শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেল ৩টায় বন্ধ করে দেওয়া হয় পল্লীর প্রবেশ পথ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান।
ঘিঞ্জি পরিবেশ, অল্প জায়গায় বেশি মানুষের উপস্থিতি, সেই সঙ্গে পল্লীর বাসিন্দাদের অসচেতনতায় প্রাণঘাতি এই ভাইরাস এখানে ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। এখানে আসা মানুষগুলোকে কোথা থেকে এসেছেন বা থাকছেন তার কোনো সঠিক তথ্য জানা নেই কারো।
শুক্রবার দুপুরে স্বাভাবিকের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি বিছুটা কম দেখা গেছে। এ সময় কয়েকজন যৌনকর্মী বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে এখানে আছি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসা যাওয়া করে। কে অসুস্থ আর কে সুস্থ, এটা বোঝা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমাদের কাছে যে আসে তাকেই তো ঘরে নিতে হয়।
নাম প্রকাশ না করে একাধিক যৌনকর্মী জানান, পুলিশ পল্লীতে খদ্দের আসা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা চোখে অন্ধকার দেখছেন। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে। ঘর ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ কীভাবে চলবে তারা ভেবে পাচ্ছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ফকীর বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ৬টি প্রবেশ পথের মধ্যে ৫টি পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটি পথ খোলা রাখা হয়েছে। বন্ধকালীন সময়ে এখানকার বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সর্বসাধারনের যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। এ পল্লীতে তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৬শ’ জন যৌনকর্মী বসবাস করেন। বন্ধকালীন জন্য প্রতিজনকে ১৫ কেজি চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া বন্ধকালীন সময়ে বাড়িওয়ালাদের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া না নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।