..................................
মাথার প'রে নীল আকাশ!
বাইরে উদ্দাম বাতাস।
নীচে পাহাড় ঘেরা হ্রদ,
তাল।
মন করেছে উত্তাল।
ওরা তারই মাঝে খেলছে বুঝি' লুকোচুরি !
বোধ হয় তাল-বেতালের বুড়োবুড়ি!
সঙ্গী হয়ে অম্ল-মধূ্র বাতাস!
ঘনীভূত করিছে আকাশ।
হেথা-হোথা আকাশ জুড়ে,
সাদা মেঘের ভেলা,
হাওয়ার বেগে,
এপার থেকে ওপারে যায়,
খেলছে বুঝি মনখুশিতে,
নৌকা-বাইচ খেলা!
রক্তরাঙা-নেড়ামুখো পাহাড়ের,
কোল ঘেঁষে,
সেই সকালে এসে,
রক্ত -নীল, নীলকন্ঠ পাখি যেন,
হলুদ ফুলের গাছে ,হলুদ-পরী যেন গাছের ডালে বসে।
ছোট্ট একটা মেয়ে,
জেলে ডিঙি বেয়ে,
আসে ফলসা বনের ধারে,
হ্রদের নামটি যেথা "তাল",
যেথায় সেই সকালে পাতা ছিল,
মাছ ধরার সেই জাল।
খুকির ডিঙির প'রে,
মাস্তুল টাকে ধরে,
ডানা মেলে দাঁড়িয়ে আছে,
"শাদা"পাখার শিকারী এক বক।
মাথার ওপর নীল আকাশ!
সাদা মেঘের ভেলা!
যেথায় আকাশ এসে শেষে,
নীল-সলিলে মেশে।
হেথায় বুঝি আজ!
"তাল" হয়ে "বেতাল"!
সেজেছে তাই ,নারী রূপের ভয়ঙ্করী সাজ!
সেই বিকেলের মোহময়ী,মোহাবিষ্ট রোদ!
আজকে বুঝি সবাই মিলে , আমার প'রে ,
নিচ্ছে, মিষ্টি প্রতিশোধ!
আমি যখনি তোমার এই মনোমুগ্ধকর কবিতার ছন্দ পড়ি,তখনি নিজের মধ্যে একটি ভালো লাগার প্রবনতা কাজ করে।মন শরীর শিগত হয়ে উঠে।এই বুঝি জীবনের সব সৌন্দর্য তা ফুটেয়ে তুলে।কবিতার ছন্দের মিলনে যে ছবি সৃষ্টি হয়েছে তা দেখতে অপূর্ব। অপেক্ষায় আছি তোমার পরবর্তী কবিতাই।