রান্নার টিপস-(পার্ট-১)

3 11
Avatar for Susmita
3 years ago

হ্যালো ফ্রেন্ডস,

শুভ সকাল,

সবাই কেমন আছেন??

আশা করছি সবাই ভালো আছেন।

আমিও খুব ভালো আছি।

আমি @Susmita আজকে আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে চাই।

আজকের নতুন বিষয়টি হলো রান্না টিপস নিয়ে।আশা করছি ভালো খুব ভালো লাগবে।

'রান্নার টিপস'

প্রতিদিনই আমাদেরকে সকাল বিকাল রান্নার কাজে থাকতে।কিন্তু অনেকের কাছেই এই রান্নার বিষয়টি ঝামেলার মনে হয়।তবে ছোটো-খাটো কিছু বিষয়ে নজর দিলে,তা খুবই সহজ হয়ে উঠতে পারে। স্বাচ্ছন্দ্যেই পারে এই নৈমিত্তিক কাজটির সমাধান করতে।শুধু মানতে হবে নিচের টিপস গুলো।

১.আদার খোসা ছাড়াতে ব্যবহার করুন চামচ।আমরা প্রায়ই আদার আবরণ ছাড়াতে ছুরি কিংবা দা ব্যবহার করি।কিন্তু কাজটি অনেক সহজে হয়ে যাবে যদি আমরা চামচ ব্যবহার করি।

২.অযান্ত্রিক ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন। বৈদ্যুতিক ব্লেন্ডার কাজ সহজ করে দিবে বলে আপনার ধারণা।কিন্তু এটা সব সময় সত্য নয়।মাঝে মধ্যে অবৈদ্যুতিক ব্লেন্ডার ব্যবহার করার জন্য তৈরি থাকা উচিত।

৩.হাতের কাছে ছোট ছাঁকনী রাখুন।এটি সময় বাঁচিয়ে দেবে অনেকখানি।যেকোনো সময় হাতের কাছের ছাঁকনী দিয়ে লেবু বা অন্য কিছু খাবারে যোগ করতে পারেন।

৪.একই রকমের ছোট ছাঁকনী ব্যবহার করা যেতে পারে ডিম এর জন্য।সঠিক আকারের ওমলেট করার জন্য এটা খুব সহায়ক।

৫.রান্না একটি শিল্প।তাই কাজটি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন।যেমনঃ রান্নার জন্য ৪ টি পেঁয়াজের প্রয়োজন হলে শুরুতেই পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে রাখতে পারেন এতে রান্না শুরুর পর অনেক সময় বাঁচবে।

৬.রান্নাা ঘরে ময়লার ঝুড়ি রাখা ঠিক নয়।হাতের কাছেই আবর্জনা ফেলার বাক্স বা ট্র্যাশ বক্স থাকলে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা যায়।এতে কাজটাও অনেকটা কমে যাবে।

৭.তরল খাবার খুব বেশি ঠান্ডায় রাখবেন না।একথা ঠিক যে খাবার টাটকা রাখতে রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করতেই হবে।তবে রান্নার সুবিধার জন্য নিদিষ্ট তাপমাত্রায় খাবার ঠান্ডা রাখা ভালো।কারণ একদম কঠিন বরফকে গলিয়ে খাবারে যোগ করা,একই সঙ্গে কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ।তাই সুবিদার্থে খাবারকে খুব বেশি কঠিন অবস্থায় রাখবেন না।

৮.মাংস ফ্রিজে রাখা হলে তা কঠিন অবস্থা ধারণ করে।রান্নার উপযোগী করতে অনেকেই তা পানির মধ্যে রাখেন।তবে পানির অপচয় রোধে কাজটিকে আরো সহজ করতে অ্যালুমিনিয়ামের ট্রে ব্যবহার করতে পারেন।অ্যালুমিনিয়াম খুব সহজে তাপ শোষণ করতে পারে।এতে বরফ অবস্থায় মাংস রাখলে তা খুব সহজে ও অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

৯.ছুরি রান্নার একটি অপরিহার্য যন্ত্র। তাই সবসময় এটা ধারালো রাখা প্রয়োজন।কারণ ধারালো না হলে কাজ করতে অসুবিধা হবে।তাই কাজ শুরুর আগে ছুরি কতটা ধারালো তা দেখে নিন।

১০.মিটলোব কিংবা মিটলোফ ঠিক আকারে আনার পূর্বে একটু টেস্ট করে দেখুন সব ঠিক আছে কিনা।কোনো উপাদানে কম বেশি হলে তা ঠিক করে নিন।কারন এর পর কোনো উপাদান কম বেশি হয়ে গেলে তা অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

দৈনন্দিন জীবনেে রান্নাাা সুবিদার্থে এসব টিপস গুলো আশা করি সহায়ক হবে।এগুলো মেনে চললে আমাদের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ও খুব বেশি সময় ও লাগবে না।তাই সবাই আমরা এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ।

5
$ 0.00
Avatar for Susmita
3 years ago

Comments

অসাধারণ রান্না টিপস দিলেন।এই টিপস গুলো যারা নতুন রান্না শিখছে বা করতেছেন তাদের জন্য এই আটিকেল টি কাজে আসবে।

$ 0.00
3 years ago

Jiii Dhonnobad apnake.

$ 0.00
3 years ago

Goood

$ 0.00
3 years ago