চলছে মহামারি নোবেল করোণা ভাইরাসের প্রকোপ। এই সময়টা বিশেষ করে বয়স্ক এবং বাচ্চাদের সাস্থ্যজনিত বিষয়ে নজর রাখাটা আবশ্যক। বয়স্কদের জন্য সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই সময়টা নিজেকে সুস্থ রাখা,কারণ এই ভাইরাস শুধু নিজেকে নয় নিজের আশেপাশের মানুষকেও প্রভাবিত করে। সর্বপ্রথম বাহিরে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে,যেকয়টাদিন সরকারি বন্ধ রয়েছে ততদিন ঘর থেকে বাইরে না গেলেই কিন্তু এই ভাইরাস অনেক কম ছড়াতে পারবে। এছাড়াও এসময় বার বার সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধৌত করতে হবে এবং অন্যকারও সাথে হাত মিলানো,গলা মিলানো বন্ধ করতে হবে। জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বাহির থেকে আসার পর কারও সংস্পর্শে না এসে ভালোভাবে কাপর ধুয়ে গোসল করে ফেলায় উওম। হাঁচি কাশির সময় অবশ্যই রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে এবং যত্রতত্র স্থানে ব্যবহৃত টিস্যু ফেলা যাবেনা। যদি আপনার শরীরে করোণা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায় তবে দ্রুত hotline নম্বরে ফোন করে বিষয়টা জানান এবং উওেজিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে সকল পদক্ষেপ মেনে চলুন।
আর যদি এই সময়ের খাবারের বিষয়টা বলা হয় তবে এই সময়টা হাতের কাছে যা সবজি বা অন্যকোনো খাবার তাই আহার করে নেয়া উচিত,অযাথা অতিরিক্ত দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করা করে মার্কেটের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবেনা এতে গরিব - দুঃখীদের সমস্যা হবে। শরীরের সাথে সাথে এই সময় মনো - সাস্থ্যের দিকেও নজর রাখতে হবে। কুরআন তিলাওয়াত করে মন অনেকাংশেই ভালো রাখা সম্ভব। পাশাপাশি পরিবারের বাচ্চাদের ঘরে মন বসাতে তাদের সাথে ঘরেই বিভিন্ন খেলা খেলতে পারেন এবং মুভি দেখে মন ভালো করতে পারেন।
এসময় চিন্তিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং গুজবে বিশ্বাস করা যাবেনা,গুজব ছড়ানো যাবেনা। শরীর সুস্থ রাখুন মন ভালো রাখুন দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
করোনায় আমাদের সবাইকে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বৃদ্ধ দের বেশি খেয়াল রাখতে হবে।আর ডঃ যা বলে তা মানতে হবে।