চায়নিজ মেয়ের সাথে প্রেম করে বিপাকে পড়ে গেছে কুমিল্লার খাইরুল।যেকোন সময় চলে আসার হুমকি!
ফেইসবুকে ছবিতে লাভ দিয়ে প্রথম প্রেম শুরু। তারপর ইনবক্সে হাই হ্যালো।খাইরুলের সাদা চামড়ার প্রেমিকা চাইনিজ ভাষা ছাড়া লিখতে পারে না আর খাইরুল ও বোঝে না চাইনিজ।এটা নিয়ে বাধলো আরেক সমস্যা। তাই খাইরুল ৩ মাস ব্যাপি চায়না ভাষা শিক্ষা কোর্স করে এসে দেখল যেই লাউ সেই কদু।
শেষে গুগলে ট্রান্সলেটরে চায়নিজ ভাষাকে ইংরেজীতে ট্রান্সলেশন করে। আবার কঠিন কঠিন ইংরেজী শব্দ ডিকশনারি ঘেটে ঘেটে অর্থ বের করে কতশত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে তারপর প্রেম নিবেদন করল খাইরুল
এত সব কঠিন কঠিন ধাপ করে চায়নিজ মেয়ের সাথে গত ৩ মাস প্রেম করেছে কুমিল্লার খাইরুল।চাইনিজ প্রেমিকাকে পটিয়ে বিয়ে করার জন্যে রাজি করিয়েছে সে।
তার স্বপ্ন একটাই সে এই চায়নিজ মেয়েকে বিয়ে করে চায়না চলে যাবে। এই দেশে আর কোন ভবিষ্যৎ নেই। তারপর মনের সুখে সাদা চামড়ার চায়নিজ দের সাথে জীবন কাটিয়ে দেবে কুমিল্লার খাইরুল। কিন্তু সবই প্ল্যান তার মাঠে মারা গেল করোনা ভাইরাসের আক্রমনে।করোনা ভাইরাস এসে খাইরুল কে করে দিয়ে( এই *করে দিয়ে নামক দুষ্টু ভাষাটি ব্যবহার করার জন্যে পাঠক সম্প্রদায়ের কাছে আন্তরিকভাবে দু:খিত) চলে গেল।
সে যাই হোক ‘চাচা আপন প্রাণ বাচা’ তাই খাইরুল বিদেশ যাবার এই বুদ্ধি মাথা থেকে ঝেটিয়ে বিদেয় করেছে। কারন আগে তো জীবন পরে না বিদেশ।
খাইরুল ছেড়ে দিতে চাইলেও রবীন্দ্রনাথের ভাষায় খাইরুলকে কোন মতে ছেড়ে দিতে চাচ্ছে না তার চায়নিজ প্রেমিকা উ সুং জুং হাং। সে বাংলাদেশে খাইরুলের কাছে চলে আসতে চায়। করোনা ভাইরাসের ভয়ে খাইরুল ও এই চাইনিজ টাকে কিছু বলতে ও পারছে না। তাই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এ বার যেন আর রক্ষা নেই। তার চাইনিজ প্রেমিকা ঘোষনা দিয়েছে এই মাসেই সে বাংলাদেশে চলে আসবে।
এই নিয়ে খাইরুলের খুব মন খারাপ। সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বলল, ‘ভাইজান একটা চাইনিজ ফোন ৭ দিন টিকলো না আর এই প্রেম ৭ মাস কেমনে টিকে?কেমনে? এইবার বুঝি আমার রক্ষা নেই।’
শেষপর্যন্ত খাইরুল কে আর পাওয়া যাচ্ছে না। ধারনা করা হচ্ছে সে পালিয়েছে…
made in chain not last more time