কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যালয় পুনরায় চালুর আগে অনুমোদিত নির্দেশিকার আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। খবর: ডেইলি স্টার
এতে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার দ্রুতই স্কুল খোলার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। কিন্তু করোনার এই ঝুঁকিতে আগামী দু মাসের মধ্যেও কি শিশুদের স্কুলে আনাটা নিরাপদ? নিরাপদ পদ্ধতিতে স্কুল খোলার উপায় কী তাহলে? eআরকিকগণ ভেবেছেন এমনই কিছু বিকল্প নিরাপদ পদ্ধতি!
১ স্কুলে যেন বেশি মানুষের ভিড় নাহয়, সেজন্য একদিন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাবে, একদিন শিক্ষকেরা।
২ জনসমাগম আরও কমাতে ছাত্রছাত্রীদের ভাগ করে ফেলা যায়। একদিন জোড় রোলের শিক্ষার্থী যাবে, অন্যদিন বেজোড় রোলের শিক্ষার্থী। শিক্ষকদেরও ভাগ করে ফেলা যায়। একদিন স্যাররা গেলেন, অন্যদিন ম্যাডামরা...
৩ সরকার স্কুল খুলছে। কিন্তু স্কুল খোলা তো দপ্তরিদের কাজ। তারা তো আর স্কুল খুলছে না! তাই ছাত্রছাত্রীদের প্যারা নেওয়ার কিছু নাই...
৪ করোনার টেনশেন থেকে মুক্ত থাকার জন্য সরকার পুরো স্কুলকেই পিপিই পরিয়ে রাখতে পারে। এতবড় পিপিই যদি পাওয়া যায় আর কি!
৫ স্কুলগুলোতে করোনাভাইরাসের চলাচল ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে আর কোন চিন্তা নাই।
৬ ক্লাস চলাকালীন প্রতিটি স্কুলে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো স্যানিটাইজার বৃষ্টির ব্যবস্থা করতে পারে।
৭ ক্লাসরুমগুলোতে বর্তমানে যে কয়টা বাতাস আসা-যাওয়া করার ভ্যান্টিলেটর আছে, করোনার জন্য ওগুলোর সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা করোনা আক্রান্ত হলেও 'ভ্যান্টিলেটর সেবা' নিতে পারবে।
৮ স্কুলটাকে তো বাসায় আনা সম্ভব নয়, চাইলে বেঞ্চগুলোকে বাসায় আনা যায়। যার যে বেঞ্চ পছন্দ সে ওই বেঞ্চ বাসায় আনবে। বেঞ্চে বসে পড়বে, স্কুলের ফিল পাবে।
৯ স্কুলে যাওয়া যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ, সেক্ষেত্রে ক্লাসরুমগুলোকে বাসাবাড়ি বানিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ভাড়া দিতে পারে। আসা যাওয়ার ঝামেলা নাই, স্কুলেই বাসা, স্কুলেই ক্লাস।
১০ টিচাররাই রুটিন করে শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় গিয়ে 'হোম স্কুল' সার্ভিস দিয়ে যেতে পারেন!