আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা (বুআলি সিনা, ৯৮০ - ১০৩৭) মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা চিকিৎসক, গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক ছিলেন। তাঁকে একইসাথে ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান এবং রাশিয়ার বিজ্ঞজনেরা তাদের জাতীয় জ্ঞানবীর হিসেবে দাবি করে। মধ্যযুগীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত রচনায় তিনি অবদান রেখেছেন। তাঁর মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তিব রচনা করেন যা ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পাঠ্য ছিল। আরবিতে ইবন সিনাকে আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইউরোপে তিনি আভিসিনা (Avicenna) নামে সমধিক পরিচিত; হিব্রু ভাষায় তাঁর নাম Aven Sina। আরব অঞ্চলে তাঁর পুরো নাম আবু আলী হোসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ আল হাসান ইবনে আলী ইবনে সিনা।
অন্য নামশারাফ আল মুলক, হুজ্জাত আল হাক, শাইখ আল রাঈস।জন্মআনুমানিক ২২ আগস্ট ৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ / ৩৭০ হিজরি[১]
আফশানা, সামানিদ সাম্রাজ্যের (বর্তমানের উজবেকিস্তান) রাজধানী বুখারার নিকটস্থ।মৃত্যুহামাদান, পারস্য (ইরান)যুগমধ্যযুগ ইসলামি স্বর্ণযুগঅঞ্চলপারস্য (ইরান), প্রধানত সামানিদ সাম্রাজ্যের অধীনস্থ বৃহত্তর খোরাসান। ১৯ বছর ছিলেন বুখারায়, ১৩ বছর কোনিয়ে-উরগেঞ্চ-এ, ইরানের রাই-এ ছিলেন ১ বছর, হামাদানে ছিলেন ৯ বছর, ইসফাহানে ছিলেন ১৩ বছর। [২]ধারামুসলিম[৩][৪]আগ্রহঅধিবিদ্যা, যুক্তিবিজ্ঞান, নৈতিকতা, চিকিৎসা শাস্ত্র, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্বঅবদানইউরোপের মধ্যযুগীয় শিক্ষায় ইবন সিনা সৃষ্ট উপকরণ বহুল মাত্রায় ব্যবহৃত হয়ভাবগুরু
জাফর আল-সাদিক, হিপোক্রাতিস, সুশ্রুতা, চারাকা, গ্যালেন, প্লটিনাস, ভারতীয় গণিত শাস্ত্র, ওয়াসিল ইবনে আতা, আল-কিন্দি, মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি, আবু রাইহান আল-বিরুনি, জন ফিলোপোনাস এরিস্টটল, নব্য-প্লেটোবাদ, আল-ফারাবী
ভাবশিষ্য
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। চিকিৎসাখাতে ইবনে সিনার অবদান অনস্বীকার্য। তার নামে পরিচালিত কোম্পানি এখনো সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে।