কবিতা
কবিতার নাম: পরপারের ত্রাস
---দেবজিৎ বর
ঘুম ঘুমাকাশ,স্তব্ধ রাত,নিঝুম স্বর্গরথ
শিয়রেতে মোর দাঁড়িয়ে বলিছে-
চলো হে সম্মুখে পথ।
সেথা ক্ষান্ত সমীর,নাহি কোলাহল,
স্তব্ধ চপল ছায়া,
এথা রহিবেনা কেহ, ভুলিবে স্বজন,
ছাড়িবে সকল মায়া।
আমি ক্ষণিকেরও জালে সুধী নিরালয়ে
নিদ্রিত আঁখি লয়ে,
জন্মেছিনু স্বর্ণ চামচে,রাজার দুলাল হয়ে।।
তবে কেন আজ মম হবে নিরাকার -
ভিতু কাপুরুষ বেশ?
কেন আজ কেহ রহিবেনা পাশে
ঘুচাতে মম ক্লেশ?
সারথী সেথা অট্টহাস্যে,মাধুরী মিশায়ে কহে-
তুমি ভুলিলে কি সখা এ জীবন যথা-
চিরকাল নাহি রহে।।
তোমা ক্ষুদ্র চিত্ত, ক্ষুদ্র বিত্ত, ক্ষুব্ধ সিক্ত মন,
যেথা নাহি আছে কোনো মনুষ্য ধর্ম,
পৃথ্বী ভাঙার পণ।।
কেন সংসার তোমা আপন কুঠার,
একক হাতিয়ার?
তুমি জাগিবে সেদিন, করিবে যেদিন,
সপ্তচক্রের সমাহার।।
কেন আজ তোমা চিত্ত ক্ষুন্ন,মৃত্যুর মহাভয়?
ভুলিওনা সখা এ জীবন যথা কেহ কারোর নয়।
আমি স্তব্ধ হয়ে,সুধী নিরালয়ে,
নিজেই নিজেরি কাছে,
আসলেই কি তাই, সংসারে মোর
আপন কেহ কি আছে?
শত ভাবনা,শত চিন্তা,প্রশ্ন হয়না শেষ,
দেরি নাই কভু উঠিতে বরি,
ক্ষান্ত আঁধারও কেশ।
পরক্ষণে মোর ভাবনা ভাঙিয়া,
সারথী ডাকিয়া বলে,
সখা করিওনা আর ক্ষণ যোজন,
এবার চলে যেতে হবে।
সূর্যদ্বয়ের তালে তালে মোর চক্ষু বুজিয়া আসে,
বিদায় বলিতে অপারক আজ,পরপারের ত্রাসে।।