#গল্পবেস্টফ্রেন্ডযখনস্বামী
#পর্ব১ম
বাসর ঘরে বসে আছি। খুব বিরক্ত লাগছে। শেষ পর্যন্ত আমাকে বিয়ে করেই ছাড়ল কুত্তাটা। একদিকে মাথা গরম হয়ে আছে সাগরের উপর। তার উপরে পড়নে গর্জেস লাল ভারি ওজনের বেনারসি। রাগে আমার নিজের চুল নিজে ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে। দরজায় খট খট শব্দ হল। মহারাজ কুত্তার আগমন।
.
আমি--- ঐ,ঐ তুই একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবি না। যদি আসিস তাহলে এটা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলবো। (হাতের মোবাইলটা দেখিয়
সাগর--- মহারানীর কি হলো? খুব ক্ষেপে আছে বুঝি।
.
আমি--- চুপ। ঐ কুত্তা তুই আমাকে জোর করে বিয়ে করলি কেন?
.
সাগর--- এহ জোর করে। তুই রাজি ছিলি না তো কবুল বললি কেনো?
.
আমি--- আমি কি জানি? ঐ বুড়ো ব্যাটা বলল, কবুল বল মা। তাই আমি কবুল বলে দিলাম।
.
সাগর--- হা হা হা।
.
আমি--- এই তুই হাসছিস কেনো? আমার সাথে ফাজলামি করিস।
.
সাগর--- আচ্ছা, আচ্ছা হাসব না। এখন আচ্ছা তুমি আমাকে তুই করে বলছ কেনো?
.
আমি--- মাথায় হাত দিয়ে বললাম, কেনো তকে তো সেই ছোটববেলা থেকেই তুই করে ডাকি।
.
সাগর--- তবুও এখন আমরা স্বামী-স্ত্রী। তাই আমরা একজন আরেকজন কে তুমি করে বলল।
.
আমি--- রেগে গিয়ে বললাম, বা*।
.
সাগর--- এই এই এসব কি ধরনের ভাষা। কি খারাপ গালি?
.
আমি--- বেশ করেছি। আমি তকে সব-সময় তুই বলতাম এখন ও তুই বলল। আর আমরা স্বামী-স্ত্রী মানে। তুই আমার বন্ধু সেটাই থাকবি। মনে থাকে যেন। আর যা শুয়ে পড় এখন ঘুমাব। আমার ঘুম পাচ্ছে।
.
সাগর--- আচ্ছা, চল ঘুমিয়ে পড়ি।
.
আমি--- চল, মানে। যা তুই সোফায় শো গিয়ে। আমি বিছানায় শুবো। আর যা আমার জন্য সালোয়ার - কামিজ নিয়ে আস এসব শাড়ি -টাড়ি কেউ পরে নাকি। কি ওজন?
.
সাগর--- মানে, এতো বড় বিছানা থাকতে আমি সোফায় শোব কেনো? আর আজতো আমাদের বাসর রাত।
.
আমি--- তুই আমার মুখ খারাপ করবি না বলে দিলাম। কিসের বাসর হুম? লাত্থি দিয়ে বাসর করা শিখিয়ে দিব।
.
সাগর--- ব্যাচার মন খারাপ করে বলল, আচ্ছা, আচ্ছা এখন আমাকে শুতে দে।
.
আমি--- হ্যা, যা শুয়ে পড়। তকে কেউ ধরে রাখছে নাকি?
.
সাগর--- এই শুন না। আমি না সোফায় শুতে পারি না। বিছানায় শুই।
.
আমি--- শুতে পারিস দুইটা শর্তে।
.
সাগর--- কি? শর্ত! ! তাও আবার দুইটা। বল।
.
আমি--- আমার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা রেখে শুবি। আমি বেশি জায়গা ছাড়া শুতে পারি না। আর আমার শরীরে একদম টাচ করবি না।
.
সাগর--- প্রথম টা মানব। দিত্বীয়টায় একটু গড়মিল আছে। তকে টাচ করলে কি সমস্যা?
.
আমি--- অনেক সমস্যা। আমার কাতুকুতু করে এটাই প্রথম, প্রাধান এবং লাষ্ট (শেষ) সমস্যা।
.
সাগর--- মন খারাপ করে বলল, আচ্ছা। সাগরের মুখ দেখে আমি ফিক করে হেসে দিলাম। সাগর ও হেসে দিলো।
.
সাগর--- আচ্ছা তুই এতো সুন্দরী কেন?হাসলে তোকে এতো সুন্দর লাগে কেন?
.
আমি--- পাম দেয়া হচ্ছে। যা আমার জন্য সালোয়ার - কামিজ নিয়ে আস।
.
সাগর--- পাম না সত্যি বলছি। আর তোকে তো শাড়িতেই সুন্দর লাগে।
.
আমি--- এরকম শাড়ি কেউ পড়ে নাকি? এতো ওজনের যা নিয়ে আয়।
.
সাগর--- আচ্ছা, যাচ্ছি। সাগর আলমারি থেকে একটা বাসন্তি কালারের লঙ কামিজ আর একটা সালোয়ার নিয়ে এল।
.
আমি--- তুই এগুলো পেলি কোথায়?
.
সাগর--- তোর জন্য কিনে রেখেছিলাম। আমি জানি তুই শাড়ি পড়বি না তাই।
.
আমি--- বাব্বাহ! ! এতো কেয়ার। আর তুই এখানে দাঁড়িয়ে কি করিস। যা বাহিরে যা।
.
সাগর--- কেন? আমার সামনে চেঞ্জ করলে কি হয়? আমি তো তোর স্বামী। আমি বালিশ দিয়ে দিলাম ডিল মেরে। সাগর দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। আমি হাসতে লাগলাম। কাপড় চেঞ্জ করে সালোয়ার আর কামিজ পড়ে নিলাম।
.
সাগর--- কিরে আর কতক্ষণ?
.
আমি--- আর একটু...
.
সাগর--- আরে মশা আমাকে নিয়ে উৎসব শুরু করে দিয়েছে। তাড়াতাড়ি কর। আমি তাড়াতাড়ি কাপড় চেঞ্জ করে সাগরকে রুমে আসতে বলে ওয়াস রুমে গেলাম। ফ্রেস হয়ে এসে দেখি সাগর আমার মোবাইল টিপছে। ওও আমার পাসওয়ার্ড জানল কি করে? আমি সাগরের হাত থেকে আমার মোবাইল ছো মেরে কেড়ে নিলাম। কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বললাম।
.
আমি--- তুই বিনা অনুমুতিতে আমার মোবাইল টিপছিলি কেনো?
.
সাগর--- বউয়ের মোবাইল টিপতে আবার অনুমুতি নেওয়া লাগে নাকি?
.
আমি--- দাড়া দেখাচ্ছি মজা তোর স্বামীগিরি বের করছি। বলে ওড়না কোমড়ে পেঁচিয়ে সারা ঘর দৌড়াতে লাগলাম। অনেক খুনশুটি করে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়লাম। সাগর ব্যাচারা এক কোনয় আলতো করে শুয়ে আছে। আর আমি হাত -পা মেলে সমস্ত বিছানা জুরে শুয়ে আছি। মাঝে একটা কোল বালিশ।
।
।
( পরবর্তী পর্ব আসার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন)
#ভুল ক্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন...
Tnxx