কি বুঝলাম এতদিনে?
ধর্ষণ কি শুধু জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌনতা হরণ করাই নাকি? একদম নয়, ধর্ষণ এর প্রকারভেদ বিস্তর...
ঐ যে বাড়ির বউটা সারাদিন ক্লান্ত হয়ে রাতের বিছানায় লুটিয়ে পড়ে, কিন্তু তার স্বামী সেসব তোয়াক্কা না করে, নেতিয়ে পরা বধূকে ভোগ্য পণ্যের মত ব্যবহার করে, সেটাও একপ্রকার ধর্ষণ|
দীর্ঘদিন, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে রেখে, ভালোবাসার প্রমান হিসেবে, হাজার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকার কাছে যৌন সুখ নেওয়া হয়, আর সময় এলে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়, সেটাকেও ধর্ষণ বলা হয়|
প্রতিদিন লক্ষ হাজার মেয়ে দের ধর্ষণ হয়, সম্পর্কের ইতি টানার মাধ্যমে|
বছরের পর বছর মেলামেশা করে, ঘুরে-বেরিয়ে যখন বলা হয়, বাড়িতে তোমাকে মেনে নেবে না, তুমি মায়ের পছন্দ নও.... হ্যাঁ,মানসিক ভাবে এভাবে ধর্ষিতা হয় নারী|
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়, সুন্দর আলাপচারিতার শুভারম্ভ হয়, দেনা পাওনার গল্প না মিলতেই সব স্তব্ধ হয়ে যায়|মেয়ে কলঙ্কিনী নামে পরিচিত হয়, জীবনে বেঁচে থাকতে কাটার মত নানান কথা শুনতে হয় তাকে..... ঐ মেয়ের মন ধর্ষিত হয়, জানেন?
হাজার-হাজার নারী সতীত্ব হারায়, মুখ চেপে কেঁদে উঠে পৃথিবীর কোনায় কোনায়|মন নিয়ে ভালোবাসি বলে, ছুঁড়ে ফেলতে দ্বিধা বোধ করেন না অনেকেই| এভাবেও নারী ধর্ষিতা হয়|
মজার বিষয় হল, আমরা আন্দাজ ও করতে পারি না কত ধর্ষক হাতে মোমবাতি নিয়ে পথযাত্রা করে, কত বড়ো বড়ো মাথা, নিজ দোষ চাপা দিয়ে মঞ্চে বক্তৃতা দেয়|
তাই দরকার কি??, মোমবাতির প্রদর্শন|দরকার মানসিকতা পাল্টানোর|
এটাই সত্যি যে,
যেদিন মানুষের মত দেখতে হায়নারা বদলাবে, সেদিন পথে মোমবাতি নয়, ঘরে-ঘরে একটা করে নারী মশাল রূপে কন্যা সন্তান জন্মাবে|হ্যাঁ, নির্ভয়ে সেদিন কন্যা সন্তান জন্মাবে|👩🎓👩⚕️👩🍳👩🌾👩⚖️👨🚀👩🎨👮♀️🧕👰