প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা
প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় সমমান বচন
অত্যন্ত ওুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা দুটি।
ক্েত্রে সেই যুক্তির অন্তর্গত বচন বা বচনাকারের কোনাে একটিকে অন্য আরেকটি বচন বা।
সমমান বচন
বচনাকারের পরিবর্তে এহণ করা যায়। এ জন্য বচন বা বচনাকারের এই আকার পরিবর্তন।
সংক্রান্ত নীতিমালাকে বলা হয় 'সমমানতার সূত্র বা প্রতিস্থাপনবিধি (p.n
Replacemen) { এ সম্পর্কিত আলােচনা পরবর্তীতে দেওয়া হয়েছে।
সমমানিক বডচন অথবা সমমানিক
অপেক্ষক এবং এর দুটি বুপ সম্পর্কে
পূর্ববর্তী অধ্যায়ে
আমরা বিস্তারিত আলােচনা করেছি। এবং এ আলােচনা থেকে আমরা সমমান বচন সম্পর্কে
মােটামুটি একটা ধারণা পেয়েছি। সাধারণভাবে দুটি বচন বা সূত্রের মান যখন সমান হয়
তখন তাকে বলা হয় সমমান বচন। এককথায়, দুটি বচন একইসাথে সত্য বা একইসাথে
মিথ্যা হলে বচন দুটিকে বলা হয় সমমান বচন। আমরা জানি, সমমানতা বস্তুগত এবং
আকারগত বা যৌক্তিক এ দু'ধরনের হয়ে থাকে। দুই বা ততােধিক বচন বক্তুগতভাবে
সমমান হয় তখনই, যখন বচন দুটি বা বচনগুলাে একইসাথে সত্য অথবা একইসাথে মিথ্যা
হয়। সেক্ষেত্রে একাধিক বচনের সমস্বয়ে গঠিত এ ধরনের সমমান বচনের অন্তর্গত উপাদান
বচনগুলাের সমুদয় মানশর্ত সবক্ষেত্রে সত্য হয় না। এ মানশর্তগুলাে সত্য হয় কেবল
তখনই, যখন উপাদান বচনগুলাের মান সমমান হয়। এ জন্য বস্তুগত সমমান বচন
স্বতঃসত্য হয় না, বরং তা হয় অনির্দিষ্টমান। একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যেতে
পারে। যেমন- 'ছাত্ররা পরীক্ষায় ভালােভাবে পাস করবে যদি এবং কেবল যদি তারা
মনােযােগ দিয়ে পড়াশােড়া করে।
ওপরের বচনটি সত্য হবে তখনই, যখন এর (i) ছাত্ররা ভালােভাবে পাস করবে, (i1) ছাত্রয়া
মনােযােগ দিয়ে পড়াশােনা করে, এ দুটি উপাদান বচন একইসাথে সত্য বা একইসাথে
0
16
Written by
Tania
Tania
4 years ago