "শরনার্থী"..বাংলাদেশের নাগরিকেরা ঘরে বসে
খাদ্য,বস্ত্র,শিক্ষা,চিকিৎসা,বাসস্থান বিন্যামুল্যে না পেলেও তারা পাচ্ছে।তাদের জন্য টেকনাফ-উখিয়ার ৫ লক্ষাধিক বাসিন্দা কষ্ট সহ্য করছে আর তার জন্য রোহিঙ্গাদের সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
পরিস্থিতি যেমনই হউক, তবে দিন শেষে তাদের রাখাইনেই যেতে হবে এবং এটাই চরম সত্য।এখানে রোহিঙ্গাদের আবাসভুম করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিময়ে যদি আমেরিকা এফ-৩৫ এর মত প্লাটফর্ম বিনামুল্যেও দিতে চায় তবে বাংলাদেশ সরকার কিংবা জনগন কেউই এসব দাবী মেনে নিবেনা এমন বাস্তবতা আমেরিকার মাথায় থাকা উচিত।
ছবি:ভাসানচরের ওয়াচ টাওয়ার