নোবেল কমিটি এক বিস্ময়ের নাম। কখন কাকে কোন ক্যাটাগরিতে কেন নমিনেশন দিয়ে বসে তারা, মাঝে মাঝে নমিনেশন প্রাপ্তও তা জানে না। তবে উদ্ভট নমিনেশনের পাশাপাশি এবার নোবেল পুরস্কারে যুক্ত হতে যাচ্ছে উদ্ভট এক ক্যাটাগরিও। এবার নোবেল পুরস্কারে 'স্টুপিডিটি' নামক নতুন এক ক্যাটাগরি যুক্ত হতে যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেলের মনোনয়ন পাওয়ায় এমনটাই ধারণা করছে বিশ্বনেতারা। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও...
গতকাল কিম জং উনের সভাপতিত্বে 'ট্রাম্প কোন ক্যাটাগরিতে নোবেল পেতে পারে' শীর্ষক এক মিসাইল-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে কিম নিজের ফেইক টুইটার থেকে বলেন, 'নোবেল তো দিবে বিশেষ সেক্টরে বিশেষ অবদানের জন্য। ট্রাম্পের বিশেষ অবদান কিসে? আমরা আলোচনা করে দেখেছি, স্টুপিডিটি ছাড়া ট্রাম্পের আসলে কোন স্পেশালিটি নাই। তাহলে নিশ্চই নোবেল কমিটি নতুন ক্যাটাগরি চালু করছে!'
'নোবেলের উপর আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের বিশেষ একটা হক আছে' এমন মতামত ব্যক্ত করে নোবেল কমিটির একটি ডেমো টিমও কিমের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, 'আলফ্রেড নোবেল যদি জানতেন ট্রাম্প একদিন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হবে তাহলে আগে থেকেই নোবেল পুরস্কারে 'স্টুপিডিটি' নামক ক্যাটাগরি যুক্ত করে যেতেন। তবে উনার অধরা কাজটা এখন আমরা করছি।'
নোবেল কমিটির এমন সিদ্ধান্তে ট্রাম্প অবশ্য খুশি হয়েছেন। বরাবরের মতোই নিন্দুকের মুখে ছাই ঘষে নোবেলের জন্য নমিনেশনের পুরো ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছেন ট্রাম্প। যোগ্যতা বলেই নমিনেশন পেয়েছেন, এমনটা দাবি করে অনেকটা পাপনের স্টাইলে ট্রাম্প বলেন, 'বিশ্বযুদ্ধ বাঁধানোর অঙ্গীকার নিয়ে প্রেসিডেন্ট হলেও এতদিনে আমি কোনো যুদ্ধ করিনি। এজন্যই তো আমার দুইটা নোবেল পাওয়া উচিত। গতবার বলেছি, আমি অনেক কিছুতে নোবেল পাই, ওরা দেয় না। আমার ওই কথাকেই ওরা সিরিয়াসলি নিয়েছে। কথাটি তো আমিই বলেছি! চীন তো বলেনি। সো, নিজ ক্রেডিটে নমিনেশন পেলাম, চীনের ক্রেডিটে নয়।'
চার বছর ধরে প্রেসিডেন্ট থাকলেও এতদিন নোবেল পেলেন না কেন, এই প্রশ্ন করলে ট্রাম্প হুংকার ছেড়ে বলেন, 'দ্যাটস এ কোয়েশ্চেন ইউ শুড আস্ক চায়না!'
ট্রাম্পকে নোবেল দিলে নোবেল প্রাইজ হারানো জৌলুশ ফিরে পাবে এমনটাও মনে করেন ট্রাম্প। নমিনেশনের পর পুরস্কার পেতে ক্লোজ বড় ভাই পুতিনের সহযোগিতা প্রার্থনা করে পুতিনকে মেনশন করা টুইটে ট্রাম্প লেখেন, 'মেইক নোবেল প্রাইজ গ্রেট এগেইন'!