আমার দাদা মীর আব্দুল ওয়াহাব ছিলেন প্রখ্যাত গাইয়ে। তিনি নিজে নিজে সংগীত রচনা করতেন। গানের আসরে উপস্থিতভাবে ছন্দ মিলিয়ে গাইতেন জারি গান। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেন কথা মিলিয়ে, ছন্দ মিলিয়ে। বিষয়কে উপস্থিত করতেন অপূর্ব কায়দা-কৌশল । যারা কবি গান বা জারি শুনেছেন, তারা নিশ্চয় জানেন কবিতা নির্মাণের অসামান্য দক্ষতা ও কবিত্ব না থাকলে কবি বা জারি গান গাওয়া চলে না। আমার দাদা ছিলেন সেকালের এমন একজন জারি গানের শায়ের। আমার মা বাবা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। আমাদের ঘরে ছিল এক মহান কবিতার রচনাবলী। পরিবারের সবাই ছিল কবিতা প্রেমিক। আমি শৈশবে দেখেছি তাক ভর্তি উর্দু ফাসীর কবিতার বই। এমনি এক পরিবেশে আমি বড় হয়েছি। যা ভাবতে আমার বুক গর্বে ভরে উঠে। আর আমি অল্প বয়সেই আমি বাড়িতে বই, পত্র-পত্রিকা পড়তে শিখেছি। আমাকে কেউ এসব পড়তে তাগিদ দেয়নি। ১৯৫৩ সালে কথা। আমি তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জর্জ ফিফথ হাই স্কুলের (বর্তমান নিয়াজ মোঃ হাই স্কুল) পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। তখন দেশ স্বাধীন হলেও কলকাতা থেকে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশ কিছু পত্র-পত্রিকা আসতো। আমি ছিলাম সত্য যুগের নিয়মিত পাঠক।
0
14