সন্তানের পড়ালেখা নিয়ে মায়েদের চিন্তার অবসান হলো এবার। বাজারে এলো বাফুফে সভাপতি ব্র্যান্ডের চেয়ার। লোকমুখে কাজী সালাউদ্দিন চেয়ার নামেও বেশ পরিচিত এটি।
মূলত বাফুফে সভাপতির চেয়ারের ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রনের ক্লোন দিয়েই তৈরি করা হয়েছে চেয়ারটি। এই চেয়ারটিতে একবার কাউকে বসিয়ে দিতে পারলেই হলো। বাকী জীবন সে এখানে বসেই থাকবে। আর উঠবে না।
বাজারে ইতোমধ্যেই এই চেয়ারের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। মায়েরা সন্তানের পড়ার টেবিলের সাথে ফিক্সড করে ফেলেছে বাফুফে সভাপতি ব্র্যান্ডের এই চেয়ার। ফলে দিনের মধ্যে ২৪ ঘন্টাই সন্তানরা পড়ার টেবিলেই বসে আছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে এই চেয়ারে বসে পড়ালেখা করার কারণে স্কুল, কোচিং এমনকি হাউজ টিউটরের খরচও বেঁচে যাচ্ছে বলে জানান অনেকে।
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মাঝেও এই চেয়ারের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা গেছে। এমপিথ্রি, প্রফেসরস বই কিংবা কোচিং না, এই চেয়ারে কিনলে বিসিএস নিশ্চিত এমনটাই জানালেন বাফুফে সভাপতি ব্র্যান্ডের চেয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
অনেক প্রতিষ্ঠান কাজে ফাঁকি দিয়ে বেশি বেশি চা-সিগারেট খেতে যাওয়া কর্মীদের কাজে মনোযোগী করার জন্য এই চেয়ার ব্যবহার করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বাফুফে সভাপতি ব্র্যান্ডের চেয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি কাজী সালাউদ্দিনকে এমন একটি চেয়ারের আরএন্ডডি করার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, 'এই চেয়ারটির প্রতি স্যারের ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এরপরই মূলত আমরা এই চেয়ারটা নিয়ে গবেষণা শুরু করি। স্যার যেভাবে অনন্তযৌবন ধরে এই চেয়ার আঁকড়ে ধরে বসে আছেন, এই বিষয়টাকেই আমরা কাজে লাগয়েছি।'
তবে ইতোমধ্যে বাফুফে সভাপতি ব্র্যান্ডের চেয়ারের বেশ কিছু বাজে রিভিউও আসা শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, 'এই চেয়ার থেকে শিক্ষার্থীরা, কর্মীরা উঠছেনা, এই কথা সত্য। কিন্তু পড়ালেখায়, কাজে তাদের কোন উন্নতিও হচ্ছে না। উল্টা অবনতি হচ্ছে। অকর্মণ্য অবস্থায় তারা বসে থাকছেন তো থাকছেনই! কোনো মানে হয়?'