আপনি কি ফ্যামিলি প্রবলেমে আক্রান্ত?🐸
আপনার কি অর্থনৈতিক সমস্যা?🐸
আপনার জীবনে কি প্রেম আসছে না?🐸
এসব সমস্যা যদি আপনার থেকে থাকে আর আপনি যদি এসবকিছু থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে এক্ষুনি এই মুহূর্তে দেখে ফেলুন হ্যাকড!!!!☺
🎥Movie: Hacked(2020)
⭕Cast: Hina Khan, Rohan Shah, Mohit Malhotra, Sid Makkar etc.
⭕Industry:Bollywood
⭕Direcrion: Vikram Bhatt
⭕Runtime: 118 minutes
⭕Budget: Rs. 5 crore 🔥
⭕Box Office: Rs. 1.77 crore😁
⭕IMDb: 4.2/10😑
⭕Personal: 1/10😭
⭕Genre: কিসের মধ্যে পড়ে জানি না। এইটা থ্রিলার নাকি রোমান্টিক নাকি কমেডি নাকি ক্রাইম নাকি ড্রামা আমার অন্তত জানা নেই।😅
বাসায় বাবা মার ঝগড়া চলছিল। আমি সব ভুলে এটা দেখতে বসলাম। কি মনে করে প্লে করলাম মুভিটা ওপরওয়ালা জানেন।
সত্যি বলছি, এই মুভিটা দেখার পর থেকে আমার জীবনের উপর ভরসা উঠে গেছে ভাই।
আচ্ছা দাড়ান, আগে হালকা পাতলা একটু লিখে নেই, তারপর আমার ইমোশন টা প্রকাশ করবো।💔
প্লট:
ভিভেক ( রোহান শাহ) একজন ১৯ বছর বয়সী কলেজপড়ুয়া বালক। সে একটা বড় ব্যবসায়ীর একমাত্র কুপুত্র।😅
তার মা বাবা বিদেশে থাকে এবং সে মুম্বাইতে তার দাদির সাথে একটা বড় হাউসিং এরিয়ায় থাকে। সেখানে অন্য একটা বিল্ডিংয়ে সামিরা aka স্যাম(হিনা খান) নামের একটা মেয়ে থাকে। মেয়েটা তার চেয়ে বয়সে বেশ বড়। 😅 ভিভেক তাকে খুব পছন্দ করে। তাকে সবসময় সাহায্য করে। স্যাম ও তাকে খুব পছন্দ করে। কিছু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ভুলক্রমে স্যাম ও ভিভেক এর মধ্যে শারীরীক সম্পর্ক হয়ে যায়, আর ভিভেক ভাবে যে স্যাম তাকে ভালোবাসে।😅 কিন্তু স্যাম যখন তাকে বুঝিয়ে বলে যে এসবটাই একটা ভুল ছিল তখন ভিভেক বুঝতে চায় না এবং সে খেপে যায় আর তার আসল চেহারা বের হয়ে আসে। সে একজন ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার তা প্রকাশ পেতে থাকে। সে ধীরে স্যাম এর জীবন তছনছ করে দেয় তার হ্যাকিং কৌশল প্রয়োগ করে।😅 আর বাকি তারপর কি হয় দেখতে হলে দেখে ফেলুন মুভিটি।😇
নেগেটিভ দিক:
সত্যি বলতে কি আমার মনে হয় পুরো মুভিটাই নেগেটিজম দিয়ে ভরা😪😪
১. সবচেয়ে বাজে ছিল স্টোরিটা।
একটা ১৯ বছর বয়সী ছেলের সাথে একজন ২৬ বছর বয়সী নারীর সম্পর্ক? এটা হলো?
২. টেকনোলোজির ব্যবহার।
তথ্য প্রযুক্তির অন্ধকার জগত আর তার অপব্যবহার মুভিতে দেখানো হলেও তা সম্পূর্ণ অবাস্তব বলে মনে হবে। ৩. লজিক।🐸
হ্যাঁ, এইটাই মূল। এই মুভির পুরোটা জুড়ে আমি এই বস্তুটি খুঁজে পাইনি।
একটা ১৯ বছর বয়সী ছেলে হ্যাকিং করতেই পারে, ওকে বুঝলাম। কিন্তু এতটা? সে সবকিছু হ্যাক করে ফেলছে? মানে যা পাচ্ছে তাই? ফোন, পিসি, ম্যাক, ওয়াইফাই রাউটার সব?
সে একটা বিল্ডিংয়ের ৮ম বা ৯ম ফ্লোরে উঠে যাচ্ছে পাইপ বেয়ে? ক্যামনে ভাই?
তার কাছে এত এত টাকা যে সে অগাধে খরচ করছে, স্টোরহাউস ভাড়া নিচ্ছে। একগাদা আইসিটি যন্ত্রপাতি কিনছে। নিজের মত আলাদা থাকতে পারছে। বাহ!
সে যখন স্যাম এর সবকিছু হ্যাকিং করছে তখন সে কলেজেও গেছে এবং স্যাম ও তার বন্ধু রোহান (মোহিত মালহোত্রা) মিলে তাকে ফলোও করছে, তাহলে সে যে জায়গাটাতে থাকে তাহলে সেখানে গিয়ে সবটা নষ্ট করেনি কেন?
একটা ক্যাফে এর ওয়াইফাই সেটাপ সে ক্যামনে করল? আর সে জানলই বা কিভাবে যে স্যাম ও রোহান ওখানেই যাবে? নাকি এখন বলবে যে মুম্বাই শহরের সব ক্যাফে এর ওয়াইফাই সেটাপ সে-ই করেছে?
মানে জাস্ট হাস্যকর একগুলো লজিক। পরিচালক কি খেয়ে এই মুভি বানিয়েছেন তিনি জানেন।👏👏
আমি কখনোই কাউকে এই মুভিটা সাজেস্ট করবো না। অত্যন্ত বাজে এবং যুক্তিবিহীন একটি মুভি। আপনার মন মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। আর আগে থেকেই যদি খারাপ থাকে তাহলে তো কথাই নেই!😁
অভিনয়:
এটাই একমাত্র পজিটিভ দিক। রোহান শাহ কে খুবই ভালো লেগেছে। ভিলেনকেন্দ্রিক কাহিনী বলে সে মূল চরিত্র ছিল এবং খুবই ভালো অভিনয় করেছে। বাকি সবার গুলোও পারফেক্ট মনে হয়েছে।😊
বাই দ্যা ওয়ে, আমি হতাশ ছিলাম আর এটা দেখে আরও হতাশ হয়ে গেছি। বাঁচতেই মন চাচ্ছে না আর।
বিদায় পিতিবি...😭😭😭
Your articles are very good. It discusses many important issues. You look like a very good writer. Come on, we're all together. If we all write long articles, our points will increase.