জ্ঞানী প্যাঁচার কাছে কুকুর গেল। বলল, আমি যতবার গ্রামে ঢুকি ততবারই গাঁয়ের লোকেরা কোনো না কোনো ভাবে বুঝে ফেলে!
প্যাঁচা বলল, গ্রামে ঢোকার সময় তুমি কী করো?
কুকুর বলল, বেশিরভাগ রাতেই ফোনে বউয়ের সাথে কথা বলি!
: আর যেদিন বউয়ের সাথে কথা বলো না?
: সেদিন কথা বলি প্রেমিকার সাথে!
প্যাঁচা হাসল। তারপর চোখ পাকিয়ে বলল, নিজের পরিচয় আর মূর্খতা আড়াল করতে মুখ বন্ধ রাখতে হয়, বুঝেছ?
কুকুর প্যাঁচার কথা শুনে ফলাফল পেল। গ্রামে ঢোকার সময় কোনো কথা না বলায় কেউ কিচ্ছু টের পেল না। চুপি চুপি গিয়ে খপাখপ মুরগি ধরে ফেলল।
অনুসিদ্ধান্ত-০১
চুপ থাকলে নিজের মূর্খতা ঢেকে রাখা যায়।
২.
চুপ থাকায় কুকুর দারুণ ফলাফল পেয়েছে। ইতোমধ্যেই সে জ্ঞানী হয়ে উঠেছে। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইঁদুরও চুপ করা শিখে গেল।
একদিন ইঁদুর প্যাঁচার মুখোমুখি পড়ে গেল। প্যাঁচা তাকে খপ করে ধরে ফেলল। মুখ খুললে পাছে নিজের মূর্খতা ধরা পড়ে এই ভয়ে ইঁদুর চুপ থাকল। প্যাঁচা তাকে আরামে খেয়ে ফেলল।
অনুসিদ্ধান্ত -০২
চুপ করে থাকলে প্যাঁচারা আপনাকে গিলে খাবে।
৩.
ইঁদুরের ছোট ভাই নেংটি প্যাঁচার ঘটনাটা জানার পর খুব মেজাজ খারাপ করল। প্রতিবাদে নামল সে। বলল, আর চুপ থাকা না... এবার কথা বলতে হবে!
অন্যরা নেংটিকে খুব বাহবা জানালো। নেংটি গেল প্যাঁচার কাছে। প্রচুর জ্বালাময়ী ভাষণ দিতে শুরু করলে প্যাঁচা বিরক্ত হয়ে নেংটিকে খপ করে গিলে ফেলল।
অনুসিদ্ধান্ত -০৩
নেংটি হলে প্যাঁচার বিরুদ্ধে আসলে কথা বলেও লাভ নাই।