তবুও তোমাকে ভালোবাসব

0 9
Avatar for Tania
Written by
4 years ago

তবুও_তোমাকেই_ভালোবাসব❤

Part:01+02

,,,,,,, ,

পাত্রী দেখতে এসে তিয়াসকে এতো অপমানিত হতে হবে তা হয়তো তিয়াস স্বপ্নেও ভাবে নি। তিয়াস যাকে পাত্রী হিসেবে দেখতে এসেছিল সেই তিতলি দুই হাতে বিরিয়ানির প্লেট ধরে পুরোটা তিয়াসের মুখে ছুঁড়ে মারে। যার ফলস্বরূপ তিয়াসের চোখ মুখে গরম বিরিয়ানি পড়ে। তিতলি তো এখনো হাসছে তো হাসছেই। আর তিয়াস চোখ, মুখ, শরীর থেকে বিরিয়ানির পোলাও মাংস সরিয়ে তিতলির দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকাল। তিতলির এতে কিছুই যায় আসছে না। তিয়াসের মা-বাবাও তিতলির এমন কান্ড দেখে অবাক৷ শেষে কিনা ছেলের জন্য এমন পাত্রী তারা দেখতে এসেছে! তিতলির বাবা তিতলির গালে ঠাসস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল। তিতলি কান্নাজড়িত চোখে তার বাবার দিকে তাকিয়ে রইল। তিতলির বাবা বেশ রাগী গলায় তমাকে বলল,

.

--বেহায়া, অসভ্য মেয়ে। তুমি এটা কি করলে! তুমি ছেলেটার মুখে এভাবে গরম বিরিয়ানি ঢাললে কেন?

.

--বেশ করেছি বাবা। তুমি আমাকে কেন জোর করে বিয়ে দিতে চাইছো। আমি তো তোমায় বলেছি আমি এখন বিয়ে করব না। আমি পড়াশোনা করে চাকরি করব।

.

--চুপ! একদম চুপ! তোমাকে আদরে আদরে যে বাঁদর বানিয়েছি তা হারে হারে টের পাচ্ছি আমি।

.

তিতলি মাথানিচু করে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে লাগল। বাবা তাকে এই প্রথম এতো জোরে থাপ্পড় মারল তা তিতলি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তিতলির বাবা পাত্রপক্ষদের উদ্দেশ্যে বলল,

.

--আপনারা কিছু মনে করবেন না। মেয়েটা ছোট মানুষ তাই বুঝতে পারে নি। আপনারা আমার মেয়েটাকে ক্ষমা করে দিবেন।

.

তিয়াসের মা রাগী গলায় তিতলির বাবাকে বলল,

.

--আপনার মেয়ে যে এতোটা অসভ্য তা আমরা জানতাম না। কিভাবে পারল আপনার মেয়ে আমার ছেলের মুখে বিরিয়ানি ছুঁড়ে মারতে। আপনাদের মতো মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা যে এতোটা বাজে হয় তা আগে জানতাম না৷ আমার ছেলের বিয়ে তো আমি এই মেয়ের সাথে কিছুতেই দিব না।

.

তিয়াসের বাবা তিতলির বাবাকে বলল,

.

--আপনাদের মেয়েকে পারলে একটু সভ্য করবেন৷

.

তিয়াসের মা-বাবা দুজনেই বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। কিন্তু তিয়াস এখনো সেই একইভাবে বসে আছে। তিয়াসের চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। কিন্তু তিয়াস মুখে কিছু বলছে না। সবকিছু চুপচাপ সহ্য করছে। তিয়াসের মা তিয়াসকে বলল,

.

--কি হলো বাবা উঠো। তোমাকে আমরা জোর করে পাত্রী দেখাতে এনেছিলাম৷ তোমার তো কোনো দোষ নেই৷ কষ্ট পায় না বাবা উঠো। আমি তোমার জন্য খুব সুন্দর মেয়ে এনে দিব। আর এভাবে কারও বাসায় তোমাকে আসতেও হবে না। আমাদেরই ভুল হয়েছে।

.

তিয়াস চুপচাপ তার মায়ের কথা গুলো শুনল। তিয়াস তার মা-বাবার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল,

.

--মা, বাবা, আমি এই মেয়েকেই বিয়ে করব। তোমরা পাত্রী দেখা বন্ধ করো। তিতলির সাথে আমার বিয়ে হবে। তাও ঠিক তিনমাস পরেই হবে।

.

তিয়াসের মুখে এমন কথা শুনে তিতলি আকাশ থেকে পড়ল। তিতলি ভাবতেও পারে নি তিয়াস রাজি হয়ে যাবে। তিতলির বুকের ভিতরটা ধুকপুক করছে। তিতলি মনে মনে বলল,

.

--এ আমি কি শুনছি! বিয়েটা ভাঙানোর জন্যই তো ছেলেটার মুখে বিরিয়ানি ছুঁড়ে মারলাম। যাতে পাত্রপক্ষ বিদায় হয় কিন্তু এই ছেলে বলছে আমাকে বিয়ে করতে রাজি। না না না এটা হতে পারে না। আমি বিয়ে করতে চাই না। আমি এখন কি করব!!!

.

তিয়াসের কথা শুনে তিতলির মা-বাবা খুব খুশি। কিন্তু তিয়াসের বাবা তিয়াসকে বলল,

.

--কিসব বলছো তুমি তিয়াস? এই অপমানের পরেও তুমি বলছো তুমি তিতলি মেয়েটাকে বিয়ে করবে?

.

--হ্যা বাবা আমি তিতলিকেই বিয়ে করব।

.

তিয়াস তিতলির দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। আর তিতলির তো ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। তিয়াস তিতলির দিকে তাকিয়েই মুচকি হাসি দিল। তিয়াস তিতলির বাবাকে বলল,

.

--আংকেল আমার তিতলিকে পছন্দ হয়েছে। আগামী তিনমাস পর আমি তিতলিকে বিয়ে করব।

.

তিতলির বাবা হাসিমুখে তিয়াসকে বলল,

.

--ঠিক আছে বাবা। তুমি যা বলবে তাই হবে। আমার মেয়েকে তোমার পছন্দ হয়েছে তাতেই আমি খুশি। তুমি আমার মেয়েটার ওপর রাগ করে থেকো না বাবা। তিতলি একটু এমনই। ছোট মানুষ তাই বুঝে নি।

.

--আংকেল আমি তিতলির বিহেভে কিছু মনে করে নি। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না।

.

তিয়াস তিতলির বাসা থেকেই বেরিয়ে পড়ল। তিয়াসের মা-বাবা তো অবাক। যেই ছেলেকে বিয়ের জন্য রাজী করানো যায় না। হাজার পাত্রী দেখিয়েও যার পছন্দ হয় না। আর সে কিনা এই মধ্যবিত্ত ঘরের পাগল মেয়ে তিতলিকে বিয়ে করতে রাজী হলো। তিয়াসের মা-বাবাও তিতলির বাসা থেকে চলে গেল। তিতলির মা-বাবা তো আনন্দে পারে না নাচানাচি করে। কিন্তু তিতলির মনে কোনো খুশি নেই। তিতলি হঠাৎই নিজে নিজেই বলল,

.

--এটা আমি কি করলাম?

চলবে.....

তবুও_তোমাকেই_ভালোবাসব❤

Part:02

তিতলি ধপ করে মাটিতে বসে পড়ল। কপালে হাত দিয়ে বসে রইল কিছুক্ষণ। তিতলির মা তিতলিকে টেনে তুলে জিজ্ঞেস করল,

.

--কি হলো তিতলি? তুই এভাবে নিচে বসে পড়লি কেন? তোর কত বড়লোক পরিবারে বিয়ে হচ্ছে তোর তো খুশি হওয়ার কথা।

.

--মা আমার কিছু ভালো লাগছে না। আমাকে একটু একা থাকতে দাও।

.

তিতলি নিজের ঘরে চলে গেল। তিতলির বাবা তিতলির মাকে বলল,

.

--তোমার মেয়ে আজ যা করল তাতে বিয়েটা আরেকটুর জন্য ভেঙে যেত। মেয়েটাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলো যাতে পাগলামি না করে।

.

তিতলির মা তার স্বামীর কথা শুধু কান দিয়ে শুনল। মুখে কিছু আর বলল না। এদিকে তিতলি নিজের রুমে এসেই প্রথমে দরজা আস্তে করে বন্ধ করল। তারপর হঠাৎই কপালে হাত দিয়ে নিজে নিজে বলে উঠল,

.

--হায় হায় হায় আমার পুড়া কপাল গো। এ আমি কি করলাম গো। জীবনটা আমার ত্যানা হইয়া গেলো গা গো। পোলার মুখে বিরিয়ানি ছুঁড়ে মেরে নিজেকে মুক্ত করতে গিয়ে সেই জালে বন্ধী হয়ে গেলাম গো। ঐ ব্যাটা শয়তানের হাড্ডি কেন রাজি হলি তুই?! আচ্ছা আমাকে বিয়ে করার পর নিশ্চয়ই আমার উপর সেই রকম অত্যাচার করবে। আয় হায় গো। আমি এক অসহায় রমনী হয়ে যাবো গো। কিন্তু না। হাল ছাড়লে চলবে না। ব্যাটা বলেছে তিনমাস পড়েই আমাকে বিয়ে করবে। তাই এই তিনমাস তো অনেক সুযোগ। এই তিনমাসে ঐ ছেলের কাছে আমি নিজেকে প্রমাণ করব আমি কতটা খারাপ। তাহলেই তো হলো। ইয়াহু।

.

তিতলি কথাগুলো নিজে নিজেই বলে খুশিতে লাফাতে লাগল৷ তারপর বিছানায় শুয়ে পড়ল। এদিকে তিয়াস নিজের ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসল। তিয়াসের হঠাৎই তিয়াসের মুখে তিতলির বিরিয়ানি ছুঁড়ে ফেলার কথা মনে পড়ে যায়। প্রথমে তিয়াসের রাগ হলেও এখন তিয়াসের তেমন রাগ লাগছে না। তিয়াস হঠাৎই বলল,

.

--ক্রেজি গার্ল। মেয়েটা টুটালি মেড। বাট নো প্রবলেম। একে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমার জানা আছে। তিয়াস চৌধুরীকে ঐভাবে অপমান করার শাস্তি তুমি পাবে মিস তিতলি।

.

তিয়াস তিতলির ফোন নাম্বারে ডায়াল করল। তিতলি তখন বিছানায় ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ফোন বাজছে দেখে ফোনের নাম্বার না দেখেই ফোনটা রিসিভ করে তিতলি বলল,

.

--হ্যালো কে বলছিস? আমায় একটু ঘুমাতে দে তো বাপ। বড়ই ঘুম পাচ্ছে। এবার ফোন রাখ তো।

.

তিতলির মুখে এমন কথা শুনে তিয়াসের চোখ বড়বড় হয়ে গেল। সাথে কিছুটা অবাকও হলো। তিয়াস রেগে গিয়েই তিতলিকে বলল,

.

--হোয়াট ননসেন্স। এই মেয়ে তুমি ফোন রিসিভ করেছো কিন্তু কে ফোন করেছে সেটা কি ভালো করে জানতে চাইবে না? না জেনে না শুনে কিসব উল্টা পাল্টা বলছো?

.

তিতলি এবার কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়ে স্বাভাবিক হলো। কান থেকে মোবাইলটা সরিয়ে একবার ভালো করে দেখে নিয়ে দেখল একটা আননোন নাম্বার। তিতলি আবারও কানে মোবাইলটা ধরে বলল,

.

--কে গো আপনি? চিনি নাতো। একেই তো আমার ঘুমের একশোটা বাজিয়েছেন তারওপর আবার রাগী গলায় কথা বলছেন! আপনার সাহস তো কম নয়!

.

--হুয়াট! তিতলি তোমার মাথা ঠিক আছে তো? আমি তিয়াস। যার সাথে তোমার তিনমাস পর বিয়ে হবে।

.

--কিহ্? আপনি তিয়াস! আপনি আমার ফোন নাম্বার কি করে পেলেন?

.

--সামান্য ফোন নাম্বার জোগাড় করা আমার কাছে কোনো মেটার করে না।

.

--ওহ ভালো। তো এখন ফোন রাখুন। আমি ঘুমাব। বাই।

.

--এই মেয়ে একদম ফোন কাটবে না। ফোন কাটলে পিটিয়ে তোমায় ফুটবল বানাব।

.

তিতলির এবার রাগ উঠে গেল। বিছানায় শুয়া থেকে উঠে বসেই রাগী গলায় তিয়াসকে বলল,

.

--আচ্ছা আপনার সমস্যাটা কি হ্যা? মুখে এক প্লেট বিরিয়ানি ছুঁড়ে মারলাম তাও আপনার মন ভরে নি? আরও খাবেন বিরিয়ানি? আসুন আমার বাসায় আসুন। একটু বিরিয়ানি খেয়ে যান।

.

তিয়াস একটা মুচকি হেসে তিতলিকে বলল,

.

--হুম খাবো তো কিন্তু বিরিয়ানি নয়। তোমাকে খাবো। কত সুইট তুমি। তোমাকে পেলে আমার আর কিছু লাগবে না।

.

তিয়াসের মুখে এমন কথা শুনে তিতলি কিছুটা অবাক হলো। এই ছেলে এমনিতে দেখা যায় গুমরো রাগী তারওপর আবার এতো লুচু! ভাবা যায় এগুলা!

.

--এই আপনি কিসব বলছেন হুম! ফোন রাখুন বলছি।

.

তিতলি আর কিছু না ভেবে ফোনটা কেটে দিল। তারপর বড় নিশ্বাস ফেলল। তিতলি মনে মনে বলল

.

--এই ছেলে পাকা লুচু। আমি এটাকে বিয়ে করব না। কয়টা মেয়ের সাথে প্রেম করে কে জানে! ও বাবা গো তুমি আমার কপালটা পুড়িয়ে দিলে গো। আমার বাবা আস্ত লোভী একটা। টাকার লোভে মেয়েকে বিক্রি করে দিতে চাইছে আমি বুঝেছি। আমি তো কাউকেই বিয়ে করব না। দরকার হলে বিয়ে থেকে পালিয়ে যাবো তবুও বিয়ে করব না। বিয়ে করার পরে খুব ঝামেলা। রান্না করো, কাপড় কাঁচো, বাসন মাজো, ঘর ঝাড়ু দেও উফফ। এসব তো কিছুই পারি না। আমাকে চাকরি করতে হবে। আমি টিচার হবো। ছেলে-মেয়েদের ইচ্ছে মতো পিটিয়ে মজা নিব হা হা হা।

.

পরেরদিন সকালে তিতলি ঘুম থেকে উঠল। উঠে দেখল ঘড়িতে অনেক বেজে গেছে। কলেজে যে নির্ঘাত লেট তা তিতলি ভালো করেই বুঝতে পারছে। তিতলি চিল্লিয়ে বলে উঠল,

.

--আহহহহহহহ!!!!! এটা কি হলো!!!! আমি এতো লেট কিভাবে হলাম! আমার জীবনটা করলা হয়ে গেলো গো।

.

তিতলির মা তিতলির চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি ঘরে এসে তিতলিকে বিচলিত স্বরে বলল

.

--কি হয়েছে তিতলি তুই এভাবে চিৎকার করলি কেন?

.

--আম্মু আমার কলেজ যেতে লেট হয়ে গেছে। আর দশ মিনিট আছে ঘন্টা দেওয়ার। তাড়াতাড়ি রেডি হতে হবে।

.

--তাই বলে এতো জোরে চিৎকার করবি?

.

--আম্মু এখন কথা বলো নাতো। আমাকে রেডি হতে দাও।

.

তিতলি তাড়াহুড়ো করে কোনোরকম জামা পড়েই দৌড় দিল রাস্তায়৷ একটা রিক্সাও নেই যে একটু তাড়াতাড়ি মেইন রোডে নিয়ে যাবে। তিতলি একপ্রকার দৌড়ে যেতে নিয়ে কিছু দূর গিয়েই কারও সাথে ধাক্কা খেল। তিতলি কপালে ব্যথা পেল। তিতলি রেগে সামনের লোকটাকে না দেখেই বলল,

.

--কোন হাতি রে আমার সামনে দাঁড়িয়েছিস! দেখে চলবি তো...

.

তিতলি উপরে তাকিয়ে তিয়াসকে এতো কাছাকাছি দেখেই অবাক। তিয়াস তিতলির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তিতলি তিয়াসের এতো কাছে দাঁড়িয়ে আছে ভাবতেই তিতলি কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়াল। তিতলি আজ তিয়াসকে ভালো করে দেখল। তিতলি তিয়াসের মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,

.

--গতকাল ভালো করে মুখটা তেমন দেখি নি। আজ এতো কাছে থেকে দেখলাম। ছেলে তো মাশাআল্লাহ হেব্বি সুন্দর। সিনেমার নায়ককেও হার মানাবে। এই ছেলে লম্বায় তালগাছ। আমি তো তার অর্ধেক হবো।

.

--কি হলো মিস তিতলি? আমার দিকে তাকিয়ে কি এমন ভাবছেন?

.

--কি এমন ভাববো! কই কিছু ভাবিনি তো। আসলে ভাবছিলাম আপনি এতো বড় একটা কালা হাতি কোথা থেকে উড়ে আসলেন।

.

তিতলির কথা শুনে মুহুর্তেই তিয়াস রেগে গেল। রেগে চিৎকার করে ধমকের স্বরে বলল,

.

--হোয়াট!!!! ইউ ইডিয়ট গার্ল। তোমার আমাকে দেখে কালা হাতি মনে হয়? জানো কত মেয়ে আমার পেছনে ঘুরঘুর করে?

.

--ও তাই বুঝি? আপনার মতো তিতা করলার পেছনে আবার মানুষ ঘুরে নাকি? ওয়াও আগে জানতাম না। আজ জানলাম। মেয়েগুলোর মাথা মনে হয় তাড়ছিঁড়া বুঝলেন।

.

--তিতলি!!!

.

--আহা রাগছেন কেন? আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি?

.

তিতলির হঠাৎই মনে হলো তার কলেজে লেট হয়ে গেছে। হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল পুরো লেট। তিতলি তিয়াসকে বলল,

.

--আমার কলেজের লেট হয়ে যাচ্ছে। আমি এখন আসি। টাটা।

.

তিতলি তিয়াসের পাশ কেটে চলে যেতে নিলে তিয়াস তিতলির হাত চেপে ধরল। মুহুর্তেই তিতলির ভয়ে বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠে।

আমাকে রিকয়েস্ট দাও পরের পর্ব পেতে কারন অনেক টাইম অনেক এর কাছ থেকে শুনতে হয় নেক্সট পর্ব পাইনা কেনো

এমনটা আর হবে না আমাকে রিকয়েস্ট বা follow দিয়ে রাখলে পরের পর্ব তোমরা পেয়ে যাবে তারাতারি

চলবে.....

1
$ 0.00
Avatar for Tania
Written by
4 years ago

Comments

মানুষ যখন কাউকে একবার মন থেকে ভালোবাসে, সেই মানুষটা তার ভালোবাসার মানুষের জন্য দরকার হলে সারা জীবন অপেক্ষা করে। তবুও তার জায়গাটা কাউকে নিতে দেয় না। লেখক অনেক ধন্যবাদ।

$ 0.00
4 years ago

This text mainly focuses on the love story.love story is the part of human life. Thank you for your writing about love.

$ 0.00
4 years ago