বারাকাহ- Barakah

4 19
Avatar for Tamjidur123
3 years ago

আমরা যেন দুই শান্ত সময়ের সালাত আদায় করি। তাহলে আমরা সহজেই জান্নাতে যেতে পারব দুই শান্ত সময়ের সালাত কোনগুলাে?

সেগুলাে হলাে ফজর এবং আসর। এই দুই ওয়াক্তে প্রকৃতি থাকে শান্ত, সজীব, নির্মল। আমরা যদি ফজর এবং আসর সালাতে তৎপর হই, আমাদের জান্নাতে যাওয়ার পথ মসৃণ হবে।

জান্নাত তাে আমাদের জীবনের পরম আরাধ্য।

সুমধুর কলকল ধ্বনির নহর, চিরসবুজ উদ্যান, নয়নজুড়ানাে ঐশ্বর্যমণ্ডিত এমন বাগানের বাসিন্দা হওয়ার জন্য আমাদের হতে হবে সুবহে সাদিকের পাখি।

যে পাখি রবের স্মরণে জেগে ওঠে। যার কণ্ঠ বেয়ে ঝরে পড়ে রবের মহিমা।

ফজর ছেড়ে দিয়ে আমরা নিজেদের জীবন থেকে দূরে ঠেলে দিই আল্লাহর বারাকাহ।

একবার একলােক ইবরাহিম ইবনু আদহাম রাহিমাহুল্লাহকে বলল, “বারাকাহ বলতে কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।

লােকটার কথা শুনে হাসলেন ইবরাহিম ইবনু আদহাম। বললেন, ‘কুকুর এবং ভেড়া চেনাে?

“কোনটার প্রজনন ক্ষমতা কেমন?

‘একটা কুকুর সাতটা পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে। অন্যদিকে, একটা ভেড়া বাচ্চা দিতে পারে বড়জোর তিনটি।

‘তােমার চারপাশে তাকালে, দুটির ভেতরে কোন প্রাণীটিকে তুমি সবচেয়ে বেশি দেখতে পাও?

‘ভেড়াই বেশি দেখি।

কিন্তু ভেড়া তাে এমন এক প্রাণী যাকে নিয়মিত জবাই করা হয় এবং যার মাংস মানুষ খায়, তাই না?

‘কুকুর কি জবাই করা হয়? কুকুরের মাংস কেউ খায়?

‘তারপরও কুকুরের চাইতে ভেড়ার সংখ্যা দুনিয়ায় বেশি।

এর কারণ?

এর কারণ হলাে বারাকাহ। ভেড়া রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে এবং ঠিক ফজরের আগে আগে তারা জেগে ওঠে।

ফলে ফজরের সময়ে আল্লাহ যে বারাকাহ দুনিয়ায় পাঠান, ভেড়া সেটা লাভ করে।


অন্যদিকে কুকুর সারা রাত জেগে থাকে, কিন্তু ফজরের ঠিক আগমুহূর্তে ঘুমিয়ে পড়ে।

ফলে ফজরে আল্লাহ যে বারাকাহ প্রদান করেন তা থেকে কুকুর বঞ্চিত হয়।

এজন্যেই ভেড়া কম বাচ্চা প্রসব করা সত্ত্বেও এবং তারা জবেহযােগ্য প্রাণী হওয়ার পরেও দুনিয়ায় তাদের সংখ্যাটা অত্যধিক।

অন্যদিকে বেশি বাচ্চা প্রসব এবং জবেহ-অযােগ্য প্রাণী হওয়ার পরেও দুনিয়ায় কুকুরের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

এটাই হলাে বারাকাহ।

9
$ 0.00
Avatar for Tamjidur123
3 years ago

Comments

Nice

$ 0.00
3 years ago

Thanks

$ 0.00
3 years ago

Nice

$ 0.00
3 years ago

Nice article !

$ 0.00
3 years ago