কিং ওফ মাফিয়া
পর্ব:-৮
আস্তে আস্তে নীল সন্ত্রাস দলে পুরোপুরি জরিয়ে পড়ে।
নীল প্রথম থেকেই ঠিক করে রেখেছিলো
যে নীল নিজে একদিন বড় হবে।।।তার হাতেই সে সন্ত্রাস দল তৈরি করবে।
নীল সেই সব লোকদের শাস্তি দিবে যাদের জন্য নীলের আজকে এই অবস্থা।
যাদের জন্য নীল তার সবটুকু দিয়ে কাজ করে গেছে,, যাদের জন্য নীল তার বাবা মার কথা শুনে নি।আর আজকে তারাই নীলকে একটু থাকার জায়গা ও দিলো না তারা।
নীলের টালেন্ট থাকায় নীল সবার প্রিয় হয়ে যায়।সব ধরনের কাজ নীল করতে থাকে।
আস্তে আস্তে নীল তার টিম তৈরি করতে থাকে।ওপরে ওপরে ওরা দলের লোক হিসেবে থাকে কিন্তু আসলে ওরা সবাই নীলের লোক।
নীল যখন তার ভিতটা শক্ত করে ফেলে তখন সে ঠিক করে যাদের জন্য নীলের এই অবস্থা তাদের মেরে ফেলবে।
নীল প্রথমে যায় এমপির ছেলেকে মারতে ওর জন্য আজকে নীল ঘরছাড়া।নীল রাজুকে মেরে ফেলে।
তারপর সাকিব ভাই এর পালা।।সাকিব ভাই এর জন্য পার্টির জন্য নীল কি না করে নি।রাত দিন এক করে কাজ করেছে।
তারপরে ও নীলের থাকার জায়গা ও দিলো না।
নীল আর ওর ছেলেরা চলে যায় সাকিব ভাই এর কাছে।
নীল তুই এখানে।কেমন আছিছ।তোকে আমি কত খুজেছি।(সাকিব ভাই অবাক হয়ে বললো,,আর আসল কথা হলো সাকিব ভাই অবাক হওয়ার থেকে ভয়ই বেশি পেয়েছে কারন নীলের সব ছেলেদের কাছে স্নাইপার ছিলো)
আমি এখন ভালো নাই,,একজনকে ওপরে পাঠাবো তারপর থেকে আমি ভালো থাকবো।(নীল)
কে সেই,,তার নাম কি।আর তুই এখানে কি মনে করে আসলি।(সাকিব)
ও হলো সেই লোক যার জন্য আমি সারাদিন কাজ করছি।যার জন্য আমি বাসা ছাড়া হইছি তখন তার কাছে আমি সামান্য থাকার জায়গা চাইতে আসছিলাম সে আমাকে কোনো উপকার করে নি।(নীল)
কে সেই লোক।(তুতলিয়ে বললো সাকিব)
ওই হারামখোরটা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।তার নামটা হলো সাকিব।(নীল)
ত.....তু........তুই কি বলছিছ এসব।(সাকিব)
আমি ঠিক ই বলছি।তোমার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নাই।
নীলের সব ছেলেরা একসাথে স্নাইপার দিয়ে ফায়ার করা শুরু করে দিলো।
ভবলিলা সাংগো।সাকিব ভাই এর সব কিছু শেষ।
নীল আর ওর ছেলেরা সাকিবকে মেরে দিয়ে চলে আসলো।
পরে নীল বুঝতে পারে তার কাজটা করা ঠিক হয় নি।
কারন সাকিব ভাই এর বউ এর ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা ছিলো।
সাকিব ভাই চলে যাওয়ার পরে ওরা অনেক অসহায় হয়ে পড়ে।
সাকিব ভাই এর পরিবার অনেক ভাবে অসহায় হয়ে পড়ে তারা ঠিক মতো সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে না।
সাকিব ভাই এর বৃদ্ধ বাবা মা ছিলো তারা ও ছেলের মৃত্যতে ভেঙে পড়ে।
নীল এগুলো দেখে বুঝতে পারে যে তার এ কাজগুলো করা অনেক বড় অপরাধ হয়ে গেছে।
তার পর থেকে নীল এই রকম হয়ে থাকে।আর কোনো ঝামেলার মধ্যে যায় না।
নীল ঠিক করে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকবে।
কথাগুলা বলে আদিবার বাবা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে।
কথাগুলো শুনে সবাই অবাক হয়ে যায়।
সব থেকে বেশি আবাক হয়ে যায় আদিবা।
কারন আদিবা নীলের সাথে কতো খারাপ ব্যাবহার করেছে তারপরেও নীল কিছু বলে নি।সবকিছু নীল মুখ বুজে সহ্য করেছে।
তাহলে কি নীল ও আমাকে...............।(কথাগুলো ভাবতে ভাবতে আদিবা মুচকি হাসি দেয়)
আমি দশ পর্যন্ত গুনবো এর মধ্যে পুরো কলেজ যেন এমব ভাবে সেজে যায় যেন কিছুই হয়নি।
ওয়ান......
সেভেন.....
....
.......
......
টেন......
সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে নীল চোখ খুলে দেখে।নীল ও ক্লাশে চলে যায়।
সেদিনের মতো সবাই ক্লাশ করার বদলে নীলের দিকেই তাকিয়ে দেখে।
স্যার ও কোনো ভাবে ক্লাশ করে চলে যায়।
নীল ও ক্লাশ করে বাসায় চলে আসে।
আদিবা সারাখন শুধু নীকলে নিয়ে ভাবতে থাকে।
রাতে আদিবার বাবা আসলো বাসায়।
তুমি নীলকে চেনো কিভাবে বাবা।(আদিবা)
তুই ও নীলকে খুব ভালো করে চিনিস.(আদিবার বাবা)
আমি কেমন করে নরলকো চিনি।আমি সেদুন ই নীলকে প্রথম দেখেছি।(আদিবা)
তারপরে আদিবার বাবা যেটা বললো সেটা শুনে আদিবা..................
(কেমন হলো জানাবেন।আপনাদের সারা পেলে পরবর্ত পাঠ দিব)
#stay home.....
#stay save........
0
11