"বৈবাহিক ধর্ষণ আইন" আসলে কোন আইন নয়।
এটা শুধুমাত্র বিবাহকে কঠিন করে যিনা ও পরকীয়াকে সহজ করে দেওয়ার একটা সূক্ষ্ম কৌশল মাত্র।
বাদী নিজে কখনো সাক্ষী হতে পারে না।
কোন স্ত্রী তার স্বামীর নামে বৈবাহিক ধর্ষণ আইনে মামলা করলে পুলিশ স্বামীকে গ্রেপ্তার করবে ঠিক,
কিন্তু এই মামলার কোন সমাধান হবে না!
কারণ, স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার শারীরিক সম্পর্ক জোরপূর্বক ছিল,
নাকি সম্মতিপূর্ণ ছিল তা প্রমাণ করার জন্য কোন সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এমনকি কোন মেডিকেল রিপোর্টও
এটা প্রমাণ করতে পারবে না।
স্বামী বেচারা মুক্তি পাবে ঠিকই।
তবে মামলার নিষ্পত্তি হতে হতে
তাকে বছর কয়েক জেলেই কাটাতে হবে!
ফলে এ আইনে সুযোগ নিবে দুশ্চরিত্রা নারীরা।
তারা সহজে পরকিয়ায় লিপ্ত হবে।
স্বামীর চোখে ধরা পড়লেও স্বামী বেচারা কিছুই করতে পারবে না।
স্বামী কিছু বললেই স্ত্রী বৈবাহিক ধর্ষণ আইনে
স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে তার পরকীয়ার পথ
আরো সুগম করে নিবে!
বৈবাহিক জীবনের প্রতি মানুষের ঘৃণা জন্মাবে। শয়তানের ষোলোকলা পূর্ণ হবে।
শয়তানের অনুসারীদের বয়কট করুন।
সমাধানের জন্য ইসলামের পথে আসুন।
ইসলামে বিয়েকে এতটাই সহজ করতে বলা হয়েছে যেন যিনা কঠিন হয়ে যায়।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো শান্তি, স্বস্তি ও ভালোবাসা।
আর এ বিষয়গুলো সম্পূর্ণই মানসিক উপাদান, বৈষয়িক উপাদান নয়।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
'তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে
তোমাদের সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকতে পারো এবং তিনি তোমাদের মাঝে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’
(সূরা রূম : ২১)
রাসূল (স:) বলেন,
‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ করো।’
(তিরমিজি : হাদিস-১১৬৩)
তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম,
যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’
(তিরমিজি : হাদিস-১১৬২)
স্বামী স্ত্রীর সবচেয়ে উত্তম সম্পর্কের
উপমা স্বয়ং আল্লাহই দিয়েছেন।
'তারা তোমাদের পোশাকস্বরূপ
এবং তোমরাও তাদের পোশাকস্বরূপ।’
(সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৭)