চট্টগ্রাম টু সিলেট এন্ড সিলেট টু চট্টগ্রাম

7 11
Avatar for ahed
Written by
4 years ago

ইতি আমি নিজে,

তখন সবে মাত্র আমার এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ হল। নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জানতে পারলাম সিলেট যাওয়ার প্ল্যান কারা হচ্ছে। আমিত আহলাদে আটখানা। আমার খুশি কে দেখে? শেষ পর্যন্ত যওয়ার তারিখ ও দেওয়া হল। বলে রাখা ভাল এইটা আমাদের ফ্যামিলি ট্যুর ছিল। যাওয়ার তারিখ ঠিল ২৮/০২/২০১৫ ইং সকালে শীতের আমেজ। আমি আরও খুশি হয়ে গেলাম এটা আমার জীবনের প্রথম ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা। ওফফ কী যে মজা বলে যদি বােঝানাে যেত!!! অবশেষে যাত্রা শুরু করালাম রেল ষ্টেশনের উদ্দশ্যে। গিয়ে পৌছে রেলের বগিতে বসে গেলাম। তাে রেল ছাড়ল সিলেটের উদ্দেশ্যে। যেতেই যেতেই ঝক ঝক আওয়াজে কান ঝালা পালা আমার। আমার পাশের সীটে ছিল মামাত ভাই রিফাত। সে আমার পাশ থেকে সেলফি নিতে ব্যস্ত। কখন ফেসবুকে আপলােড দিবে সে চিন্তা। আমি তাকে বল্লাম 'মিএা সেলফি যখন তখন তুলতে পারবি সিলেট কী আসতে পারবি? তারপর বন্ধ হল তার সেলফি তুলাতুলি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পার হলাম চট্টগ্রাম। যতই সিলেটের নিকট যাচ্ছি ততই প্রকৃতি সৌন্দর্য ও ফুরফুরে হাওয়ার কাছে আমার ঘুম হার মানল। আম্মু কিছুক্ষন পর এসে ডেকে দিল। চিকেন খওয়ার জন্য। খেয়ে আবারও আমার ঘুম হার মানল । প্রায় দীর্ঘ ১২ ঘন্টার দার্ঘ ভ্রমণের পর আমরা সিলেট রেল ষ্টেশনে পৌছালাম। আমি সবে ঘুম থেকে ঠসাম তখন। তারপর ষ্টেশন থেকে আবার গাড়ি ভাড়া করে মেইন টাউন গেলাম। তারপর হেটেল খোঁজার পালা। যাক তেমন কয় গেলাম। অবশ্য তেমন একটা হাইপাই নাহ। আমরা সবাই ট্রেন চরে করে খুব ক্লান্ত। তাই সবাই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া- দামি ও বিশ্রাম নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আমিও তারপরের দিন সকাল ৪.৩০ মি. মামা ডেকে শাহজালাল মাজারে নামায পড়তে নিয়ে খে ৫ ২ জন ছিল। আমি মাজারের জায়গাটা দেখে খুব অবাক হলাম। নামায আদায় করে জিয়ারাত করে সকালের নাস্তা সে পর সব জায়গা ঘুরে দখতে দেখতে দুপুর ঘনিয়ে আসল। সবচেয়ে আনন্দ ছিল

আমার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ এর কবর দেখে। তাঁর পরের দিন প্ল্যান ছিল শাহ পরান ও জাফলং। গাড়ি ঠিক করে শাহ পরানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মাজার জিয়ারতের পর রওনা দিলাম জাফলং এর উদ্দেশ্যে। অবশ্য এর ভিতরে আরও অনেক মাজার জিয়ারাত করলাম। জাফলং যাওয়ার পথে অপরূপ পাহাড় ও পাহাড়ের ঝর্ণা দেখে সেই ভাবে অবাক হলাম। আর ঝর্ণা গুলাে দেখতে দেখতে সুন্দর ও তেমন পথচলা, জাফলং পৌছলাম। তার পাশেই ভারত দেখা যাচ্ছে। জাফলং এ আমরা খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম। সিলেট ভ্রমণে সবচেয়ে মজার দিন ছিল এইটা। জাফলং থেকে ফিরতে রাত নেমে এল। তার পরের দিন ১২ টায় হােটেল ছেড়ে

দিলাম। আবারও ওল্টা পথে রওনা। আসলে দিন চলে যায় আর স্মৃতি রয়ে যায়। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটা ভ্রমণ কাহিনী। সিলেটের প্রাকৃতিক লীলা ও সৌন্দর্য আমাকে বাধ্য। করল বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর,

Sponsors of ahed
empty
empty
empty

5
$ 0.00
Sponsors of ahed
empty
empty
empty
Avatar for ahed
Written by
4 years ago

Comments

$ 0.00
4 years ago

কাহিনীটি খুব সুন্দর হয়েছে প্রিয়। ধন্যবাদ তোমার জীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে তুলে ধরার। সবসময় ভালোবাসা রইল তোমার জন্য। ভালো থেকো সব সময়।

$ 0.00
4 years ago

Wow, thanks for travel in our city,, i live in Sylhet... Have a good day,, Are you go that time in bicnakandi..

$ 0.00
4 years ago

Thankyou. brother

$ 0.00
4 years ago

সুন্দর।

$ 0.00
4 years ago

Thankx you

$ 0.00
4 years ago

wlc

$ 0.00
4 years ago