কদরের_রাতে আমল করতে চান, এই নিয়মটি ফলো করতে পারেন...
সালাতুল মাগরিবের পর সালাতুল আওয়াবীন (দুই রাকাত করে ৬ রাকাত) অতঃপর একটু বিশ্রাম নিয়ে সালাতুল ইশা ও তারাবীহ পড়বেন আবার কিছুটা বিশ্রাম নিন এরপর ----
১। রাত দশটার পর থেকে টিভি বা মোবাইল দেখা থেকে বিরত থাকুন।
২। বেশি গরম লাগলে গোসল করুন ও পরিষ্কার পোষাক পরিধান করুণ।
৩। কোরআন পড়তে পারলে ১২ টার আগ পর্যন্ত কোরআন পরুন।
৪। ৩০মিনিট ধ্যান খেয়াল এনে সালাতু তাজবিহের নামাজ পরুন।
৫। রাত ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত জিকির করুন। যেমনঃ-
(১) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। (১০০ বার করে)
(২) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২০০ বার)
(৩) আস্তাগফিরুল্লাহ (কমপক্ষে ৫০০ বার, যত বেশি সম্ভব হয়)
(৪)বেশী বেশী দুরুদ পড়া।
(৫) সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)
(৬)"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ'লা কুল্লি শাইয়্যিন কদির" (কমপক্ষে ১০০ বার)
(৭) দুয়া ইউনুস - "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যলিমীন" ।(যত পারেন)
(৮)"সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল 'আযীম।" (কমপক্ষে ১০০ বার) ।
(৯) "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ" বেশি বেশি পড়তে পারেন।
(১০) সূরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।
৬। রাত ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পরুন ৮ রাকাত। রুকু ও সিজদায় বেশি সময় ব্যয় করুন।
৭। তাহাজ্জুদের পর তিন রাকাআত বিতরের নামাজ পরুন।
৮। সেহরি খাওয়ার পূর্বেই হাত তুলুন মালিকের কাছে। আপনার প্রয়োজনের সব কিছু খুলে বলুন..একটু চোখের পানি ফেলে বলুন, "মালিক, আমি আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই হাত পেতেছি... খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না.....ইত্যাদি...
৯। সেহরি খান।
১০। ফরজ নামাজ পরে ঘুমিয়ে পরুন।
উপরের কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার কথা শুনে এ আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমান সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
.
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথ প্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।..." [মুসলিম ২৬৭৪]
আল্লাহ্ আমাদের আমাল করার তৌফিক দিন।
Subscribe korsi.. Back me please