কথা ছিল ৩০ মে ইস্তানবুলে হবে ২০১৯-২০ মরশুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। করোনা ভাইরাসের কারণে অবশেষে তা হল ২৩ মে লিসবনে। বহু প্রতীক্ষার পর শেষ হল ২০১৯-২০ ইউরোপীয় মরশুম। প্যারিস সেন্ট জার্মেনকে ১-০ গোলে গোলে হারিয়ে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিল বায়ার্ন মিউনিখ। শুধু তাই নয় টুর্নামেন্টে প্রথম দল হিসেবে এ মরশুমে সবকটি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হল তারা।
গতোকাল রাতে পিএসজি এর পক্ষে ব্রাজিলের নেইমারের খেলা দেখে দারুন হতাশ হয়েছেন বিশ্বসেরা মেসি। এমন বাজে খেলার জন্যে তিনি কিছু বকা ও দেন নেইমিকে ।এমবাপের উপর রাগ করে আছেন বস মেসি।
ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি নিজের টুইটারে লিখে ফেলেন, নেইমারের ফুটবল খেলা উচিত নয়। তার অভিনয় দক্ষতা ভালো তার অভিনয়ে আসা উচিত।ছেলেটা অভিনয়ে আসলে ভালো করবে আমি হপ্লফ করে বলতে পারি। কিংবদন্তি মেসি আরো লিখেন,
নেইমারের ফুটবল খেলা বাদ দিয়ে টিকটক ভিডিও বানানো উচিত
আচ্ছা মেসি কেন বলবেন ই না এই কথা?
এইতো গেল গত রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত ট্রলিং হলো ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারকে নিয়ে। গ্রুপ পর্বে স্বরূপে দেখা দিতে না পারলেও নক-আউটের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। মেক্সিকোকে হারিয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে তুললেন ব্রাজিলকে। এই ম্যাচ জয়ের পর নেইমারকে বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। সতর্কও করে দিলেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ভরসাকে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে বারবার উঠে আসছে ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সিধারীর মাঠে পড়ে যাওয়া। সোমবার মেক্সিকোর বিপক্ষে গোল করে, গোল করিয়ে যতই নায়কের মর্যাদা পান নেইমার, মাঠে তার ফাউল আদায়ের চেষ্টা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনার নজর এড়ায়নি বিষয়টি। তিনি তাই সতর্ক করে বললেন, মাঠে ‘নাটক’ করলে দেখতে হতে পারে কার্ড। ফলে, সমস্যায় পড়তে পারে দল।
এই কিংবদন্তি ফুটবলারের ভাষায়, ‘নেইমার এখন তারকা ফুটবলার। যদিও তার মধ্যে ঘাটতি আছে। তবে তার পরও নেইমার হলো তারকা। তাকে জানতে হবে যে, এখনকার দিনে অহেতুক ডাইভিংয়ের শাস্তি হল হলুদ কার্ড। ভিএআর চালু হয়েছে। কোস্টারিকার বিপক্ষে ইতিমধ্যেই ও হলুদ কার্ড দেখেছে। তার মাথার মধ্যে থাকা দুষ্টুমি চিন্তা এবার বদলাতে হবে।’
বিশ্বের সাবেক কিংবদন্তিদের অনেকেই বল পায়ে নেইমারের যেমন প্রশংসা করছেন, তেমনই নিন্দা করেছেন তার রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টার। অনেকেই বলছেন যে, নেইমারের আচরণে ব্রাজিলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যারি লিনেকার, অ্যালান শিয়েরাররা টুইটারে কড়া নিন্দা করেছেন। শিয়েরার বলেছেন, ‘নেইমার, এসব এবার বন্ধ কর। আমরা বিরক্ত হয়ে উঠেছি।’
I think it's not a joke it reality