পৃথিবীর ভেতরে হঠাৎ সৃষ্টি কোনো কম্পন যখন ভূপৃষ্ঠে আকস্মিক আন্দোলন সৃষ্টি করে সেটাকেই ভূমিকম্প বলে। ভূমিকম্প কয়েক সেকেন্ড থেকে মিনিটখানেক পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং পর্যায়ক্রমে একাধিকবার ঘটতে পারে। মৃদু ভূমিকম্প আমরা অনেক সময় অনুভব করতে পারি না, কিন্তু শক্তিশালী বা প্রবল ভূমিকম্প সহজেই অনুভব করা যায়।ভূমিকম্প একটি মারাত্মক ভয়ানক প্রকৃতিক দুর্যোগ যা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কোনো একটি দেশ বা অঞ্চলপুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে। এমনকি বড় ভূমিকম্প নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ভূমিকম্পের ফলে আমাদের অন্যতম অনেক জিনিস ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভূমিকম্পের ফলে আমাদের অন্যতম প্রধান নদী ব্রক্ষপুত্রের গতিপথ বদলে গিয়েছে।আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ভূমিকম্প না হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।পৃথিবীর মাঝে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। তোমরা নিশ্চয়ই 2010 সালের হাইতিতের ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প ,2011 সালে জাপানের ভূমিকম্প এবং 2015 সালের নেপালের ভূমিকম্পের ধ্বংসের কথা শুনেছ।
ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় আমাদের ভূগর্ভ কতগুলো ভাগে বিভক্ত যাদেরকে টেকনিক প্লেট বলে। এই টেকনিক পেট কিন্তু স্থিতিশীল নয়, এগুলো চলমান। চলমান একটি প্লেট আর একটি প্লেটে চাপ দেওয়ার কারণে সেখানে শক্তি সঞ্চিত হয়। যখন হঠাৎ করে প্লেটগুলো সরে যায়,তখন সঞ্চারিত শক্তি বের হয়ে ভূমিকম্প সৃষ্টি করে। ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করা হয় রিখটার স্কেলে। রিখটার স্কেলে 5 মাত্রার বেশি ভূমিকম্প আমরা অনুভব করতে পারি।
দেখা গেছে বাংলাদেশে আশেপাশে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কোন বড় ভূমিকম্প বাংলাদেশে হয়নি।কিন্তু আশেপাশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প অনুভূতি হয়েছে।1884সালে মানিকগঞ্জ এলাকায় রিখটার স্কেলে 7 মাত্রার বড় একটি ভূমিকম্প হয়েছিল।
ভূমিকম্প হলে আমাদের করনীয় গুলো হলো ঃঃ
তুমি কম্পর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় নেই, তবে এতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়ম মেনে ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করা। 2010 সালে হাইতিতে রিখটার স্কেলে 7 মাত্রার একটি ভূমিকম্প 3 লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল। অথচ তার থেকে তিশ গুণ থেকে বেশি বেশি শক্তিশালী 8.2 রিখটার স্কেলের একটি ভূমিকম্পে 2014 সালে চিলিতে মাত্র ছয় জন মানুষ মারা গিয়েছিল। তার কারণ চিলিতে নিয়ম মেনে চলার কারণে তারা অনেক সুবিধা পেয়েছে। এবং নিয়ম মেনে বিল্ডিং তৈরি করতে শুরু করেছে।আমাদের সবাইকে ভূমিকম্পের সময় সচেতন থাকতে হবে নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ভূমিকম্পের আগে করণীয় ঃঃ
1.সম্ভব হলে আগুন নিভানোর অগ্নিনির্বাপক প্রস্তুত থাকা দরকার। এবং প্রাথমিক চিকিৎসার নানা জিনিসপত্র ব্যাটারি ,শুকনো খাবার এবং পানি রাখার ব্যবস্থা করা।
2.কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয় তা শিখে রাখা।
3.ভূমিকম্পের পর প্রয়োজনের কোথায় কিভাবে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হতে হবে, সেটা আগে থেকেই সবাইকে জানানো।
4.উচু শিল্পে ভারী জিনিস রাখা যাবেনা ভূমিকম্পের সেগুলো পড়ে যেতে পারে তাই সাবধান হতে হবে।
5.ভূমিকম্পের সময় কি করতে হবে সেটিই স্কুলে শিখে নিতে হবে।
ভূমিকম্পের সময় করণীয় ঃ
1.ভূমিকম্পের সময় বয়ে এবং আতঙ্কে জ্ঞান শূন্য হওয়া যাবে না। মাথা ঠান্ডা রাখলে বড় ভূমিকম্পের বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
2.তুমি যদি ঘরের ভেতরে থাকো তাহলে ভেতরে থাকা, হুড়োহুড়ি করে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করো না। কখনো লিফট দিয়ে নামার চেষ্টা করো না।
3.কোনো ভাবেই ম্যাচ জ্বালিও না গ্যাস পাম্প ভেঙ্গে বাতাসে গ্যাসের মিশ্রণ আগুনের জন্য খুবই বিপদজনক।
I liked your writing very much