জ্ঞান এক কথায় হল পরিচিতি থাকা, কোন কিছু সম্পর্কে বা কারো বিষয়ে জেনে থাকা বা বুঝে থাকা, হতে পারে কোন কিছুর প্রকৃত অবস্থা, তথ্য, বিবরণ, বা গুনাবলী সম্পর্কে জ্ঞান থাকা, যেটি অর্জিত হয়েছে উপলব্ধির মাধ্যমে, অনুসন্ধানের মাধ্যমে বা শিক্ষা গ্রহণের ফলে অভিজ্ঞ হওয়ায় বা পড়াশুনা করে।
জ্ঞান বলতে কোন বিষয় সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বুঝায়। এটা বহিঃপ্রকাশ ধরনের হতে পারে (যেমন ব্যবহারিক গুনাবালী সম্পন্ন বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন) অথবা বহিঃপ্রকাশ ধরনের নাও হতে পারে (যেমন কোনো বিষয়ে শুধু তাত্ত্বিক দিকটি বোঝা); এটা কম বা বেশি ফর্মাল বা নিয়মার্বতিতা সম্পন্ন হতে পারে।[১] দর্শনশাস্ত্রের, জ্ঞান নিয়ে যে অংশটি আলোচনা করে তাকে জ্ঞানতত্ত্ব বলে; দার্শনিক প্লেটো জ্ঞানকে প্রতিষ্ঠানিক ভাবে সংজ্ঞায়িত করেন "প্রমাণিত সত্য বিশ্বাস" বলে, যদিওবা এই সংজ্ঞা নিয়ে অনেক বিশ্লেষক দার্শনিক একমত হন যে সংজ্ঞাটির মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে, এর কারণ হল গেটিয়ের সমস্যা। যদিওবা প্রচুর সংজ্ঞা রয়েছে জ্ঞানের উপর এবং প্রচুর তত্ত্ব রয়েছে এটির অস্তিত্ব নিয়ে।
জ্ঞান অর্জনের সাথে জটিল মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া জড়িত: উপলব্ধি, সংযোগ এবং যুক্তি;[২] যেখানে জ্ঞানকে মানব মস্তিষ্কের কোনো কিছু বুঝতে পারার ক্ষমতার সাথেও তুলনা করা হয়।
জ্ঞান একটি পরিচিতি, সচেতনতা বা কারও বা কিছু সম্পর্কে বোঝা, যেমন তথ্য, দক্ষতা বা বস্তু। ।বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টের দ্বারা, জ্ঞানটি বিভিন্ন উপায়ে এবং উপলব্ধি, কারণ, স্মৃতিশক্তি, সাক্ষ্য, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, শিক্ষা এবং অনুশীলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এমন বিভিন্ন পার্থক্য উৎস থেকে অর্জিত হতে পারে। জ্ঞানের দার্শনিক অধ্যয়নকে জ্ঞানতত্ত্ব বলা হয়।