💖বান্ধবী যখন ফেসবুক প্রেমিকা💖
পর্ব : ০১
আজ প্রথম দিন ভার্সিটিতে যাচ্ছি। সকালে একটু লেট হলো আসতে। ভার্সিটিতে গিয়ে গেট দিয়ে ডোকতেছি এমন সময় এক মেয়ে এসে পরলো আমার উপরে। আমি নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বললাম।
আমি : দেখে চলতে পারেন না?
মেয়ে : আপনার চোখ কোথায় থাকে। আপনি দেখে চলতে পারেন না?
আমি : আজব তো। আপনিই তো আমার উপরে এসে পড়লেন।
মেয়ে : আপনি আজব।
আমি : আমি আজব হলে আপনি ইয়ে।
মেয়ে : ইয়ে মানে কি?
আমি : ইয়ে মানে ইয়ে।
মেয়ে : আজব মানুষ তো।
এভাবে কিছুক্ষন ঝগড়া হলো অচেনা মেয়ের সাথে।তারপর সোজা ক্লাসে চলে গেলাম। কাউকে চিনিনা সবাই নতুন। বসে আছি একা। একটা ছেলে এসে আমার পাশে বসল। কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে ছেলে টাকে। আমার কাছে এসে বলল।
ছেলে : দুস্ত কেমন আছিস।
আমি : ভালো। কিন্তু চিনতে পারলাম না।
ছেলে : হারামি আমি শাহিন।৮ম শ্রেণীতে আমি রাজশাহি চলে গিয়েছিলাম।
আমি : ওহ দুস্ত তুই।কি করে চিনব তুইতো পরিবর্তন হয়ে গেছস। চেনা যায় না।
(শাহিন হলো আমার ছোট বেলার বন্ধু ৮শ্রেণীতে আমরা একসাথে পড়তাম। তারপর শাহিন রাজশাহিতে চলে যায়)
শাহিন : তুই কিন্তু বেশি পরিবর্তন হস নি।
আমি : দুস্ত কেমনে কি কখন আসলি রাজশাহি থেকে।
শাহিন : কিছুদিন আগে আসলাম।
তারপর শাহিনের সাথে বসে কথা বলতেছি।
এমন সময় ঐ মেয়েটি ক্লাসে আসল।
স্যার ক্লাসে আসলো সবার সাথে পরিচিত হচ্ছেন। একপর্যায়ে ঐ ঝগড়াটে মেয়েটা পরিচয় দিলো।নাম : নিহা।
এখম আমার পরিচয় দেই। আমি : সেজান এবার অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হলাম।
সেদিন বেশি ক্লাস হলো না। ভার্সিটি থেকে আমি আর শাহিন বের হচ্ছি এমন সময় পিছন থেকে শাহিনকে কে যেন ডাকদিল। আমাদের কাছে এসে ডাকদিল। আমরা দুজনেই পেছনে ফিরলাম। পেছনে তাকিয়ে দেখি ঐ মেয়েটা।।
আমি আর মেয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। শাহিন বলল
শাহিন : দোস্ত এ সেজান হচ্ছে আমার বন্ধু নিহা।আর নিহা এ হচ্ছে মাসুম আমার ছোটবেলার বন্ধু।
নিহা : এই শয়তান ছেলেটা তোর বন্ধু।
আমি : কে শয়তান। আপনিতো সেই লেভেলের ঝগড়াটে।
নিহা : আপনি ঝগড়াটে।
শাহিন : তরা থামতো। তরা কি আগে থেকে চিনিস নাকি একে অপরকে।
নিহা : না। এই বজ্জাত ছেলে আমাকে আসার সময় ধাকা দিয়েছে।
আমি : আপনি বজ্জাত, আর কতবড় মিথ্যেবাদী মেয়ে, নিজে ধাক্কা দিয়ে আমার নাম দিচ্ছে।
শাহিন : থাম তরা । আজ থেকে ঝগড়া বাদ সবাই বন্ধু।
আমি : হুম ঠিক আছে।
নিহা : সুন্দরি!! মেয়ে দেখলেতো বন্ধু হতে চাইবেই।
আমি : কে সুন্দরি?আপনিতো পেত্নির মতো দেখতে।
নিহা : কিহ।। ।।।!!!
শাহিন : থামতো তরা।চল বাসাই যাই।
তারপর বাসায় চলে আসলাম। খেয়ে রোমে গিয়ে ভাবতেছি কি সাংঘাতিক মেয়ে এটা। তবে নাম টা যেমন সুন্দর দেখতেও তেমনি সুন্দর।
পরদিন ভার্সিটি গিয়ে শাহিনের সাথে দেখা। তারপর দুজনে বসলাম ক্লাসে এসে। একটু পর নিহা ক্লাসে এসে সোজা আমার আর শাহিনের মাঝে বসল।
আমি দারিয়ে গেলাম। নিহা আমার হাত ধরে হ্যান্ডশিপ করে বলল
নিহা : আমরা বন্ধু আজকে থেকে।
আমি আবুল হয়ে নিহার কান্ড দেখতেছি।ভাবতেছি এই মেয়ের মাথায় কোনো সমস্য আছে নাকি?
নিহা : আপনি আবার ভাইবেন না আমি পাগল। আমি সবকিছু সরাসরি বলি। আর আমরা তো বন্ধু তাই সবসময় এ গুলা সহ্য করতে হবে। আর আমরা তুই করে বলব।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে....... ..
সেদিন শাহিনের নাম্বার নিয়ে চলে বাড়িতে।
বিকালে শুয়ে ফেসবুকে চ্যাট করতেছি আমার গালফ্রেন্ডের সাথে।
আপনাদের বলাই হয়নি। আমার একটা গালফ্রেন্ড আছে ফেসবুকে। কিন্তু আমি তাকে দেখিনি তবে আমাদের শহরেই থাকে।
কিছুক্ষন পর শাহিন কল করে
শাহিন : দুস্ত তদের গলির মাথায় আয়তো।
আমি : কেন।
শাহিন : আড্ডাদিমু আয়।
আমি : আচ্ছা দারা আসতেছি।
তারপর গেলাম।।। ঐখানে গিয়ে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেল..............-----------------------------(চলবে
-----------_-----+-+----------------------------ক্ষুদ্র লে খ ক
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।