যে সমস্ত হাজীগন হজ্জের ছফরে,অথবা হজ্জে হতে ফিরে এসেই দাড়ি মুড়িয়ে ফেলে অথবা ছেটে ছেটে এক মুষ্টির কম করে রাখেন তাদের অবস্থা সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশী করুন। কারণ তারা আল্লাহর ঘরে (হারাম শরীফেও ) কবীরাহ গুনাহ হতে বিরত রইল না। অথচ আল্লাহ পাকের দরবারে এই হজ্জ ঐ গৃহীত হয়, যা গুনাহতে পবিত্র হয়। অনেক শীর্ষস্থানীয় বুজর্গ ওলামায়ে কেরাম হজ্জ কবুল হওয়ার আলামত লেখেন যে, হজ্জ করার দ্বারা মানুষের জীবনে দ্বীনী পরিবর্তন আসে, অর্থাৎ হজ্জ করার পর ঐ হাজী নিয়মানুবর্তিতার সাথে ইবাদত করে এবং গুনাহ হতে বাঁচার জন্য সচেষ্ট হয়। আর যে ব্যক্তির জীবনে হজ্জ করার পর ও কোন পরিবর্তন না আসে, যেমন হজ্জে আগে যেভাবে তিনি ফরজ ইবাদত গুলি ছেড়ে দিতেন ঠিক হজ্জের পর ও সেভাবে ছেড়ে দেন, এমনিভাবে প্রথমে যেভাবে কবিরা গুনাহ ও সাথে জড়িত ছিলেন, হজ্জে পরেও তদ্রপ জড়িত, হজ্জের আগে যেভাবে দাঁড়ি মুণ্তাতেন বা ছোট করতেন, হজ্জ হতে ফিরার পরেও সেই একই অবস্থা, এমন মানুষের হজ্জ আসলেই হজ্জ নয়, শুধু মাত্র বিলাস ভ্রমণ এবং যাওয়া-আসার সার। যদিও ফেকার মাছ আলা অনুসারে তার হজ্জের, ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তথাপি তিনি হজ্জের ছওয়াব, বরকত ও ফলাফল হতে বঞ্চিত থাকবেন। কত বড় দুঃখ আফছুছের কথা যে, মানুষ হাজার হাজার টাকা ব্যয় বহন করে এবং ছফরের কষ্ট ক্লেশ সহ্য করে।এতো কিছু সত্বেও তার গুনাহ থেকে তাওবা করার তৌফিক হলো না বরং যেমন গিয়েছিলেন তেমনি খালি হাতে প্রত্যাবর্তন করল।যদি কোন মানুষ হজ্জের ছফরের মধ্যে যিনা করে অথচ অথবা চুরি করে এবং সে এই অন্যায়ের জন্য শরমিন্দা ও লজ্জিত না হয় এবং তওবা না করে তখন প্রত্যেক মানুষের চিন্তা করে দেখতে পারে যে, তার এ হজ্জ কেমন হলো। তাই পাকিস্তানের গ্রাণ্ড মূফটি আল্লামা ইউসুফ লুধিয়ানবী বলেন দাড়ি মুণ্তান কবিরা গোনাহ। এক হিসাবে চুরি ও যিনার চেয়েও মারাত্মক ও নিকৃষ্ট।
1
16
Ohh