#বউ যখন কাজের মেয়ে
পর্ব-২
#লেখক:জীবন
.
মাহিম অনেক কিছু ভেবে মাহিম ঢুকে পড়লো
,
,
রুমে ঢুকে বলতে লাগলো
মাহিম:-বলছি আপনার ব্যাক গোছানো আছে? নাকি এখনো গুছিয়েনেন্নি?
,
প্রিয়া মাহিমের কথার কোন উত্রর না দিয়ে প্রিয়া মাহিমের কাছে আসলো,এসে সালাম করতে প্রিয়া মাহিমের পা ছুতে যাবে ঠিক তখনি মাহিম পা সরিয়ে নিয়ে তারপর তার কাদ ধরে তুলে
ঠাসস করে একটা চর বসিয়ে দিল প্রিয়ার গালে।
মাহিমের এমন কাজ দেখে প্রিয়া অসহায় চোখে তাকিয়ে রইলো।
,
মাহিম:-(রাগি কন্ঠে)আমি কি বলছি আপনার কানে যাচ্ছেনা? নাকি ভেবে নিয়েছেন বিয়ে করেছি বলে আগের সবকিছু ভূলে আপনাকে আমার স্ত্রী হিসাবে মেনে নিয়েছি।
,
প্রিয়া কিছু বলছেনা চুপ করে আছে
,
মাহিম:-যদি সেটা ভেবে থাকেন, তাহলে সেই স্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে দিন,কারন আমি আগের কিছুই ভূলিনি,আর ভূলবও না।আর আপনাকে আমার স্ত্রী হিসাবে মেনে নেওয়ার তো কোন প্রশ্নই উঠেনা,কারণ আমার স্ত্রী হওয়ার আপনার কোন যোগ্যতাই নেই।! নিন তারাতারি রেডি হয়েনিন অনেকটা পথ যেতে হবে।
,
প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে মাথা নিচু করে শুধু চোখের জল ফেলছে।
,
মাহিম:-কি হলো আপনি এখনো দাড়িয়ে আছেন কেন?আমার কথা কি এখনো বুঝতে পারেননি?(ধমক দিয়ে)
,
প্রিয়া:-(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)কোথাও যাব আমি?(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম:-হাহা সেটা আমি কি করে বলবো যে আপনি কোথায় যাবেন?(একটু হাসি দিয়ে)
,
প্রিয়া:-ঐ বাড়িতে আমি আবার ফিরে গেলে আমার মামী আমাকে মেরেই ফেলবে,কিছুতেই ঐ বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দিবেনা(কেঁদে কেঁদে)
,
মাহিম:-এই দেখুন আপনার এইসব কাহিনি শুনার কোন ইচ্ছে আমার নেই।আপনি হাত জোর করে আপনাকে বিয়ে করতে বলেছেন বলেই আমি আপনার কথা মতো আপনাকে বিয়েটা করেছি,সো এখন কথা মতো আপনিও একখনি এই মুহূর্তে এই বাসা থেকে বেড়িয়ে যাবেন ব্যাস্(বিরক্তির ভাবে)
,
প্রিয়া:-(হাত জোর করে)প্লিজ শুধু আজকে রাতটা আমাকে এখানে থাকতে দিন,কাল সকাল হতেই আমি আপনাদের বাসা ছেড়ে চলে যাব(কেঁদে কেঁদেই)
,
মাহিম:-বাহ্,আসতে না আসতে দেখি আপনি এখন উল্টা সুর গাইছেন?
,
প্রিয়া:-প্লিজ শুধু আজকের রাতটা আমি কথা দিচ্ছি আমি কাল ভর হতেই আমি চলে যাব,দয়া করে যখন বিয়েটা করেছেন এবার দয়া করে শুধু আজকের রাতটা থাকতে দিন প্লিজ(হাত জোর করে কেঁদে কেঁদে)
,
""মাহিম:-""সেদিন যদি তুমি আমাকে ঐভাবে সবার সামনে চর না মারতে,অপমান না করতে,আমার ভালোবাসাকে অবহেলা না করতে,তাহলে হয়তো আজকে তোমাকে আর এইদিনটা দেখতে হতো না।আমার কাছে তোমাকে এভাবে হাত জোর করে কেঁদে কেঁদে একটা রাত থাকার জন্য চেতে হতোনা,তোমাকে সারা জীবনের জন্য আমার বুকে রাগলে রাখতাম কোন কষ্ট হতে দিতাম না তোমার।
আজকে তুমি যতটা কষ্ট পাচ্ছ সেদিন তোমার থেকে বেশি কষ্ট আমি পেয়েছি,যেদিন তুমি আমার ভালোবাসাকে ঐভাবে ফিরিয়ে দিয়েছো,আরো কষ্ট দিব তোমাকে,কষ্ট কষ্ট দিতে শেষ করে দিব তোমাকে। মনে_মনে)""
,
মাহিম:-এই আপনাদের মতো মেয়ে গুলোকে না আমি খুব ভালো ভাবেই চিনি,এখন বলছেন শুধু আজকের রাতটা,আর কালকে বলবেন আর দুইটা দিন তারপর নিজের স্ত্রীর অধিকার চাইবেন।
,
প্রিয়া:-না না আমি সত্যি বলছি আমি কাল ভর হতেই আপনাদের বাসা ছেড়ে চলে প্লিজ বিশ্বাস করুন(কেঁদে কেঁদেই)
,
মাহিম ভাবছে এতরাতে একলা একটা মেয়ে চিনেনা-জানেনা কোথায় কার কাছেই বা যাবে।
প্রিয়া মায়া ভড়া মুখ দেখে মাহিমের মনে একটু মায়া হলো,তাই সে আর কিছু না বলে খাঁট থেকে শুধু একটা বালিশ মেঝে ছুড়ে মেরে বলল
মাহিম:-এই নিন মনে রাগবেন শুধু আজকের রাতটা,বাট আমার রুমেরর ভিতরে না।
,
এইবলে মাহিম খাটের উপরে সুয়ে চোখ বন্ধ করলো।
প্রিয়া চোখের পানি মুছতে মুছতে বালিশটা কুরে হাত নিয়ে বাহিরে চলে আসলো।
,
বাহিরে হিম পরছে হালকা হওয়া খুব ঠান্ডা ইচ্ছে করছে কাতা গায় দিয়ে সুতে,কিন্তু প্রিয়ার পরনে শুধু একটা শাড়ি আর কিছুই নেই।
প্রিয়া বালিশটা মেঝেতে দিয়ে শাড়িটা পেচিয়ে সুয়ে কাঁন্না করছে আর ভাবছে,আজকে তো থাকার জন্য একটা বালিশ হলেও পেয়েছি কিন্তু কালকে কোথায় যাব? কার কাছে যাব? পৃথিবীতে তো আপন বলতে শুধু মামা কিন্তু সেখানেও তো যাওয়া যাবেনা।এমনিতেই বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে গ্রামের লোকজন সব সময় হাসি-ঠাট্টা আজে-বাজে কথা বলে,আর এখন বিয়ের পর স্বামী ছাড়া সেখানে ফিরেগেলে গ্রামের লোকজন আর তার মামী তাকে শেষ করে ফেলবে।সাথে তার মামারও জীবনটাও শেষ হয়ে যাবে,তাই সেখানে যাবেনা।
তাহলে প্রিয়া যাবে কোথায়? থাকবে কোথায়?
এইসব ভাবছে আর সুয়ে সুয়ে কান্না করছে প্রিয়া।
,
আসলে পৃথিবীর নিয়মটাই এমন।
যার আছে তো সবকিছুই আছে,আর যার নেই তো কিছুই নেই।সেই রকম হলো প্রিয়া,সেই ছোট্ট থেকে অনেক কষ্ট করে বড়হয়েছে,ছোট্ট বেলায় ভাবতো বড়হলে হয়তো আর কষ্ট থাকবেনা,কিন্তু বড়হয়েও কষ্ট দূর হলো না মামীর জ্বালায় জীবন শেষ।
তারপর ভাবতো বিয়ে হলে শ্বশুড় বাড়ি গেলে তখন আর কোন কষ্ট থাকবেনা কিন্তু বিয়ের পরেও কষ্ট প্রিয়া পিচু ছাড়লো না।
,
,
,
মাহিম সুয়ে সুয়ে ভাবছে যে অপমানের জ্বালা তার ভিতরে জ্বলছে,সেই অপমানের এক একটা কথার প্রতিশোধ প্রিয়ার চোঁখের জল দিয়ে সে নিভাবে।আর সেটা কাল সকাল থেকে প্রিয়াকে কষ্ট দিয়ে শুরু করবে,ওর ভালোবাসাকে সবার সামনে যতটা অপমান অবহেলা করেছে সেটা মাহিম প্রিয়াকে ডাবল অপমান অবহেলা কষ্ট দিয়ে তার প্রতিশোধ নিবে।
,
,
,
সকাল বেলা মাহিমেরর আগে ঘুম ভেঙে য়ায়,ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৭টা বেজেগেছে।মাহিম উঠে দেখলো সে ছাড়া আর কেউই রুমে নেই,প্রিয়াকে রুমে কোথাও দেখতে পেলো না।প্রিয়া সত্যি সত্যি ভর হতেই চলেগেছে নাকি?সেটা ভেবে তারাতারি উঠে ওয়াশরুমে গেল,গিয়ে দেখলো কেউ নেই।তারপর যখন রুমের বাহিরে আসতে যাবে ঠিক তখনি দেখলো প্রিয়া তার রুমের দরজার সামনে ঠান্ডায় ছোট্ট বাচ্চাদের মতো গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে।
মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,কি মায়া ভরা নিষ্পাপ মুখ,প্রিয়াকে ঘুমন্ত আবস্তায় ঠিক যেমন একটা ঘুমন্ত পরীর মতো লাগছে।
মাহিম প্রিয়াকে এভাবে দেখে একহাটু ফেলে বসলো,বসে খেয়াল করলো কালকে রাতের চরটার আঙ্গুলের ছাপ প্রিয়ার গালে এখনো দ্যাগ হয়ে আছে।প্রিয়ার গালে আঙ্গুলের ছাপ দেখে মাহিমের মনে কেমন জানি একটু মায়া লাগছিল,মাহিম হাত দিয়ে প্রিয়ার গালে দেখলো জ্বরে প্রিয়ার গাঁ পুরে যাচ্ছে।মাহিমের স্পর্শ পেয়ে অমনি প্রিয়ার ঘুম ভেঙে যায়।প্রিয়া মাহিমকে দেখে চমকে উঠে শাড়িটা ঠিক করতে লাগলো।
প্রিয়া:-আআপনি?
,
মাহিম খেয়াল করলো প্রিয়ার মুখ কেমন সুকিয়ে গেছে দেখে মনে হচ্ছে গতকাল থেকে কিছুই খায়নি, ঠিক মতো দাড়াতে পাচ্ছেনা।
,
মাহিম:-হুম,আমি
প্রিয়া:-আসলে খুব ঘুম ধরেছিল তাই আগে উঠতে পারিনি,আমি এখনি আমার ব্যাক নিয়ে চলে যাচ্ছি
,
মাহিম""এখনো দেখি তেস কমেনি(#মনে_মনে)
,
প্রিয়া রুমে থেকে তার ব্যাকটা নিয়ে চলে যাচ্ছিল এমন সময় মাহিম বলে উঠলো।
মাহিম:-দাড়ান
,
প্রিয়া মাহিমের কথা শুনে দাড়ালো
মাহিম:-কই যাচ্ছেন?
প্রিয়া:-তা জানিনা,কিন্তু আপনার বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছি,আপনাকে তো কথা দিয়েছি সকাল বেলা আপনার বাসা ছেড়ে চলে যাব।তাই সবাই উঠার আগেই চলে যাচ্ছি(শান্ত ভাবে)
,
""মাহিম"-এখনো দেখি তেস কমেনি,ঠিক মতো দাড়াতে পাচ্ছেনা আর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে,,তোমাকে এত সহজে ছেড়ে দিচ্ছিনা,আমার এক একটা অপমানের প্রতিশোধ নিব তারপর(মনে_মনে)"!
,
মাহিম:-চলুন আমিও যাব আপনার সাথে
,
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া কিছু অবাক হয়ে বলল
প্রিয়া:-আপনিও যাবেন মানে?
,
মাহিম:-আপনাকে আপনার গ্রামে দিয়ে আসবো
,
প্রিয়া:-আমি গ্রামে ফিরে যাব না।
,
মাহিম:-তো কই যাবেন?আপনার তো ঐখানে যাওয়া ছাড়া আর কোন জায়গা নেই
,
প্রিয়া:-জানিনা,আর আপনার আমাকে নিয়ে ভাবতে হবেনা।আমি ঠিক একটা থাকার জায়গা ম্যানেজ করে নিব।(অভিমানী সুরে)
,
মাহিম:-আপনাকে যেখান থেকে এনেছি সেখানে দিয়ে আসবো আমি
,
প্রিয়া:-থাক আপনাকে আর আমার জন্য কষ্ট করতে হবেনা,এমনিতেই আপনি আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন।আর কিছুই করতে হবেনা আপনার
,
মাহিম:-"যা করছি সেটা শুধু আমার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য করছি,এত সহজে তোমাকে মুক্তি দিচ্ছিনা।(মনে মনে)
মাহিম:-দেখুন আশার সময় আপনার মামা আপনার হাত আমার হাতে তুলে দিয়েছিল,এখন আমি আপনার হাত আপনার মামার হাতে তুলে দিয়ে আসবো।তারপর আপনি যেখানে ইচ্ছে সেখানে যাবেন(বিরক্তিকর ভাবে)
,
প্রিয়া আর কিছু বললো না,কারণ সে কথাই বলতে পারছেনা।২দিন থেকে ঠিত মতো খাওয়া-দাওয়া ঘুম হয়নি প্রিয়ার সরিল তেমন দুর্বল হয়েগেছে,তাই সে আর কথা না বারিয়ে মাহিম আর প্রিয়া রহনা হলো প্রিয়ার গ্রামে।
,
,
সবাই ঘুম থেকে উঠার আগেই মাহিম গাড়ি বেড় করলো,মাহিম ড্রাভিং ছিটে বসলো আর প্রিয়াকে বলল
মাহিম:-ভিতরে এসে বসুন(তার পাশের ছিটে বসতে বলল)
,
প্রিয়া মাহিমের কথা মতো এসে বসে গাড়ির দরজাটা লাগিয়ে দিল।
,
মাহিম:-ছিটবেলটা আটকে নিন।
,
প্রিয়া ছিটবেল নিয়ে টানা-টানি করছে আটকাতে পারছেনা।মাহিম সেটা দেখে প্রিয়ার ছিটবেলটা লাগিয়ে দিল।
মাহিম ড্রাভিং করছে আর প্রিয়া মন খারাপ করে চুপ করে আছে।
,
,
,
""কিছু দুরে যাওয়া পর""
একটা রেস্টুরেন্টে মাহিম গাড়ি থামিয়ে মাহিম আর প্রিয়া কিছু খেয়েনিল।তারপর মাহিম ড্রাভিং করছে আর প্রিয়া ছিটের মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছিল,ঝানালা দিয়ে আসা হাওআয় প্রিয়ার চুল গুলো উরে তার কাপালে পরে দল খাচ্ছিল,আর মাহিম সেটা বারবার প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখছিল,আর ড্রাভিং করছিল।
,
,
প্ররায় সারাদিন গেল,কিন্তু রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে এখনো তাদের গ্রামে যেতে পারলো না।
,
,
মাহিম ড্রাভিং করছে আর প্রিয়া ঘুমাচ্ছিল,এমন সময় মাহিম দেখতে পেল রাস্তায় অনেক লোকজন ভির করে চিতকার-চেচামিচি করছে।মাহিম সেটা দেখে গাড়িটা ব্রেক করলো।
গাড়িটা ব্রেক করাতে প্রিয়ার ঘুম যায়।প্রিয়া ঘুম থেকে উঠে তার ব্যাকটা নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে যাচ্ছিল এমন সময়
মাহিম:-এখনো আপনাদের গ্রাম আসেনি
,
প্রিয়া:-তাহলে গাড়ি থামালেন কেন?(অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
,
মাহিম:-সামনে দেখতে পাচ্ছেন না(রাগি কন্ঠে)
,
প্রিয়া সামনে তাকিয়ে
প্রিয়া:-কি হয়েছে?
,
মাহিম:-যানলে কি আর গাড়িটা এখানে ব্রেক করতাম? যত্রসব(রাগি কন্ঠে)
,
এইবলেই মাহিম গাড়ি থেকে মেনে দাড়ালো।মাহিম গাড়ি থেকে মেনে আর কাউকে দেখতে না পেয়ে এক বয়স্কি ভদ্র লোক দেখে ডাকলো।
ভদ্র লোক:-কি বাবা?
মাহিম:-আচ্ছা চাচা সামনে আর গাড়ি যেতে দিচ্ছেনা কেন?সবাই এতভির করে আছে কেন?
ভদ্র লোক:-একটু আগে অনেক বড় একটা Accident হয়েছে,১টা বাচ্চাের মারাগেছে আর অনেক লোকজনের ক্ষতি হয়েছে,সেটা নিয়েই গ্যাম-জ্যাম বর্তমান কোন গাড়ি যেতে দিচ্ছেনা
মাহিম:-এইরকম কতখন থাকবে বলতে পারেন?
,
ভদ্র লোক:-যেভাবে দেখলাম তাতে মনে হয় কাল ছাড়া হবেনা
,
মাহিম:-আচ্ছা এই রাস্তা ছাড়া যাওয়ার মতো আর কোন রাস্তা নেই?
ভদ্র লোক:-কোথায় যাবেন আপনারা বাবা?
মাহিম:-***গ্রামে
ভদ্র লোক:-না নেই,আর সেতো এখনো যেতে ৩/৪ঘন্টা লাগবে,হেটেও যাওয়া যাবেনা।
,
মাহিম ভদ্র লোকের কথা শুনে টেনশনে পরে গেল।
,
ভদ্র লোক:-আচ্ছা বাবা যদি কিছু মনে না কর একটা কথা বলি?
,
মাহিম:-জ্বি বলুন?
,
ভদ্র লোক:-***গ্রাম তো এখনো অনেক দূরে,আর সন্ধাও তো হল আর আশে-পালে থাকার মতো কোন ব্যাবস্তাও নেই।এই জায়টা বেশি ভালো না,আমি বলি কি রতটা এখানে না থেকে আমার সাথে আমার বাড়িতে থেকে যেতে পারো
,
মাহিম:-না না চাচা লাগবেনা।
,
ভদ্র লোক:-ভয় নেই বাবা আমার বাড়িতে শুধু আমি আর আমার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই।
,
মাহিম ভদ্র লোকের কথা শুনে ভাবতে লাগলো,এখন তো বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্ররায় রাতটাই শেষ হবে।আর এখানে থাকাও যাবেনা চার দিকে জাগাটা কেমন ভয়ানক ভয়ানক।মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়ার গাঁয়ে তো জ্বর আর প্রিয়াকে খুব ক্লান্ত ক্লান্ত লাগছে।আর লোকটা কে দেখে ভদ্রই মনে হচ্ছে,তাই সে আর কিছু না ভেবেই রাজি হলো,আর ভদ্র লোক সহ গাড়ি নিয়ে তার বাড়ির দিকে রহনা দিল।
,
,
,
গ্রামের রাস্তা গাড়ি করে আসতে আসতে প্ররায় রাত ৯টা বেজে গেল।
,
মাহিম গাড়িটা ভদ্র লোকের বাড়ির সামনে ব্রেক করে ভদ্র লোকের বাড়িতে ঢুকলো।
ভদ্র লোক তার স্ত্রীকে ডাকলো তারপর সবকিছুই খুলে বললো।
,
তারপর ভদ্র লোকের স্ত্রীর প্রিয়া আর মাহিমকে রুমের ভিতরে নিয়ে গেল,নিয়ে সবাই মিলে খেতে বসলো,প্রিয়া প্রথমে খেতে চাইলো না,কিন্তু ভদ্র লোকের স্ত্রীর জোরা-জুরিতে অল্প করে খেলো।
,
খাওয়া-দাওয়ার পর
ভদ্র লোকের স্ত্রী:-বাবা তোমরা কি স্বামী-স্ত্রী?
,
কথাটা শুনে প্রিয়া আর মাহিম দুজনি চুপ হয়েগেল।কেউই কিছু বলছেনা দুজনি-দুজনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়া মাহিমের চুপ করা দেখে বলতে যাবে যে না,তখনি মাহিম বলে উঠলো
মাহিম:-জ্বী আমরা স্বামী-স্ত্রী,নতুন বিয়ে হয়েছে গ্রামে ব্যারাতে যাচ্ছিলাম।
,
মাহিমের কথা শুনে প্রিয়া হতাস হয়ে অন্যরকম একটা মায়া নিয়ে তাকিয়ে রইলো,হতে পারে এইটা মিথ্যে কিন্তু মাহিমের নিজের মুখে এই কথাটাই প্রিয়ার কাছে অনেক কিছু।
,
,
ভদ্র লোকের ছোট্ট দুইটা ঘর,যেটা সব থেকে একটু ভালো সেটাই মাহিম আর প্রিয়াকে থাকতে দিল।
মাহিম রুমে এসে দেখলো ছোট্ট একটা বিছানা, একটা বালিশ,একটা কাতা আর একটা চ্যায়ার ছাড়া আর কিছুই নেই।
মাহিম রুমে এসে বিছানাটায় বসে পরলো।
একটু পর প্রিয়া রুমে আসলো,এসে দরঝাটা লাগিয়ে দিল,দিয়ে মাহিমেরর কাছে আসলো
মাহিম:-এখানে তো একটাই বিছানা?
,
প্রিয়া:-আপনি অনাদের কে মিথ্যে বলতে গেলেন কেন?সত্যিটা বলতেন যে ব্যারাতে না আমাকে রেখে আসতে যাচ্ছেন।তাহলে তো অনারাই একটা ব্যাবস্তা করে দিতেন
,
মাহিম:-(বসা থেকে উঠে)এই দেখুন একদম আমাকে কিছু শিখাতে আসবেন না,আমি আপনার থেকে অনেক কিছুই জানি।অনাদের কে সত্যিটা বললে না এইশিতের রাতে গাঁছ তলায় কাঁটাতে হতো(রাগি কন্ঠে)
,
প্রিয়া:-ঠিক আছে,আপনি বিছানায় সুরে পড়ুন আমি এই চ্যায়ার টায় বসে রাতটা কাঠিয়ে দিব।
,
মাহিম প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়াকে খুব ক্লান্ত ক্লান্ত লাগছে।
,
মাহিম:-এই বিছানায় আমার কিছুতেই ঘুম আসবেনা
,
প্রিয়া:-বলেছিলাম না আসতে, আর এসেই যখন পরেছেন তখন আজকে রাতটা একটু কষ্ট করে কাঠিয়ে দিন
,
মাহিম:-এই আপনার কি মনে হয়? আমি আপনার সাথে এসেছি বলে কি আমি আপনাকে ভালোবাসি,আপনাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিব(চেঁচিয়ে)
,
প্রিয়া:-বালাইশাঁট(গ্রাম্য ভাষা)আমি কেন সেটা ভাবতে যাব?আপনার স্ত্রী হওয়া এইটা তো আমি কল্পনাও ভাবিনি
,
মাহিম""-এতটা ঘূনা করো আমাকে,এতটা খারাপ ভাব আমাকে যে আমার স্ত্রী হওয়া তুমি সেটা কল্পনাও ভাবো না(মনে মনে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে)
,
প্রিয়া:-""তুমি তো আমাকে ভালোইবাসো না,আমাকে সয্যই করতে পারো না।তোমার স্ত্রী হওয়ার কোন যোগ্যই তো আমার নেই।তাই তোমার স্ত্রী হওয়ার কথা আমি কল্পনাও ভাবিনা।(মনে মনে মাহিমের দিকে তাকিয়ে)
চলবে,,,
খুব ভালো লাগলো আপনার গল্পটা পড়ে ঠিক চটি গল্পের মত।