ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমি ক্যাম্পাসে রাস্তার পাশে মানুষের ছবি তুলে প্রিন্ট করে দিয়ে ২০ টাকা পেতাম। সেখান থেকে ১০ টাকা লাভ হতো। ভার্সিটির পুরোটা সময়ই কাজটি চালিয়ে যাই আমি। অবশ্য বন্ধুরা আমার এই কাজকে সহজ ভাবে নিতো না। কারণ বিশ্বাবিদ্যালয়ের একজন ছাত্র রাস্তায় বসে মানুষের ছবি তুলে উপার্জন করছে এবং সে ছেলেটি তাদের বন্ধু; বিষয়টি তাদের আত্মসম্মানে লাগাতো। এমন অনেক বন্ধু আছে যারা বলেছিলো টাকা দরকার হলে তারা দিবে কিন্তু এই কাজ না করার জন্য! কারণ একজন ’স্ট্রিট ফটোগ্রাফারের’ বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয়া তাদের জন্য সুখকর ছিলো না।
আস্তে আস্তে যখন পরিধি বড় হলো তখন ইভেন্ট ফটোগ্রাফি শুরু করলাম। বিভিন্ন বিয়েতে গিয়ে ছবি তুললাম। পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের সাথে বিয়েতে দেখা হলে তারা আমাকে দেখে অন্য দিকে চলে যেতো। কারণ একজন সামান্য ‘ক্যামেরাম্যান’ তাদের আত্মীয় বা পরিচিত সেটা তারা প্রকাশ করতে চাইতো না।
যখন নিজের একটা ফটোগ্রাফি ফার্ম গড়ে তুলি তখন প্রতিযোগী অনেক প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন যায়গায় তাদের শাখা খুলেছিলো। আর আমার মাত্র একটি ব্রাঞ্চ ছিলো। মজা করে অনেকে জিজ্ঞেস করতো যে পরের ব্রাঞ্চটা কোথায় করছি? আমি তখন বলতাম যে পরের ব্রাঞ্চটা হবে আমেরিকায়। আজ আমার দুটি ব্রাঞ্চ। একটি ঢাকায় অন্যটি আমেরিকায়।
আমি জানি আমি বেশি মেধাবী নই, তা নিয়ে আমি হতাশ না,শুধু পরিশ্রমটা একটু বেশি করতে হয়েছে এটুকুই।
(লিখেছেনঃ প্রীত রেজা)
সুতরাং পৃথিবীর কোনো কাজ কেই অবহেলা করবেন না,সকল কাজকেই সম্মান করুন।শ্রদ্ধা করুন,সেই কাজটি কে ভালোবাসুন।কাজ টির সাথে লেগে থাকুন।আজ অথবা কাল অথবা কিছুদিন পর সফলতা আপনি পাবেন ই । অর্থাৎ আজ হোক আর কাল হোক সফলতা আসবেই আসবে।
পোস্ট টি পড়ে যদি আপনি নতুন কিছু শিখতে পারেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন,তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট টিতে একটি লাইক দিবেন এবং অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন ।
আর এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর সুন্দর পোস্ট সবার আগে পড়তে চাইলে ,অবশ্যই আমার আইডি @Suvankar SUBSCRIBE করতে ভুলবেন না।
Please LIKE COMMENT & SUBSCRIBE
This is took my heart. Hard work can bring success in any work, this story proves that. I got inspiration from this story .Thanks for sharing such a great story.Have a nice day and plz support me too😋