আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি সবাই ভালো আছেন।
আসছে ১ আগস্ট বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ঈদুল আজহা পালন করা হবে। ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অনেকের ধারণা স্পস্ট না। তাদের জন্য আমি @Tamanna21 আজকে আরো একটি পোস্ট লিখছি।
ঈদুল আজহা চন্দ্র মাস জিলহজ্বের ১০ তারিখে পালন করা হয়। এই দিন মুসলমানগণ তাদের সাধ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, উট, দুম্বা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি করে থাকেন।
এবার প্রেক্ষাপট নিয়ে বলি....
আল্লাহ তায়ালা ইসলামের একজন নবী ও রাসুল হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে স্বপ্নে তার প্রিয় বস্তুকে কোরবানি করতে বললেন।
ইব্রাহিম (আঃ) স্বপ্নে পাওয়া নির্দেশ মত ১০ টি উট কোরবানি করলেন। কিন্ত পরের রাতে তিনি আবার স্বপ্ন দেখলেন আল্লাহ তাকে তার (ইব্রাহিম (আঃ)) প্রিয় বস্তুকে কোরবানি করতে বলছেন।
পরদিন তিনি আরো ১০০ টি উট কোরবানি করলেন। কিন্তু পরের রাতে তিনি আবার একই স্বপ্ন দেখলেন।
ইব্রাহিম (আঃ) চিন্তায় পড়ে গেলেন। পরে তিনি বুঝতে পারলেন তার প্রিয় বস্তু হল তার ছেলে হযরত ইসমাইল (আঃ)।
পরের দিন তিনি হজরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করার উদ্দেশ্যে আরাফাতের দিকে রওনা হলেন।
পথিমধ্যে শয়তান আল্লাহর হুকুম পালনে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের প্রলুব্ধ করতে থাকে। হযরত ইসমাইল (আঃ) শয়তানের প্ররোচনায় না পড়ে তিনিই শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন। হজ্ব পালনের সময় তাই শয়তানের অবস্থান নির্দেশক তিনটি স্তম্ভকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ইসমাইল (আঃ) কে সব কথা খুলে বললে ইসমাইল (আঃ) বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে আল্লাহর হুকুমে নিজেকে কোরবানি করার জন্য তৈরি হয়ে গেলেন।
ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করার সময় তার হাত পা বেঁধে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)ও নিজের চোখ বেঁধে নিলেন।
ছুরি চালাতেই আল্লাহর ইচ্ছায় হযরত ইসমাইল (আঃ) এর পরিবর্তে একটা দুম্বা কোরবানি হয়ে গেল।
আল্লাহ তায়ালা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর উপর খুবই সন্তুষ্ট হলেন এবং ইব্রাহিম (আঃ) কে খলিল (বন্ধু) করে নিলেন। এই ঘটনার পর থেকে এই দিনটি ঈদুল আজহা বা "ত্যাগ করার আনন্দ" পালিত হয়ে আসছে।
সংক্ষেপে এটাই ছিল ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপট। আশা করি সবার ধারণা পরিষ্কার হয়েছে।
কারো কোন মতামত বা সাজেশন থাকলে প্লিজ কমেন্ট বক্সে বলবেন।
সবাই ভালো থাকবেন, ঘরে থাকবেন ।
ধন্যবাদ
I'm sorry I don't get anything you've written here