হরতাল শব্দটি গুজরাটি ভাষা থেকে এসেছে। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে strike হর +তার অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা।অত্যাচার ,উৎপীড়ন, কুশাসন ,শোষণ-নির্যাতন ,অনিয়ম ,বঞ্চনা, অবহেলা ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর কার্যকর মাধ্যমে হিসেবে হরতাল বা ধর্মঘট একটি মোক্ষম হাতিয়ার।দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে কর্তব্য থেকে বিরত থাকার নাম ধর্মঘট বা হরতাল। মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে হরতালের উৎপত্তি।তাছাড়া মানুষের মাঝে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।তবে হরতালের মাধ্যমে দাবি আদায়ের অব্যর্থ অস্ত্রটি নিগৃহীত মানুষের কাছে যতই কল্যাণকর বিবেচিত হোক না কেন এর কুফল সমূহ অস্বীকার করার উপায় নেই। হরতালের প্রভাবে কলকারখানায় তালা ঝুলিয়ে। ফলে আমাদের জাতীয় উৎপাদন ক্রমশ হ্রাস পায়।আর বিনিযোগ হ্রাস পাওয়ার কারণে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। সবমিলিয়ে হরতাল মানবমনে শুধু হতাশারই জন্ম দিয়ে থাকে। হরতালের এতসব ক্ষতিকর কারণ আজ এর বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।সমাজের বিশৃংখলা সৃষ্টির নিয়ামক হরতালের প্রতিকার ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে গণ বিবেককে।পুঁজিপতি শাসকশ্রেণী শোষণ আর বঞ্চনার মাধ্যমে ক্রমেই সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে আর শ্রমজীবী দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়ে পড়বে এমনটি হওয়া বিশ্ব মানবতার প্রতি যথার্থ হুমকি স্বরূপ।কাজেই সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মালিক-শ্রমিক, শাসক শোষিত উভয়ের সমস্যা পর্যালোচনা করে সমাধানের প্রয়াস নিতে হবে।
0
11