দেশকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলন এবং ৬ দফার পর স্থান হলো ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের, যার সাফল্য মাত্র ২ বছরের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে বড় নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। ছয়দফা জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় আগরতলা মামলাকে জনগণ একটি ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখতে থাকে। সর্ব স্তরের জনগণ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এর প্রতিবাদ জানায়। বিশেষ করে শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্রলীগসহ ছাত্ররা আরো ১১ দফা ঘোষণা করে এবং আন্দোলন জোরদার করতে থাকে। মামলার কার্যক্রম যতই এগুতে থাকে জনদাবি ততই আন্দোলনমুখী হতে থাকে। আশ্চর্যজনক ভাবে পশ্চিম পাকিস্তানেও আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এ মামলায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি দাবি করা হয়। এ প্রেক্ষিতে আইয়ুবের ক্ষমতা ত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করা হয়। মুক্ত মুজিবকে নিয়ে জনগণের আন্দোলন চলতে থাকে এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এক ঐতিহাসিক সংবর্ধনা সভায় তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। জনগণ তাদের আন্দোলনের সাফল্যে আনন্দিত হয়ে ওঠে। ২৫ মার্চ ১৯৬৯ সাল ক্ষমতা সেনাপতি ইয়াহিয়া খানের হাতে হস্তান্তর করেন আইয়ুব পদত্যাগ করে। ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা গ্ৰহণ করেই সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
4
50
This is very important article for us. Thanks for sharing your informative article. I like this. Go ahead