রাসুল (ﷺ) বলেছেন
যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫ মানঃ সহীহ)
হাদিসের ব্যখ্যাঃ জুমার দিনে যে সূরা আল কাহাফ পাঠ করবে তার নূর এক জুমাহ্ হতে অন্য জুমাহ্ পর্যন্ত আলোকজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এ উজ্জ্বলতা তার কলবে হবে, না হয় তার কবরে হবে, অথবা তার হাশরে হবে। এ নূর কি ঐ সূরার নূর না তা সাওয়াবের নূর? কেউ বলেছেন, হিদায়াতের নূর এবং ঈমানের নূর। হিদায়াতের নূর হওয়াই অধিক যুক্তিযুক্ত।
‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, এক জুমাহ্ থেকে অন্য জুমাহ্ পর্যন্ত নূর বা আলোকদানের অর্থ হলো এ দীর্ঘ সময় তার কিরাআতের প্রভাব সে পাবে এবং এ এক সপ্তাহ পর্যন্ত তার সাওয়াব সে পেতে থাকবে।
জুমু'আহ দিবসের বিশেষ আমলঃ( রিমাইন্ডার )
***সুরা কাহফ তিলাওয়াতঃ
আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং যে শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং : ১০৭২২)
***দরুদ পাঠঃ
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব, হাদিস : ১৫৭)
***দুয়া করাঃ
আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সা. আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসূল সা. তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারী)
Good atricel