বিখ্যাত তাপাস হযরত শাইখ শিবলী রহঃ বলেন।বাইতুল্লাহ শরীফ জিয়ারতের সময় আমি একবার এক যুবকের সাক্ষাৎ পাই। সে বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্ধারিত দু আ না পড়ে সর্বএই সে দরূদ শরীফ পাঠ করেছিল। শিবলী রহ বললেন। তুমি কি দরূদ শরীফ ছাড়া অন্য কোন দোয়া পার না। তুমি সর্বএই এই দরূদ পড়তো কেন। বলল আমি অনেক দোয়া মুখস্থ পারি। কিন্তু দরুদ শরীফের যে উপকার আমি নিজের লাভ করেছি অন্য কোন দোয়া তা পাইনি। তাই সবসময় দরূদ পাঠ করেছি। শাইখ রহ, বললেন ঘটনা কি, আমাকে খুলে বল। অনেক বছর আগের কথা। আমি আমার বাবা সাথে হজে আসছিলাম। বাগদাদে পৌঁছার পর আমার বাবা ভীষণ ভাবে জ্বরে আক্রান্ত হলেন এবং কয়েকদিন পর মারা গেলেন। কিন্তু মৃত্যুর পর তার মুখের আকৃতি পূর্ণ শূকরের মত হয়ে গেল। আমি এই অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। তার মুখের ওপর একটি কাপড় টেনে দিলাম। কাউকে এই অবস্থা বলতেও পারছিলাম না আবার একা একা দাফন করতেও পারছিলাম না। প্রচন্ড কষ্ট ,চিন্তাও দুর্ভাবনায় আমি উপুর হয়ে পড়ছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি বলতেও পারব না
আমি ঘুমের মধ্যে দেখি কি অসাধারণ সুন্দর এক পবিত্র পুরুষের আগমন। রুপময় সেই উজ্জ্বল কান্তি পবিত্র মানুষটি আমার বাবার কাছে এলেন। মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে তার মুখে হাত বুলিয়ে দিলেন। আর অমনিই আমার বাবার চেহারা চাঁদের মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠল। তারপর তিনি যখন চলে যেতে উদ্যত হলেন, আমি তাঁকে জড়িয়ে ধরে তাঁর পরিচয় জানতে চাইলাম। বড়ই বিপদে আপনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। ইরশাদ করলেন তিনি ,আমি পাপীদেরকে আশ্রয় , অপরাধীদের সুপারিশকারী। মুহাম্মদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ কথা শোনতেই আমি পবিত্র কদমে লুটিয়ে পড়লাম। কদমবুসি করলাম তারপর আর্য করলামঃ হে রাসুল ,আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদ আপনি কিভাবে পেলেন। আমিতো এসংবাদ কখনো কাউকে দিইনি। ইরশাদ করলেন ঃঃ তোমার আজ রাতে আমার প্রতি 300 বার দরুদ শরীফ পাঠ করতো।আজ রাত তখন তার দরুদ আমার কাছে পৌঁছায়নি তখন আমি সেই ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করলাম যে আমার কাছে তোমার বাবার দরুদ শরীফ প্রতিদিন পৌছাতো। তখন ফেরেশতা আমাকে বলল ঃ সে তো আজ মারা গেছে এবং তার অবস্থা এই।
Nice