গো-মূত্র দিয়ে করোনার ভ্যাকসিন বানিয়ে বাজারে ছাড়ছে ভারত
গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চিন থেকে উদ্ভূত এই মারাত্মক রোগটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই রোগের শিকার হয়েছেন। যদিও বিপুল সংখ্যক লোক এতে আক্রান্ত। বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা এই রোগের নিরাময় তৈরির কাজে দিনরাত ব্যস্ত রয়েছেন।
এমন সময়ে কিছু লোক এই সমস্যার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য গো-মূত্র খাওয়ার বিষয়টিকে এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যার জেরে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন যে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য গরুর প্রস্রাবই একমাত্র নিরাময়।
এই গুজব এত দ্রুত বেড়েছে যে গরুর প্রস্রাব এখন গরুর দুধের চেয়ে বহুগুণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় গরুর প্রস্রাব বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা লিটার দরে।
এমন গুজব ছড়িয়েছিল যে গরুর প্রস্রাব পান করা মানুষের সংখ্যা দ্রুতহারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর আগে স্থূলত্ব, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং পেটের রোগ নিরাময়ের জন্য খুব কম লোক গরুর প্রস্রাব ব্যবহার করছিলেন। তবে যেহেতু করোনা ভাইরাসের সন্ত্রাস বেড়েছে তারপর থেকে এই পানীয় পানকারীর সংখ্যা বেড়েছে। মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে সবকিছু করতে প্রস্তুত। লোকেরা অনুভব করতে শুরু করেছে যে তারা যদি এই মারাত্মক রোগ থেকে তাদের জীবন বাঁচাতে চায় তবে গরুর প্রস্রাব পান করতে হবে
বলা বাহুল্য, গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ৪০-৫০ টাকা দামে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের আগে প্রতি লিটার গরুর প্রস্রাবের দাম ছিল ১২০-১৩০ টাকা। সেখানে এখন সেটি প্রতি লিটারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানুষজন হাতেনাতে গো-মূত্র কিনছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে হুগলির ডানকুনিতে ৩০০-৪০০ টাকা লিটার প্রতি দরে গো-মূত্র বিক্রি হয়েছে। এমনকি সেই দোকানি রীতিমতো পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন যেখানে জার্সি গরুর গোবর বিক্রি হচ্ছিল ৫০০টাকা/কেজি দরে, তার মূত্র বিকোচ্ছিল ৪০০টাকা/ লিটার দরে। সাধারণ গরুর গোবর ৪০০টাকা/কেজি দরে এবং মূত্র ৩০০টাকা/ লিটার দরে বিক্রি হচ্ছিল। যদিও সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লোকেদের সমস্যা দূর করতে বাজারে প্রচুর সংস্থা গরুর প্রস্রাব বিক্রি করছে। এই বিষয়ে বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি এখনও অবধি রাজ করছিল, কিন্তু এখন অনেক নতুন সংস্থা তার সাথে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে, লোকেরা এটি বিক্রি করে ভালো অর্থোপার্জন করছে।
Just hahahaha😂