কর্মীদের পারফর্মেন্স বোনাস ও বাড়তি রাজস্ব দেখানোর জন্য কর্তাব্যক্তিদের আদেশে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১০% থেকে ৬১% পর্যন্ত বাড়তি বিদ্যুৎ বিল আদায় করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ডিপিডিসি, ৮০ টি পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি, ডেসকো, ওজোপাডিকোসহ দেশের ৬ টি বিতরণ সংস্থার গ্রাহকেরা করোনাকালেও এই ভুতূড়ে বিদ্যুৎ বিলের খপ্পড়ে পড়েন।
এদিকে চলতি মাসের কারেন্ট বিল দেখে উত্তেজিত হয়ে যান বাল্ব আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন। eআরকির সদর দপ্তরে ফোন করে বলেন, 'এভাবে ইচ্ছামতো বিল নেবে জানলে আমি বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করতাম না।'
কন্ঠে প্রচুর রিগ্রেট নিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমার নিজের বাসায় দুইটা মাত্র টাংস্টেন বাতির বাল্ব, আর গ্রাহাম বেল একটা টেলিফোন গিফট করছে, এছাড়া কোনো কারেন্টের জিনিস নাই। তারপরও বিল আসছে বারো হাজার টাকা। এত টাকা আমার বাল্ব আবিষ্কার করতেও খরচ হয় নাই।'
এছাড়া ফ্যান, ফ্রিজসহ নানান দৈনন্দিন ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্রের আবিষ্কারকদেরও দায়ী করে তিনি বলেন, 'কারেন্টে চলে এমন কিছুই আবিষ্কার করা ঠিক হয় নাই। কারেন্টের দরকার না হইলে এভাবে বিদ্যুৎ অফিসের কাছে জিম্মি হতে হইত না।
তিনশ টাকার এনার্জি বাল্ব একশ টাকায় কারা বেচে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, 'বাল্ব দুইটাই ফেলে দেবো। দেখি এনার্জি লাইট লাগায়ে কত বিল আসে।'
এদিকে বিবিসি বাংলার অন্য এক খবরে জানা যায়, এই ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে তদন্ত করতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নেয়ার পরিকল্পনার জনককেই এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
এমন খবর জানার পর বেশ মুষড়ে পড়ে অস্ফুট কন্ঠে এডিসন বলে উঠেন, 'আকাশ ভরা তারা, হো* মারা সারা। এবার তাইলে কুপি বাতি আর তালপাতার পাখা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই।'
It was very important topics. We shuold protesed it.