প্রাইমারি স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম নামের এক প্রকল্পের আওতায় খিঁচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০০০ হাজার কর্মকর্তা বিদেশ যাবেন। এই সফরের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। শুধু তাই না, বিদেশ থেকে খিঁচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য দেয়া হচ্ছে আরো ১০ কোটি টাকার বরাদ্ধ। এই সফরে তারা খিঁচুড়ি রান্না শেখার পাশাপাশি বাজার করা ও বিতরণ নিয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
সরকারিভাবে খিঁচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণের খবরে বেশ আনন্দিত হয়েছে ব্যাচেলর সমাজ। তবে তারা চায় প্রশিক্ষণ নিতে না, প্রশিক্ষণ দিতে। ৫ কোটি কিংবা ১০ কোটি না, শুধুমাত্র সামান্য হাতখচরের বিনিময়েই খিঁচুড়ি রান্না শেখানোর দারুণ একটি সাশ্রয়ী অফার নিয়ে হাজির হয়েছে তারা।
খিঁচুড়ি রান্না কোর্সের সাথে ফ্রিতে ডিমভাজিও শেখাবেন বলে জানান ব্যাচেলররা। সাথে বাজার করা ও বিলিবণ্টন তো থাকছেই। আরও থাকছে সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে কম পরিশ্রমেই কোর্স কমপ্লিট এবং খিঁচুড়ি রান্নার সবচেয়ে শর্ট ও সহজ তরিকা। তাদের রান্না করা খিঁচুড়িতে ঘ্রাণ কম, ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য রান্না করে নিজেদের বাচ্চাদের খাওয়াতে বা বিক্রি করে দিতে পারবে, ঘ্রাণ না থাকায় কেউ টেরও পাবে না।
খিঁচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ নেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে দেশে অনেক কর্মসংস্থান বাড়বে এমনটা উল্লেখ করে সরকারকে সাধুবাদ দেন ব্যাচেলররা। একজন বেকার ব্যাচেলর জানান, 'নিজেদের স্কিল সম্পর্কে আমরা কত কম জান! খিঁচুড়ি রান্না, ডিমভাজি করার মতো আমাদের শক্তির জায়গাগুলোই যে আমাদের ক্যারিয়ার হতে পারে ভাবনাতেই ছিলো না।'
খিঁচুড়ি রান্না ও ডিমভাজিও করতে না পারা অকর্মার ঢেঁকি ব্যাচেলরদেরও মন খারাপ না করার পরামর্শ দিয়ে এক সিনিয়র ব্যাচেলর বলেন, 'দেশের যা অবস্থা দেখছি, সরকারি কর্মকর্তাদের পানি ফুঁটানোর ট্রেনিংও চালু হতে পারে। তোরা টেনশেন নিস না। তখন তোদেরও একটা ব্যবস্থা হবে।'
খিঁচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ ব্যাচেলরদের কাছ থেকে নেয়ার শর্তে সরকারি কর্মকর্তাদের আরো দারুণ একটা অফার দেন ব্যাচেলর সোসাইটি। তারা বলেন, 'তেঁনারা যদি আমাদের থেকে প্রশিক্ষণ নেয়, আমরা বিষয়টা গোপন রাখবো। আমাদেরকে দিবে শুধু হাতখরচ। মাঝেমধ্যে এক প্যাকেট বেনসন। বাকি টাকা কর্মকর্তারা নিজেদের পকেটে নিয়ে নিতে পারবে।'
বাজারের টাকাও বাঁচিয়ে দেয়ার সিস্টেম করে দিবেন ব্যাচেলররা। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তারা বলেন, 'দেশের বিভিন্ন মাজার, মন্দিরে হাজার হাজার মানুষকে ফ্রি-তে খিঁচুড়ি দেয়া হয়। ওইগুলা চিনিয়ে দিবো। এরপর সরকার থেকে খিঁচুড়ি রান্নার টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাজারের খিঁচুড়ি খাইয়ে পুরা টাকা পকেটে নিয়ে নিতে পারবেন।'
Very good intellect .This will save the government from wasting crores of rupees