কুমিরের সঙ্গে দেখা হলো! বলল, ‘তোমাদের গ্রামে কুমির আছে?’
আমি বললাম, ‘আমাদের গ্রামটা ছোট্ট। এখানে কতগুলো পুকুর আছে। কোনো নদী নাই। কুমির আসবে কোত্থেকে?’
কুমির বলল, ‘তোমরা একটা কাজ করো। এই নদী থেকে তোমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে একটা খাল কেটে নদীর দক্ষিণের বাঁকে মিলিয়ে দাও। আমি তোমাদের গ্রামে যাব। খাল বেয়ে গিয়ে তোমাদের কোনো পুকুরে বসত গাড়ব।’
আমি বললাম, ‘তা করা যায় বটে। গ্রামে কুমির না থাকলে সে আর কিসের গ্রাম।’
আমি পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে চিঠি লিখলাম, মুকুলপুর গ্রামে জলাবদ্ধতা। আবার শীতকালে জমিগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে কাঠ। একটা খাল কাটলেই তো হয়। রূপশ্রী নদীর উত্তর থেকে দক্ষিণে দুই মাইল একটা খাল কেটে দিলেই সমস্যার সমাধান।
শুধু চিঠি লিখলে কি আর হয়! এলাকায় মুকুলপুর খাল বাস্তবায়ন কমিটি করা হলো। সকালবিকাল মানববন্ধন। ফেসবুকে লাইভ।
শেষে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল।
এলাকায় খাল কাটার জন্য অর্থ বরাদ্দ হলো।