আজ বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এলাম। একটু খারাপ লাগছে ঠিকি কিন্তু ভালোও লাগছে এই ভেবে যে, একটা কাজ ভালোভাবে শেষ করতে পারলাম।বাবার প্রতি দায়িত্ব ও শেষ হলো। বাবার ঘরটা গেস্টরুম বানাতে হবে, লুনা বলছিলো। বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর বুদ্ধিটাও তার। লুনাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমাদের সংসারে খুশি বয়ে এনেছে আমাদের সোনার টুকরো ছেলে আনন্দ। বাবার বিষয় সম্পত্তি তেমন ছিল না তবে এক তলা একটা বাড়ী ছিলো।লুনার কথায় বাড়ী টাও বিক্রি করে নতুন ফ্ল্যাট কিনলাম।আমার অনুরোধে বাবা ফ্ল্যাট টা তার নাতি আনন্দের নামে উইল করে দেন। আমার সন্তানের ভবিষ্যত ভেবে এই সিদ্ধান্ত টা নিয়ে ছিলাম। লুনা নিজের মতো করে ফ্ল্যাট টা সাজিয়ে ছিলো শুধু বাবার ঘর টা ছাড়া। বাবা সাজাতে দেন নি। এইটা নিয়ে লুনার মনে খেদ ছিল খুব। মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন সেই কবে, বাবাকেও আজ বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এলাম, সেই সঙ্গে বাধাঁ মুক্ত হলো লুনার ঘর সাজানোর পথ টা।
এতক্ষন নিজের লেখা ডায়েরির কয়েকটা পাতা পড়ছিলেন আহসান চৌধুরী।তার চোখের কোণে জল। এখন তার বয়স পঁচাত্তর। পাঁচ বছর আগে লুনা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। আর তার আদরের ছেলে আনন্দ চৌধুরী আজ সকালে তাকে রেখে গেল বৃদ্ধাশ্রমে।
উপরের গল্পটি থেকে আমরা এই শিক্ষা পেলাম যে বাবা-মা হলো আমানত স্বরুপ এবং তাঁরা আমাদের দায়িত্ব। তাঁদের যথাযথ সম্মান করা এবং ভালোবাসা উচিত। তাহলেই আমরা আমাদের সন্তানের কাছ থেকে সেই সম্মান টুকু আশা করতে পারব। আমাদের মনে রাখতে হবে, যে হাত আমাদের হাঁটতে শিখিয়েছে সেই হাত বৃদ্ধ বয়সে যেন ছাড়তে না হয়।
It's very sadful and painful story. We should not hardless.