প্রতি ১০০ বছর পর পর মহামারীর মারণব্যাধির ইতিহাস,,,

0 16
Avatar for UmmulKhair
3 years ago

প্রতি শতকে ১ বার করে আসে এমন ভাইরাস, মারা যায় কোটি কোটি মানুষ।।

হ্যাঁ বন্ধুরা প্রতি শতকে একবার করে আসে এমন মরণব্যাধি এর আগে ১৭২০,১৮২০ সালেও দেখা গিয়েছিল এইধরনের মহামারী।

১৭২০ সাল,

২০ কোটি মানুষের মৃত্যু পূর্বের ইতিহাসে একক কারণে এমন মৃত্যু দেখেনি ইউরোপ হারিয়েছে তার জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ জীবন হরণ করা এই মৃত্যুর নাম Black death যার অপর নাম plague. যার কারণে মানুষে মানুষে ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। ইতিহাস বলছে, যা ইউরোপে সমাজ কাঠামো ভেঙ্গে দিয়েছে। এর ফলে ঐখানকার নাগরিকরা একে অন্যকে এরিয়ে চলতে শুরু করে। পাশের বাড়ির মানুষের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাই না। তারা পরস্পর পরস্পরকে পরিত্যাগ করছে। এই দূর্ভোগ পুরুষ ও নারীর মনকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে তেমনি ভাই ভাইকে, বোন বোনকে , স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামী কে পরিত্যাগ করেছে। সবচেয়ে অবিশ্বাসকর ব্যাপার বাবা মা ও তার আক্রান্ত সন্তান থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য করছে। এই বর্ননার লেখক দার্শনিক ভোকাসিরন।

মধ্য যুগীয় ইতিহাস গবেষক গ্লিভ ডেইলি ভার্ড, তার এক নিবন্ধে লিখেছেন, ৪ বছরে মেয়াদি এই প্লেগ ইউরোপে প্রায় ৪৫-৫০ ভাগ জনসংখ্যা বিলিন করে দেয়। যা প্রায় ২০ কোটি মানুষের সমান তবে ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে হিসাবের তারতম্য দেখা যায় যেমন ইতালি, দক্ষিণ ফ্রান্স ও স্পেনে ৭৫-৮০ ভাগ মানুষের মৃত্যু হয় এই প্লেগের কারণে। কিন্তু জার্মানি ও ইংল্যান্ডে জনসংখ্যার প্রায় ২০ ভাগ মানুষ প্লেগে বলি হয়।

১৮২০ সাল, cholera

লাখো লাখো মানুষের প্রাণহানি। আপনার কল্পনায় নিশ্চয়ই লাখো লাখো মানুষের আর্তনাদ, অপরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, শিশুদের চিৎকারএর দৃশ্য ভেসে আসবে। ১৮০০ সাল থেকে সারা world এ কলেরা মহামারী শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ এই কলেরায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।তবে, ১৮২০ সালে, ভারত ও east South asia তে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ। ১৮২০ সালে,east asia দৃশ্য ঠিক কেমন ছিল এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অনেক ইতিহাসবিদ,তাদের মতে, সেই সময় অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে হাজার হাজার আক্রান্ত ব্যাকতি মারা যান।প্রতিদিন আক্রান্তএর সংখ্যা যে হাড়ে বেড়েছে তা উদবেগজনক। হাস্পাতালে ছিল খুব ভিড়।যা ছিল তা অল্প সময়ের মধ্যে ভরে যাচ্ছিল। ব্যাপক উদবেগ ইইতিহাসবিদদের মধ্যে। চীন, ভারত, রাশিয়া কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ২০ শতকেই কলেরায় সবচেয়ে বড় আঘাত হানে।এতে দুই দশক এ দেশে প্রায় ৮ লাখের ও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।২০১৭ সালে, ইয়েমেনে ১ সসপ্তাহে প্রায় ১১৫ জনের মৃত্যু হয়।কলেরার কারণে ঐ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

১৯২০ সাল

spanish flu

প্রথম world war কাটতে না কাটতেই পৃথিবীজুড়েই শুরু হয়েছিল আরও এক যুদ্ধ। spanish flu তে মারা গিয়েছিল ৪ কোটির ও বেশি মানুষ। who এর মতে সংখ্যাটা আসলে ৫ কোটি। কারণ, ভারতে যে ১ কোটি মারা গিয়েছিল তা রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি।কোনও কোনও গবেষকের মৃত্যুর সংখ্যাটি ১০ কোটি।নতুন ধরনের সেই influenza দেখা গিয়েছিল ৪ টা মার্চে, American সেনা সদস্য এর মধ্যে, ঝড়ের গতিতে ছড়াতে শুরু করল এই রোগ।বয়স নির্বিচারে আক্রান্ত হলেও বেশি প্রকোপ দেখা গেল, ২০-৪৫ বছরের মানুষের মধ্যে, North America ও Europe এর মধ্যে দেশ গুলো তে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হলেও যা পৃথিবীর কোনও দেশই মুক্তি পাইনি এই ঝড়ের ছোবল থেকে।মৃত্যুর সংখ্যা এত বেশি হয়েছিল যে,ট্রলারে লাশ বোঝাই করে নিতে নিতে হিমশিম খাচ্ছিল।

২০২০ সাল,

Covid 19 (sars -cov-2)

করোনা ভাইরাসের world wide মহামারি ২০১৯ সালে নভেম্বরের চীনের উহান শহরে উয়ানান সামুদ্রিক পাইকারি বাজারের দোকানদারদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটি সংক্রমন করে বলে ধারণা করা হয়। বাজার টিতে সামুদ্রিক খাদ্যদ্রবের পাশাপাশি জীবনত বাদুড়, সাপ, ও অন্য প্রাণীর সদ্য জবাইকৃত অঙগ প্রত্যনঙগ বিক্রি করত। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয় যে, হয়ত কোন প্রাণী থেকে করোনা ভাইরাস বিবর্তন করেছে। যা আর ও একটি মধ্যবর্তী পোষাপ্রাণীর মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমিত হচ্ছে। ২০২১ সালের ৭ ই জানুয়ারি তারিখে, নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস এর হিসাব অনুযায়ী world এর বেশির ভাগ দেশে, ভাইরাস টি তার জিনুম পালটে নতুন ধরনের ভাইরাস এ পরিবর্তন হয়ে সারা world এ অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। যার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশেই মহামারীর রুপ নিয়েছে। সমগ্র Europe, america, france, brazil, india and asia সহ আজ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।।৷

1
$ 0.00
Avatar for UmmulKhair
3 years ago

Comments