#তুমি_থাকো_সিন্ধুপারে

7 27
Avatar for Safwan43
3 years ago

নবনী শাড়িটা অত্যন্ত পরিপাটি করে গায়ে জড়িয়ে নিল। মায়ের গয়না গুলো বের করে সেগুলোও পরল যত্ন করে। ওর অবয়বে মায়ের সুস্পষ্ট আদল রয়েছে। অনেকটা অবনীর মতো লাগছে ওকে। অবনীর গায়ের রঙ ছিল ফর্সা, আর নবনী শ্যামলা। বাবার শুধু রঙটাই পেয়েছে, বাকিটা মায়ের। ভীষণ মায়া মায়া চেহারা! সহসা ওর একান্ত গোপন এক ভুলের কথা মনে হলো। একসময় নিজের গাত্রবর্ণ নিয়ে কিছুটা আফসোস ছিল ওর। কিছুটা বললে ভুল হবে, প্রচণ্ড রকম আক্ষেপ হয়েছিল! কৈশোরে তীব্র আবেগ আর মোহে পড়েছিল ও, যেই মোহকে ভালোবাসা বলে ভ্রম হয়েছিল! আর পা বাড়িয়েছিল নিজের গন্ডির বাইরে, অচেনা পরিমন্ডলে! ওর মনে আছে, একজন বিশেষ মানুষের জন্য গায়ের চামড়া সাদা করার কী প্রাণান্তকর চেষ্টায়ই না নেমেছিল! এত বোকা কেউ হয়! সত্যিকারের ভালোবাসায় তো সুন্দর মনের দরকার হয়, বাহ্যিক রূপ, গায়ের চামড়া যেখানে মূখ্য হয়ে যায়, সেখানে ভালোবাসা যে একেবারেই গৌণ এটা বুঝতে বড্ড দেরি করে ফেলেছিল! ওর জীবনের সবচেয়ে বড় নির্বুদ্ধিতা সেটাই ছিল। সেই যে মনের কপাট সপাটে বন্ধ করে বিশাল তালা ঝুলিয়ে দিল, আজ অবধি তা রূদ্ধই রইল। জীবনে প্রথমবার এবং একবারই পা হড়কেছিল, ভূপাতিত হবার আগেই নিজেকে সামলে নিয়েছিল প্রবল প্রাণশক্তিতে! নিজের মনের রাস টেনেছিল শক্ত হাতে। কী ভুলটাই না করতে যাচ্ছিল!

এখন অবশ্য সেসব নিয়ে ওর আক্ষেপের লেশমাত্র নেই। যেটুকু আক্ষেপ পুরোটাই ওই ভুল মানুষকে বেছে নেবার! ওর নিজের কাছে এর আরেকটা লাভ আছে, ভবিষ্যতে কেউ আর ওর রূদ্ধ কপাট ভাঙতে পারবে না। সেই সুযোগ টাই ও দেবে না কাউকে। সবথেকে বড় আর প্রধান কারণ অবশ্যই বাবা। এই নিঃসঙ্গ আর অসম্ভব ভালো মানুষটাকে ফেলে পৃথিবীর কোত্থাও যেতে পারবে না নবনী!

চোখের পানি মুছে কাজল আঁকল, একটা টিপ কপালে দিয়ে আয়নায় নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। দেয়ালে মা'য়ের কোলে বসা ওর একটা বিশাল ছবি ঝুলানো আছে, সেটাতে মা এই শাড়িটাই পরা। ওকে কোলে নিয়ে গালের সাথে গাল লাগিয়ে হাসিমুখে তাকিয়ে আছেন। কী ভীষণ জীবন্ত সেই হাসি! অবয়বে কী যে পরিতৃপ্তির ছাপ! পাশে বাবা বসে আছেন ওদের দিকে তাকিয়ে। ওর দু'বছরের জন্মদিনে ছবিটা তোলা হয়েছিল! ছবিতে তাঁর মুখেও উচ্ছ্বসিত হাসি। সবটা মিলিয়ে এক ছিমছাম সুখী পরিবার।

হঠাৎ টেলিফোন গর্জে উঠায় সেভাবেই বেরিয়ে এলো দরজা খুলে। ফোন ধরতেই বুঝতে পারল আশরাফ সাহেব ফোন করেছেন, রায়ানের বাবা।

"কেমন আছেন, আঙ্কেল?"

"ভালো, মা। তুমি কেমন আছ?"

"ভালো।"

"রায়ান কি আছে না বেরিয়েছে?"

"উনি তো সকালেই বেরোলেন। কিছু বলবেন উনাকে?"

"নাহ্! ভালো আছে তো ছেলেটা?"

আশরাফ সাহেবের কম্পিত গলা ঠিকই বুঝতে পারল নবনী।

"জ্বি, ভালো আছেন।"

"ওর একটু খেয়াল রাখিস, মা। বাবা হয়ে ছেলের সাথে কথা বলব, একটু ভালোবাসব, সেই অধিকারটাও তো আমার নেই।"

কী যে নিদারুণ অসহায়ত্ব মেশানো সেই গলায়! এই অনুভূতি নবনীকে ছুঁয়ে গেল ভীষণভাবে।

কেন রায়ানের সাথে তাঁর এই হিমালয় সমান দূরত্ব? সেই প্রশ্নটা গলা পর্যন্ত এসেও আটকে গেল। ওদের এই দূরত্ব কী শুধুই মায়ের আত্মহত্যার জন্য বাবাকে ভুল ভাবা, নাকি অন্যকিছু? ধন্দে পড়ে যায় নবনী!

তবে এর মাঝেও ওকে 'তুই' বলাটা ওর ভালো লাগল, খুব কাছের কেউ মনে হলো। এত স্নেহার্দ্র হৃদয় যে বাবার, সেই বাবাকে কেউ দূরে ঠেলতে পারে? কেন যেন রায়ানের উপরে রাগ হলো খুব! আরও কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে ওই সাজেই চামেলিকে ডাকতে ডাকতে রান্নাঘরে ঢুকে গেল, এরপর ব্যস্ত হয়ে গেল রান্নায়।

রায়ান আজ আবার সেই পার্কে এসেছে মেয়েটার খোঁজে। কিন্তু ওকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। পুরো পার্কটায় এক চক্কর দিয়ে ফেলেছে, কিন্তু ওই মেয়েটার হদিস মিলল না। ঘাম জবজবে শরীর নিয়ে ব্যর্থ মনোরথে পাশের এক বেঞ্চিতে বসে পড়ল ক্লান্ত রায়ান। কিছু বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করেও লাভ হলো না। দু'একজন চিনতে পারলেও হদিস দিতে পারল না।

আচমকা অদূরেই হট্টগোল শুনে উঠে সেদিকে পা বাড়াল। সুবেশী এক মহিলা ভীষণ কান্নাকাটি করছে, আর হন্যে হয়ে আশেপাশে আঁতিপাঁতি করে কিছু খুঁজছে যেন! কাছে যেতেই কানে এলো মহিলার সশব্দ আর্তি। চারপাশে লোকের কাছ থেকে জানল ছয় বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে এখানে এসেছিল, ফোনে কথা বলার সময় কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। কথা শেষ করে দেখে ছেলে নেই। মহিলার কান্নার দমক ধীরে ধীরে বাড়ছে, একইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অতিউৎসাহী জনতার ভীড়। রায়ান মহিলাকে ভালো মতো খেয়াল করল, কাঁদার কারণে ফর্সা অবয়ব টকটকে লাল হয়ে গেছে, বিশেষ করে নাক। ঘেমে নেয়ে একাকার। ভয়ের সুস্পষ্ট ছাপ পড়েছে।

কয়েকজন লোক টহলরত গার্ডের সাথে কথা বলল। বেশিরভাগই তামাশা দেখছে। কেউ কেউ আবার উত্তপ্ত বাক্যও ছুঁড়ে দিচ্ছে।

"বাচ্চা সাথে নিয়ে হুঁশ হারায়ে মোবাইলে কথা কইলে তো বাচ্চা হারাইবই।"

"সাবধানে থাকবেন না?"

কেউ কেউ তো আবার কয়েক কাঠি এগিয়ে কটু কথার তীর ছুঁড়ে দিচ্ছে,

"এই জামানায় মায়েরা পুলাপাইনের খেয়াল রাহে নাকি?"

এরকম নানা কথায় মহিলা আরও বিচলিত বোধ করল। রায়ান ভীড় ঠেলে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,

"আপনার ফোনে আপনার ছেলের ছবি আছে নিশ্চয়ই? আমাদের দেখান সেটা।"

অকূলে কূল পেল যেন সে, কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনের লক খুলতেই দেখা গেল ওয়ালপেপারেই একটা হাস্যোজ্জ্বল নাদুসনুদুস মুখের ছবি, দুষ্টু হাসি ঠোঁটে, চোখে।

একটু আগেই পার্ক চক্কর কেটেছে বলে মুখটা কিছুটা মনে করতে পারল রায়ান, কিন্তু কোথায় দেখেছে তা মনে করতে পারছে না।

এরইমধ্যে একটা লোক এলো শশব্যস্ত হয়ে, চোখেমুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ, কিছুটা বুঝি চিন্তারও! ভীড় ঠেলে ওদের কাছাকাছি এসেই রীতিমতো অসহিষ্ণু গলায় চিৎকার করে বলতে লাগল,

"তুমি এত কেয়ারলেস কেন? দুই দুইটা বাচ্চা জন্ম দিছ, একফোঁটা রেসপন্সিবিলিটি এখনো আসে নাই তোমার মধ্যে। খালি আছ রংঢং আর ঢলাঢলি নিয়ে। বাচ্চা পালতে পার না, তাইলে পয়দা করছ কীসের জন্যে?"

একেতো সন্তান হারিয়ে বিপর্যস্ত, তার উপর এমন আক্রমনাত্মক কথায় পুরোপুরি ভেঙে পড়ল। কান্না করতেও যেন ভুলে গেল! শুধু বিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে রইল শূন্য দৃষ্টিতে।

লোকটা দ্বিগুণ উৎসাহে তারস্বরে বলতে লাগল,

"শোনো, রুমু, আমার ছেলেরে যদি না পাই, তুমি কেমনে বাড়িতে পা দেও সেইটা আমি দেখমু।"

রায়ান যেন ধাক্কা খেল কিছুটা। এমন ভরা মজলিসে দাঁড়িয়ে কেউ নিজের স্ত্রীকে এভাবে বলতে পারে নাকি! ছেলে তো তার একার না! রুমু নামের মহিলাটি এবারও আশ্চর্য নীরবতা পালন করল।

কিছু বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন লোক মাথা নীচু করে নিল লজ্জায়, আর কিছু ভীষণ মজা পেল। বিনা টিকিটে ফ্যামিলি সাসপেন্স মুভি দেখতে লাগল, দাঁত বের করে।

রায়ান ফুঁসে ওঠা রাগ চেপে বলতে লাগল,

"দেখুন, এখন এসবের সময় নয়। আমি ওকে পার্কেই কোথাও দেখেছি বলে মনে হচ্ছে। খুঁজলে হয়তো এখনও পাওয়া যাবে। বাইরে চলে যাওয়ার আগেই পাওয়া দরকার।"

বাকিরা যেন কারও একজনের বলার অপেক্ষায় ছিল, রায়ানের সাথে তাল মিলিয়ে কয়েকজন বলে উঠল,

"দ্যাহেন, এইসব ফ্যামিলি ড্রামা, ঘরে যাইয়ে কইরেন। এহন বাচ্চা কই আছে এইটা দ্যাহা জরুরি।"

আরও কয়েকজন উৎসাহী হয়ে বাচ্চার ছবি দেখে ছড়িয়ে পড়ল চারপাশে। রুমুর ফোনটা তখনও রায়ানের হাতে ধরা। রুমু তখনও উদভ্রান্ত দৃষ্টি মেলে তাকিয়েই আছে। যেকোনো মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে গেলেও অবাক হবার মতো কিছু হবে না। রায়ান কয়েকবার ডাকার চোখ তুলে তাকাল ওর দিকে। পাশের বেঞ্চি দেখিয়ে বলল,

"আপনি এখানে বসুন, প্লিজ।"

নিজের ব্যাকপ্যাক থেকে পানির বোতল এগিয়ে দিল। রুমু বসল ঠিকই কিন্তু পানিটা নিল না। প্রচণ্ড রকম শক পেয়েছে বেচারি। কোনোভাবেই ধাতস্থ হতে পারছে না। রুমুর স্বামীর অবশ্য কোনো বিকার নেই। ওর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হেঁটে গেল ছেলেকে খুঁজতে। রায়ান রুমুকে একা রেখে যেতে পারল না।

আরও কয়েকজনকে ছবিটা দেখিয়ে কোনদিকে দেখেছে আনুমানিক তাই বলল। এখানকার ভীড় কমে আসল অনেকটা। কিছুক্ষণ পর বা দিক থেকে দুজন লোককে একটা বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে এদিকেই আসতে দেখল। আরেকটু স্পষ্ট হতেই বুঝতে পারল এটাই সেই ছেলেটা। রুমুর চোখ সেদিকে পড়তেই একলাফে উঠে প্রায় দৌড়ে গিয়ে হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে বাচ্চাটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। এতক্ষণের শ্বাসরুদ্ধকর চিন্তা, অনিশ্চয়তা সব যেন সেই কান্নায় বের হয়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতেই একটা অভূতপূর্ব হাসি ফুটল মুখে। কী অবর্ননীয় সুন্দর একটা দৃশ্য!

মায়ের ভালোবাসা তো এমনই হয়, রায়ানই শুধু ভাগ্য বিড়ম্বিতদের মধ্যে একজন!

রুমু ওর ছেলের চোখে, মুখে, মাথায়, কপালে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিতে থাকে। বাচ্চাটির নাম তামিম। জানা গেল কয়েকটা বাচ্চা ফুটবল নিয়ে এসেছিল, ওদেরই পিছু নিয়েছিল তামিম। ওদের ধরতে পারেনি, আবার মা'কেও হারিয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে মায়ের সন্ধানে। এরমধ্যেই একজন ছেলের সাথে দেখা হয়, যে বাঁশি বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ওই ছেলের বয়সও বেশি নয়, তেরো কী চৌদ্দ! তামিমের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটা। একা একা হাঁটতে দেখে ওকে নিজের সাথে রেখেছিল বলেই রক্ষা, সেজন্যই পাওয়া গেল।

তামিমের বাবা বিরক্তি নিয়ে এগিয়ে এসে বলতে লাগল,

"এরপরে একটু হুঁশ মতো চলাফেরা করবা। মেলা নাটক করছ এইবার ক্ষান্ত দিয়ে বাসায় চল।"

এবার যেন সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেল রুমুর। দৃষ্টি জ্বলে উঠল দপ করে। ঘুরে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগল,

"ছেলের প্রতি কয়টা দায়িত্ব পালন করছ। জন্ম দিয়েই বাপ হয়ে গেছ। আমারে দায়িত্ব শিখাইতে আইসো না। আটবছর মুখ বুঁজে সহ্য করছি। আর করব না। কোন দায়িত্বটা পালন করছিলা। তোমার ঘর, তোমার পরিবার সব আমি একা হাতে সামলাইছি। তারপরও ওই সংসার কোনোদিন আমার হয় নাই। আমাদেরও না, ওইটা খালি তোমারই। আমি সিম্পল কেয়ারটেকার ছাড়া আর কিছু কি কোনোদিনও ছিলাম?"

চারপাশে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেদিকে বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই রুমুর। নিজের ভেতরে জমে থাকা আট বছরের যত তিক্ততা, গ্লানি, ক্ষোভ সব ঠিকরে বেরিয়ে আসছে!

পাল্টা আক্রমণের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না লোকটা, সেটা ওর হতভম্ব অভিব্যক্তিতেই প্রকাশ পাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

"রাস্তাঘাটে বাড়াবাড়ি শুরু করছ, মানসম্মান কিছুই তো নাই তোমার। আমারটাও শেষ করতে উইঠা পইড়া লাগছ।"

"মানসম্মান খালি তোমার আছে, আমার নাই? তুমি এত লোকের সামনে যখন আমারে বলতেছিলা, আমার সম্মানের দিকে তাকাইছিলা? কী যেন বলতেছিলা, বাচ্চার খেয়াল? বাচ্চারে এতদিন খেয়াল কে রাখছে?"

রাগে রীতিমতো কাঁপছে রুমু, ক্ষণেক থেমে আবারও বলল,

"তোমার বাপ-মা যেমন আছে, আমারও আছে। আমি আকাশ থেকে টুপ করে পড়ি নাই। আমি তামিমরে নিয়ে যখন আসছি, তারপরেই কল আসে, আম্মারে হাসপাতালে নিয়ে গেছে, পা পিছলে পড়ে গেছিল, পা ভেঙে গেছে। নিজের মায়ের এমন কথা শুনলে সবাই টেনশনে পড়ে যাবে। আমিও গেছিলাম। তোমারে এক্সপ্লেনেশন দেয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই, তাও দিলাম।"

হাঁপাতে হাঁপাতেই বলল,

"তোমার জন্য করুণা ছাড়া এখন আর কিছুই নাই আমার।"

আর একটাও কথা না বলে ছেলের হাত ধরে টেনে নিয়ে হনহনিয়ে বেরিয়ে গেল রুমু। আশেপাশে তাকিয়ে রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে ওর স্বামীও বেরিয়ে গেল।

সবাই যারযার গন্তব্যে পা বাড়াল, রায়ান শুধু বসে থাকল ঘোরগ্রস্ত হয়ে। তামিমের পরিণতি যেন রায়ানের মতো না হয়। রুমু যেন প্রবল শক্তিতে ওই ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে সুখী হতে পারে, এটাই প্রত্যাশা করল মনেপ্রাণে!

..............

বাকিটা আগামী পর্বে

6
$ 0.01
$ 0.01 from @GreenOasis
Avatar for Safwan43
3 years ago

Comments

Nice post dear

$ 0.00
3 years ago

i like reading your story and i am waiting for next part

$ 0.00
3 years ago

খুব সুন্দর করে লিখেছেন অনেক ভালো লাগলো দোয়া করি

$ 0.00
3 years ago

Nice and good post

$ 0.00
3 years ago

Nice aand good poat..i like tk tead your article

$ 0.00
3 years ago

Very Good Article

$ 0.00
3 years ago

Khub sundor Golpo..MashaAllah . Eivabe likhe zan

$ 0.00
3 years ago