ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের গ্রামের নাম চাওরা। বাংলাদেশের আর দু দশটি গ্রামের মতোন আমাদের গ্রামটি ও শ্যামল গাছ গাছালিতে ছাওয়া। শৈশবে আমি এই গ্রামে বড় হয়েছি।সংগী সাথীদের নিয়ে গ্রামের সবুজ পথে কখনো হারিয়ে গিয়েছি। আবার পাখির ছাড়ান খোঁজে সারাদিন পাখির বাসায় হানা দিয়েছি। শৈশবের সেই মধু ঝরা দিনগুলো মতই হয় স্বপ্নের মতো। এ বুড়ো বয়সে শৈশবের কথা ভাবতে বসলেই মনের কোণে ভেসে ওঠে একখানি স্মৃতিময় চিত্রপট। এ চিত্রপটে আঁকা আছে সোনালী-রূপালী হাজারো ছবি।এ ছবি বড় পবিত্র বড় অম্লান, না যা কখনো মন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। আমার চাচা খানবাহাদুর শল্হদুল হক ছিলেন সেকালের একজন নামজাদা উকিল। তিনি থাকতেন মসম্বল শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। একটুকু বড় হলেই আমাকে পাঠিয়ে দেয়া হলো চাচার বাসায়। সেখানেই লেখাপড়া শুরু করলাম। কিন্তু পড়ালেখায় মন বসে না। সারাদিন মন মরা হয়ে থাকতাম। এজন্যে চাচা চাচী বকা দিতেন। আসলে ছোট ছেলে মেয়েদের বকা দিলে কোন কাজ হয় না। ওদের মন বুঝে কাজ করতে হয়। যা বলছিলাম চাচার বাসায় পড়াশোনায় মন বসছিল না। ছুটি পেলেই চলে আসতাম আমার মায়ের আদরের ছোঁয়া গ্রামে। আমার দেশ ,পত্রিকা টি আমার বেশি প্রিয় ছিলো।ঐ পত্রিকার ছোটদের বিভাগটি ছিলো খুব মজার। আমি নিয়মিত পড়তাম।কোন সপ্তাহে পত্রিকা না এলে অন্য দের বাসায় গিয়ে পড়ে আসতাম।আমার এক সময় মনে হলো আমার দেশের প্রকাশিত ছড়া কবিতার মতোই আমিও কবিতা লিখতে পারি।
0
13