বাড়ন্ত শিশুর পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা।

1 13
Avatar for Susmita
3 years ago

একটি শিশুর খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার রাখা অপরিহার্য।বড়দের তুলনায় বাড়ন্ত শিশুদের খাবার অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন পড়ে যা তার মেধা বিকাশে সাহায্য করে।বর্তমান সময় শিশুরা ফাস্ট ফুডের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে।তাই এই সময় শিশুদের খাবারে,পুষ্টিকর খাবার রাখা তা আরো প্রয়োজন হয়ে পড়ে।অনেক সময় মায়েরা বোঝেন না যে কি ধরনের খাবার শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।তাই সেসব মায়েদের জন্য শিশুর খাদ্য তালিকার একটি ফিচার দেওয়া হলোঃ

১.দুধঃ

-শিশুর বৃদ্ধির জন্য দুধ একটি অপরিহার্য উপাদান।ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস দুধের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা দাঁত,হাড় এবং নখ মজবুত করতে সাহায্য কটে।এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন ডি,প্রোটিন,ভিটামিন এ,ভিটামিন বি১২,নিয়াসিন,ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি।দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে ফুল ক্রিম দুধ দিন।দুধ খেতে পছন্দ না করলে পুডিং,কাস্টার্ড ইত্যাদি মাধ্যমে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।

২.ডিমঃ

-বাড়ন্ত শিশুর জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ডিম।ডিমে থাকা ভিটামিন-বি শিশুর মতিষ্ক উন্নত করতে সাহায্য করে।ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,ভিটামিন-ডি, ফোলেট,জিঙ্ক আয়রন এবং সেলিয়াম শিশুর গ্রোথ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৩.ব্রকলিঃ

-সবজির মধ্যে ব্রকলি অন্যতম একটি সবজি যা মধ্যে ক্যালসিয়ামসহ আরো নানা রকমের উপাদান রয়েছে।এতে রয়েছে-ফাইবার,পটাশিয়াম,ফসফরাস,জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম ও ফলিক এসিড।প্রতিদিনকার সবজির সাথে ব্রকলি রাখুন।

৪.টকদইঃ

-বাড়ন্ত শিশুর জন্য টকদই একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম,প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,জিঙ্ক,ভিটামিন-বি,ফসফরাস।হাঁড়,দাঁত মজবুত করার পাশাপাশি টকদই শিশুর শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

৫.মিষ্টি আলুঃ

-মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন ক্যারোটিন,এবং ক্যারোটিনসাইড শিশুর দৃষ্টি শক্তি বৃষ্টি করে।মিষ্টি আলু সেদ্ধ,রান্না বা চিপস যেকোনো ভাবে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

৬.ওটসঃ

-অনেকেই মনে করেন,ওটস খাবারটি বড়দের খাবার।শিশুরাা খেতে পারে না।অথচ সকালের নাস্তাই ওটস শিশুকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।গবেষণায় দেখা গেছে,যেসব শিশুরা সকালের নাস্তাই ওটস খায়,তারা পড়া লেখায় অধিক মনোযোগী হয়।

৭.চিজঃ

-ভালো একটি খাবারের মধ্যে চিজ অন্যতম।বাড়ন্ত শিশুকে নিয়মিত চিজ খেতে দিতে পারেন।এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম,প্রোটিন,ভিটামিন-বি১২,ফসফরাস ইত্যাদি।তবে খুব বেশি চিজ বা চিজ জাতীয় খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত।

৮.মাছঃ

-শিশুরা মাছ খেতে পছন্দ করে না।কিন্তু শিশুদের সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন খাদ্য তালিকায় মাছ রাখুন।পুষ্টির সকল উপাদান মাছের মধ্যে পাবেন।বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুনএর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শিশুর মতিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে।

৯.বিনসঃ

-শিশুর জন্য বিনস একটি পুষ্টিকর খাবার।এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,ফাইবার আয়রন এবং ভিটামিন-বি শিশুর ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

অন্যান্য খাবারের সাথে বাড়ন্ত শিশুর খাবারের তালিকায় এই খাবার গুলো রাখুন।এ খাবার গুলো শিশুর চাহিদা পূরণ করে শিশুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

1
$ 0.01
$ 0.01 from @TheRandomRewarder
Avatar for Susmita
3 years ago

Comments

Nice article.

$ 0.00
3 years ago