# এলাকার_গুন্ডি মেয়ে
# ___পর্ব১ম_____
.
আমি পড়াশোনার জন্য গ্রাম থেকে শহরে এসেছি।শহরের আমার
চেনা তেমন কেউ নেই।এখানে আমার একজন পুরোনো বন্ধু থাকে
আমাকে তার বাসাতেই থাকতে হবে।বাবা মার দুচোখ ভর্তি স্বপ্ন
আমাকে ঘিরে।সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বাসে উঠলাম ঢাকা যাওয়ার
উদ্দেশ্য।প্রায় ৪ ঘন্টা অপেক্ষার পর অবশেষে আমি ঢাকা শহরে
এসে পৌছালাম।বাস থেকে নেমে একটু ফাঁকে এসে একটা
রিক্সা ডাক দিলাম:
.
-- এই যে মামা যাবেন?
.
-- কই যাবেন?
.
-- আমি ঠিকানা বললাম!
.
-- যাবো তবে ১০ টা টাকা বাড়িয়ে দিয়েন!
.
-- আচ্ছা চলেন।
.
আমি রিক্সায় উঠে বসলাম।রিক্সাটা তার আপন গতিতে চলছে।হঠাৎ
পিছন থেকে একটা গাড়ি এসে রিক্সায় লাগিয়ে দিল।গাড়িটা রিক্সার
চাকার সাথে লাগায় গাড়িটার হেডলাইট ভেঙে গেল।ঠিক তখনি
গাড়ি থেকে একটা মেয়ে নেমে আসলো।মেয়েটার পরনে ছিল শার্ট
এবং প্যান্ট।মেয়েটাকে দেখতে ঠিক ছেলেদের মতো লাগছে।
মেয়েটাকে দেখিই রিক্সাওয়ালা ভয়ে থরথর করে কাপতে শুরু
করলো।মেয়েটা গাড়ি থেকে নেমে রিক্সাওয়ালার সামনে এসে
দাড়িয়েই ঠাস করে একটা থাপ্পর মারলো রিক্সাওয়ালার গালে!
.
-- ঠাসসসসসসসসসসস।
.
রিক্সাওয়ালা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।আর নিরবে
দুচোখের অশ্রু ফেলছে।মেয়েটার কান্ড দেখে আমি হা
হয়ে গেলাম।তখন মেয়েটা বললো:
.
-- ওই ফকিন্নির বাচ্চা দেখে রিক্সা
চালাতে পারিস না!(মেয়ে)
.
-- ম্যাডাম আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
(রিক্সাওয়ালা)
.
-- বুঝতে পারিস নি মানে?তোর জন্য আমার
কত টাকা লকশান হয়ে গেল জানিস!
.
-- এখন এই টাকাগুলো কে দেবে তোর বাপ?
.
কথাটা বলেই মেয়েটা দ্বিতীয়বার রিক্সাওয়ালারে থাপ্পর মারার
জন্য হাত তুললো।আমি তখনি মেয়েটার হাত ধরলাম।মেয়েটার
হাত ধরে বললাম:
.
-- এই যে মিস দোসটা ওনার নয় দোষটা
হলো আপনার।(আমি)
.
-- আমার দোস মানে?
.
-- আপনি তো পিছন থেকে
এসে লাগিয়ে দিলেন?
.
-- এইটা আমার এলাকা এখানে আমি যা
ইচ্ছা তাই করবো।
.
-- আপনার এলাকা বলে এই সব নিরহ অসহায়
মানুষদের উপর এভাবে অত্যাচার করবেন?
.
-- আমার এলাকায় কি করবো না করবো সেটার
জবাব আমি কারো কাছে দিতে বাধ্য নয়।
.
কথাটা বলেই মেয়েটা রিক্সাওয়ালাকে দেখিয়ে বললো:
.
-- আর যেন দ্বিতীয়বার এমন না হয়।
মনে থাকে যেন।
.
রিক্সাওয়ালা মাথা নাড়িয়ে বললো:
.
-- আচ্ছা..ম্যাডাম।
.
মেয়েটা চলে গেল।আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম মেয়েটার দিকে।
পরে আমি রিক্সায় উঠে বসলাম।রিক্সাটা সোজা আমার বন্ধুর বাসার
সামনে দাড়ালো।রিক্সা থেকে নেমে আমি ভেতরে যেতেই আমার
বন্ধু সিফাত বললো:
.
-- কি রে দোস্ত.. কেমন আছিস?(সিফাত)
.
-- ভাল তুই কেমন আছিস?(আমি)
.
-- আমিও ভাল আছি। তা তোর আসতে
কোন অসুবিধা নয়নি তো।
.
-- আরে না।
.
-- আচ্ছা তুই ফ্রেস হয়ে আয় আমি
টেবিলে খাবার দিচ্ছি।
.
তারপর আমি সেখান থেকে ওয়াস রুমে চলে গেলাম।ওয়াস রুমে
গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে আমি এবং আমার বন্ধু সিফাত একসাথে বসে
দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলাম।
.
পর দিন বিকালে সিফাতকে নিয়ে একটু চারপাশটা ঘুরে দেখতে বের
হলাম।বাসা থেকে বের হয়ে চার রাস্তার মোড়ে আসলাম।সেখানে
এসে দেখলাম রাস্তার ডান পাশে কালকের সেই মেয়েটা।শার্ট প্যান্ট
পরে একটা বাইকের উপর বসে আছে।আর তার চারপাশে কয়েকজন
ছেলে এবং মেয়ে গোল হয়ে দাড়িয়ে আছে।তাদের সামনে দিয়ে
একটা ছেলে হেটে যাচ্ছে।হঠাৎ মেয়েটা উঠে দাড়িয়ে ইচ্ছা করেই
ছেলেটার সাথে ধাক্কা খেল। ছেলেটার সাথে ধাক্কা খাওয়ার সাথে
সাথে মেয়েটা ঘুরে ওঠে ছেলেটার কালে কসেএকটা থাপ্পর মারলো।
ছেলেটা গালে হাত দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।তখন আমি
আমার বন্ধু সিফাতকে বললাম:
.
-- এটা কি হলো?(আমি)
.
-- কি?(সিফাত)
.
-- মেয়েটা ছেলেটাকে ইচ্ছা করেই ধাক্কা দিল।
তারপরও মেয়েটাই ছেলেটাকে থাপ্পর মারলো!
.
-- ওইটার কথা বাদ দে।এইটা আমাদের এখানে
প্রায়ই হয়।ওইটা আমাদের এলাকার নেতার
মেয়ে।মেয়েটা খুব রাগি একালায় মাস্তানি করে।
.
-- ওরে কেউ কিছু বলে না!
.
-- নেতার মেয়ে বলে কথা ওকে কে
কি বলবে।
.
-- নেতার মেয়ে বলে যা ইচ্ছা তাই করবে??
.
-- কেউ ওর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
তুই পাড়ায় নতুন এসেছিস এখানকার কোন কিছুই
ভালভাবে চিনিসও না।তুই ওর থেকে দুরে দুরে
থাকিস কিন্তুু।
.
-- আচ্ছা।
.
সিফাত আমাকে চারপাশটা ঘুরে দেখালো।দেখতে দেখতে বেলা
গড়িয়ে সন্ধা হয়ে গেল।আমরা দুজনে বাসায় চলে আসলাম।
.
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে হালকা কিছু নাস্তা
করে আমি চললাম কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্য।আজ আমার
কলেজের প্রথম দিন তাই একটু আগেই কলেজে যাওয়ার জন্য
রওনা হয়েছি।কিছুদুর যাওয়ার পর দেখলাম আজও সেই মেয়েটা
চার রাস্তার মোড়ে একটা বাইকে বসে আছে আর তার চারপাশে
কিছু লোক গোল হয়ে দাড়িয়ে আছে।আমি মেয়েটাকে দেখে মাথা
নিচু করে চলে আসতেছি।হঠাৎ মেয়েটা আমাকে ডাক দিল।
.
.
.
.
.
.
.
.
#_____(চলবে)_____
2
32
Good one