মানব সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানব মস্তিষ্ক মানুষকে বিস্মিত ও হতবুদ্ধি করে চলেছে। অনেক বিজ্ঞানী এবং ডাক্তার মানব মস্তিষ্ক সম্পর্কে জানতে গিয়ে তাদের জীবনের পুরো সময় পার করে দিয়েছেন। এটা কোনো বিস্ময়কর ব্যাপার নয় যে মানুষ এই অবিশ্বাস্য রহস্যজনক অঙ্গ সম্পর্কে জেনে আনন্দ লাভ করছে। নিচে আপনি মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করছে, কীভাবে উন্নতি করছে, কীভাবে মানুষকেই নিয়ন্ত্রণ করছে, কীভাবে এটা ঘুম, স্বপ্ন, স্মরণশক্তির ওপর প্রভাব বিস্তার করছে এ রকম আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন যা আপনাকে প্রভাবিত ও উপকারী করবে। এই বিস্ময়কর ও মজাদার তথ্যগুলো জেনে আপনি যাচাই করুন আপনার মস্তিষ্কের প্রখরতা। শিখুন এবং জানুন আপনার মস্তিষ্ক সম্পর্কে।
ওজন :মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৩ এলবিএস।
সেরেব্রামঃ সেরেব্রাম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ এবং মস্তিষ্কের ৮৫ ভাগ ওজনই সেরেব্রাম বহন করে।
নিউরনঃ আপনার মস্তিষ্কে একশ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে।
নিউকর্টেক্সঃ নিউকর্টেক্স মস্তিষ্কের প্রায় ৭৬ ভাগ অংশ তৈরি করে। মানুষের ভাষা আদান প্রদান এবং চেতনার জন্য নিউকর্টেক্স দায়ী। প্রাণীদের চেয়ে মানুষের মস্তিষ্কের নিউকর্টেক্স বেশি মোটা।
ব্যথাহীনতাঃ মস্তিষ্কে ব্যথা সংগ্রাহক কোনো অঙ্গ নেই তাই মস্তিষ্ক কখনো ব্যথা অনুভব করে না।
জন্মের সময় আকৃতিঃ জন্মের সময় থেকে মানব মস্তিষ্ক পূর্ণাঙ্গ মানুষের মস্তিষ্কের আকৃতি নিয়ে আসে এবং মস্তিষ্কের প্রায় পূর্ণাঙ্গ কোষ নিয়েই আসে।
মস্তিষ্কের প্রথম অনুভূতিঃ প্রথম শিশু ত্বকের মাধ্যমে অনুভূতি পেতে শেখে। ঠোঁট এবং গালের স্পর্শ অনুভূতি জন্মায় আট সপ্তাহের মধ্যে এবং বাকি অনুভূতি জন্মের ১২ সপ্তাহের মধ্যে জন্মায়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ মহিলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরুষ অপেক্ষা বেশি সময় নেয় কিন্তু সিদ্ধান্ত পালনে তারা পুরুষ অপেক্ষা বেশি দৃঢ় কারণ পুরুষেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর অনেক ক্ষেত্রেই পালনে বেশি হেরফের করে ফেলে।
স্মরণশক্তির ব্যাহত তৎপরতাঃ অ্যাগোসিনা হচ্ছে এমন একটি শব্দ যখন আপনি কোনো একটি শব্দ জানেন এবং যা আপনার জিহ্বার ডগায় কিন্ত যখন আপনার বলা দরকার তখন মনে আসি আসি করেও আসছে না।
ইনসুলিনঃ ইনসুলিন দেহের রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে কিন্তু সামপ্রতিককালে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মস্তিষ্কে ইনসুলিন স্মরণশক্তির বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
স্বপ্নের সময়কালঃ স্বপ্নের সময় যদি আপনি জেগে যান তবে আপনি সারা রাত ঘুমালে স্বপ্ন যেটুকু মনে রাখতে পারতেন তা অপেক্ষা বেশি মনে রাখতে পারবেন।
হাসিঃ কোনো কিছু শুনে বা দেখে হাসি পাওয়া এত সোজা নয় কারণ এর জন্য মস্তিষ্কের ৫টি অঞ্চলকে সক্রিয় হতে হয়।
অ্যারিস্টটলঃ অ্যারিস্টটল ভুলবশত ভেবেছিলেন মস্তিষ্কের সব কাজ হৃৎপিণ্ডে ঘটে।
সপ্তম লেনিনঃ লেনিনের মৃত্যুর পর তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার মস্তিষ্ক অস্বাভাবিকভাবে বড় এবং কিছু অংশে অসংখ্য নিউরন রয়েছে যা ব্যাখ্যা দান করে তার তীব্র এবং আক্রমণাত্মক তীক্ষ্ণ অত্যাচারী মনোভাবের এবং যার জন্য তিনি বিখ্যাত।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ যখন আপনি জ্বরে আক্রান্ত হবেন তখন মনে রাখবেন মানুষের মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ তাপ সহনীয় ক্ষমতা ১১৫.৭ ডিগ্রি এবং ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ বাঁচতে পারে।
চিন্তাঃ মানুষের চিন্তা যা তারা বিশ্বাস করে তার সম্মুখীন হয় তারা প্রায় ৭০,০০০ বার।
চাপসম্পন্ন কাজঃ একটি সমীক্ষণে দেখা যায় প্রথমে হিসাবরক্ষক, তারপর লাইব্রেরিয়ান, তারপর বাস ও ট্রাকচালক সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথায় ভুগে থাকে।
পুরাতন মস্তিষ্কঃ ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০০ বছর পুরানো মস্তিষ্কের সন্ধান পাওয়া গেছে।
Wow