ক’দিন আগে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘নবাব এলএলবি’র শুটিং শুরু হলেও দেশের শীর্ষ অভিনেতা শাকিব খান শুটিং শুরু করেছেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। এদিকে, দীর্ঘদিন পর মাহিয়া মাহি ও এ ছবির মাধ্যমে সিনেমার শুটিংয়ে ফিরলেন। রাজধানীর ১০০ ফিট এলাকা, হাতিরঝিল ও এফডিসির বিভিন্ন শুটিংস্পটে দিনভর ছিলেন এই প্রতিবেদক। শুটিংস্পটের সেইসব টুকরো টুকরো দৃশ্যের কথা তুলে ধরেছেন প্রতিবেদনে:
সকালে ছিল আউটডোর অংশের শুটিং। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শাকিব খানও প্রস্তুত হয়ে রওনা দেন ১০০ ফিট এলাকায়। কলটাইম ৮টায় থাকলেও ঠিক সকাল ৭ টায় শুটিংয়ে পৌঁছে যান ঢাকাই ছবির শীর্ষ এ তারকা। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, আযানের পরেই ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে ৩০ মিনিট জিম করে একেবারে রেডি হয়েই সেটে গিয়ে দেখি ইউনিট রেডি হচ্ছে। আউটডোরে সকালে শুটিং থাকলেও শতশত মানুষের ভিড় ছিল। শুটিংয়ের মধ্যেই থেমে থেমে বৃষ্টি ছিল। তাই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেখানে মোটর সাইকেলের দৃশ্য ধারণের পর সময় গড়ায় দুপুর। ইউনিট রওনা হয় হাতিরঝিলে। এ অংশের কাজ শেষ করে শাকিব খানসহ পুরো টিম ফিরে আসে এফডিসি। তখন বিকেল ছুঁই ছুঁই। ওদিকে শাকিব খানের শুটিং চলছে শুনে ফাঁকা এফডিসি মানুষের উপস্থিতিতে চাঙ্গা হয়ে ওঠে! মেকআপ রুমে ছবির প্রযোজকের সঙ্গে গল্পে জমে ওঠেন শাকিব।
অন্যদিকে এক নাম্বার ফ্লোরে তখন চলছিল সেট সাজানোর প্রস্তুতি। শাকিব যখন ফের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ওই দৃশ্যে আরও ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও মাহিয়া মাহি।
শুটিংয়ের ফাঁকে কথা হয় পরিচালক অনন্য মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুটিং শুরুর একঘন্টা আগে শাকিব ভাই সেটে হাজির হয়েছেন। ৮ টায় শুটিং শুরুর কথা থাকলেও ৮টা ৩৭ মিনিটে ক্যামেরা ওপেন করি। তবে হঠাৎ বৃষ্টি কাজে কিছু ব্যাঘাত ঘটায়। তিনি আরও বলেন, শাকিব ভাই তার দিক থেকে শতভাগ এফোর্ড দিয়েছেন। তার ফিটনেসেও আমূল পরিবর্তন এসেছে উইথ ফুল অব এনার্জি। করোনা থাকলেও সাবধানতা অবলম্বন করে তাকে নিয়ে শুটিং করছি।
সেটে বসেই কথা হয় নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে। করোনার মধ্যে ‘অক্সিজেন’ নামে একটি শর্টফিল্ম করলেও অনেকদিন পর সিনেমার শুটিং করছেন বলে জানান। এ ছবিতে তিনি আইনজীবীর সহকারীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। বললেন, চরিত্রটি আহামরি কিছু না। চ্যালেঞ্জিং কিছু নেই। শাকিব ভাই আছেন। তার সঙ্গে অনেকদিন কাজ হয়না। দর্শক চাচ্ছিলেন তাই করছি।
টানা ৩০ মিনিটে কয়েকটি দৃশ্যে কাজের পর মেকআপ রুমে গিয়ে আবার কথা হয় শাকিব খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেকের কথা ভেবে কাজে নামতে হয়েছে। একটা শুটিংয়ে অনেকগুলো পরিবার জড়িত। প্রায় ৬ মাস কেউ শুটিং করছে না। উপার্জন বন্ধ। তারা এভাবে আর কতদিন সার্ভাইব করবে? আমি কাজে ফেরায় এ মানুষগুলো কাজের সুযোগ পেল।
শাকিব খান বলেন, আগের ‘নবাব’ ব্লকবাস্টার ছিল। সংকটকালে সীমাবদ্ধতা থাকলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ভালো কাজের। করোনার মধ্যে অনেককিছু রিসার্চ করে আমি বুঝে গেছি কোন ছবিগুলো আমার করা উচিত আর কোনটা উচিত না। আগামির কাজগুলো তেমনই হবে। ‘নবাব এলএলবি’ বড় আয়োজনের ছবি৷ দূর্গাপূজায় মুক্তি টার্গেট করে কাজ চলছে।