অনেক সময় আশানুরূপ চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগতে পারেন।তবে হতাশ হবেন না।হতাশ হয়ে বসে থাকলে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।তাই প্রয়োজন ধৈর্য্য।এই ধৈর্য্যই পারে আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকরির খবরটা দিতে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জানা গেছে,এ প্রতিযোগিতায় প্রতি বছরই প্রায় ২ লাখ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী প্রবেশ করছে।কিন্তু সেই সঙ্গে চাকরির ক্ষেত্র খুব একটা বাড়ছে না।আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই।আগে যে পরিমাণ কাজ ৩ জন মিলে করত,এখন সেই কাজ একজনকেই করতে হয়। ফলে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক চাকরির পদসংখ্যা কমেছে।
কিন্তু তাই বলে আপনাকে হতাশ হতে হবে তা নয়।নিজেকে যোগ্য করে তুলুন প্রতিষ্ঠানের চাহিদানুযায়ী। আমাদের দেশে এখনো চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে অনেকে শুধু পত্রিকার ওপর নির্ভর করে।কিন্তু পরিবর্তিত আধুনিকতার স্পর্শে চাকরি খুঁজতে হলে শুধু পত্রিকার উপর নির্ভরশীল না হয়ে, সেই সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন বেশ কিছু পদ্ধতির সাথে।
★জব সাইটঃ
-প্রযুক্তির এ যুগে সচেতন তরুণ-তরুণী মাত্রই ইন্টারনেট ভিত্তিক অনলাইন জব সাইট গুলো নিয়মিত ভিজিট করা উচিত।এ ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে,প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন চাকরির অনেক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে অনলাইনভিত্তিক জব সাইট গুলোতে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য থাকে কর্মমূল্যে যেনো তাদের প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যায়।এ ক্ষেত্রে অনলাইন জব সাইট গুলো তাদের পত্রিকার তুলনায় অনেক সাশ্রয় মূল্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সব প্রতিষ্ঠানই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে।সেই সঙ্গে অনলাইন সাইটেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।আপনাকে চাকরি খুঁজতে হলে নিজের আগ্রহেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজতে হবে।
★পরিচিত মাধ্যমঃ
-আমাদের দেশে চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনেক সময় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঘোষণা করা হয় না।কেননা পদসংখ্যা কম থাকায় এবং আমাদের দেশে চাকরিপ্রার্থী অত্যধিক থাকায় প্রতিষ্ঠান গুলো চাকরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে আগ্রহী হয় না।তবে এ বিষয়টি কেবল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।তাই আপনার পরিচিত ব্যক্তিবর্গ যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে একটি সিভি জমা রাখা।প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হলে এবং তাদের শূন্যে পদের বিপরীতে আপনাকে যোগ্য মনে করলে তারা অবশ্যই আপনাকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য মনোনীত করবেন। তবে এর মানে এ নয়,তারা আপনাকে চাকরির সুযোগ করে দিবে।
★প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে মনোযোগী হোনঃ
-আমাদের দেশের অনেকেরই মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে,যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যেকোনো চাকরিই তার জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু এখানে একটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে,বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদরে পদের বিপরীতে যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দিয়ে থাকেন।ফলে আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ করার সুযোগ রয়েছে তা আগে থেকেই স্থির করে নিতে হবে।সেই সাথে সেইসব প্রতিষ্ঠানে আপনার কাঙ্ক্ষিত পদের বিপরীতে কি গুণাবলী প্রয়োজন সেসব বিষয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করুন।
★বাস্তবতা উপলব্ধি করুনঃ
-অনেকই চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠান কৃর্তক প্রদেয় বিজ্ঞপ্তির সেরা পদ সমূহে আবেদন করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সদ্য পড়াশোনা পাঠ চুকিয়ে চাকরির আবেদন করে থাকেন,তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে,সেসব পদে আপনার চেয়ে বেশি যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি চাকরির জন্য আবেদন করে থাকেন।ইন্টারভিউ লেটার পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার থেকে তারা অনেকাংশেই এগিয়ে থাকে।ফলে বাস্তবতার নিরিখে মানিয়ে নিনএবং প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করুন।
এই পদ্ধতি গুলো যদি আপনি অনুসরণ করতে পারেন,তাহলে তা আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে।চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে।
ঠিক বলেছেন। বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া আর সোনার হরিণ পাওয়া এক কথা।