স্পর্শ
পর্ব _০২
জাহান রেগে গেলো আর আমাকে ঝারি খেতে হলো। ঐ যে কথায় আছেনা," যেমন করবে তেমনি পাবে" মানে নিউটনের ৩য় সূত্র টি আরকি।
আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কে বলেছিলো বিয়ের রাতে অন্য মেয়ের সাথে লাউড স্পিকারে কথা বলতে। তবুও অনেকটা দোষ জাহানের ও ছিলো। সে যদি আমাকে না রাগাতো তাহলে এমন কিছুই হতো না।
সালায় আমি ভার্জিন একটা পোলা। যে মেয়েদের দিকে তাকাতোও না। আর সেখানে এই মেয়ে আমাকে বলে,,,,,,,
আচ্ছা যাইহোক। জাহান চলে গেলো। আমি সুয়ে আছি। কিছুক্ষন পরে আম্মু এসে বললো,
--- এই সোন
--- হ্যা বলো আম্মু,
--- আমরা আগামীকাল সকালে গ্রামে চলে যাবো।
--- আচ্ছা আমি র্যাডি হচ্ছি। আর জাহানকে বলো এসে ব্যাগ গুছাতে।
--- আরে আমরা মানে আমি আর তোর আব্বু।
--- মানে আমি কি করবো এখানে?
--- বউকে নিয়ে থাকবি।
বলেই আম্মু চলে গেলো। আর আমার মাথায় কিছু রোমান্টিক চিন্তা ঢুকে গেলো। যেমন,
* আমি শুয়ে আছি এমন সময় জাহান গোসল করে টাওয়াল পরে বের হলো আর এক পা দু পা করে আমার দিকে আসতে লাগলো। আমারতো রীতিমতো অবস্তা টাইট তার ফিগার দেখে। আমি মুগ্ধ ভাবে তাকিয়ে আছি তার দিকে আর সে আমার কাছে এসেই। তার নরম হাত দিয়ে আমার গালে হাল্কা থাপ্পড় মেরে বললো,
--- নটি বয় কি দেখো এভাবে?
--- হুর।
বলেই জাহানকে বুকে টেনে নিতাম। আর অনেক জোরে জরায় ধরতাম। *
এসব ভাবতে ভাবতে একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। ঘোর কাটলো জাহানের ডাকে,
--- ঐ আপনি কোলবালিশ এমনে ধরে রাখছেন কেনো? ছারেন, ছারেন বলতাছি।
সাথে সাথে কোলবালিশ ছেরে দিয়ে তাকায় দেখিলাম। একে বারে কিসস করে যেভাবে ঠিক অম্নেই ধরেছিলাম৷ আর জাহানের মুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ। সুধু রাগ না সাথে কিছুটা হিংসেও ছিলো।
মাথায় আসলো একটা চমৎকার বুদ্ধি। এই মেয়ে কে জব্দ করতে, এর সতিনই সাহাজ্য করতে পারবে। মানে ঐ কোলবালিশ আরকি।
যেমনটা গল্পে লিখতাম। এখন আসল জীবনে চেষ্টা করে দেখি। রাত হলো ঘুমাতে যাবো এমন সময় দেখি জাহান গোসল করে বের হলো,
বাকিটা কি কষ্ট করে বলতে হবে আপনাদের?
আরে এটাতো সবাই জানে। গোসল করে বের হলেই বউয়ের প্রতি মুগ্ধতার একটা দৃষ্টি চলে আসে। আমি খুব কষ্ট করে হলেও নিজেকে কন্ট্রোল করে। কোন রকমে কোল বালিশ টা নিলাম।
দেখলাম তার মুখটা কালো হয়ে আসছে। এবার আমি কোলবালিশটাকে রোমান্টিক ভাবে কোলে করে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলাম। হ্যা আমি বারান্দায় ঘুমাই।
কারন এই মেয়ে আমাকে বিশ্বাস করে না। আর যদি আমি রুকে থাকি তাহলে রাতে ঘুমাতে পারবে বলে মনে হয় না। তার উপরে আজকে যেই কাজ করেছি।
যাইহোক চলে গেলাম আমার ঘুমানোর যায়গায়। আমি খুব রোমান্টিক ভাবে কোলবালিশটাকে ধরে একটা কাথা নিয়ে।
হাল্কা চোখ ফাকা করে দেখলাম। জাহান একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলছে। আমি আরেকটু লবন ছেটানোর জন্যে বেশি জোরে জরায় ধরলাম।
জাহান আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন, আমাকে ১০০০ ফাশি দিকেও তার শান্তি হবে না।
তা যাইহোক আমি আমার মতো করে ঘুমালাম। জাহান কতক্ষন দারায় ছিলো ঠিক জানি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আম্মু আব্বুকে এগিয়ে দিয়ে এসে অফিস গেলাম।
সব কাজ শেষ করে আসতে আসতে একটু বেশি দেরি হয়ে গেলো। আর আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার বিয়ে হয়েছে আর নতুন বউ একা বাসায়। মনে থাকবে কেমনে বলেন?
এখন পর্যন্ত মনে রাখার মতো কিছুই হয় নাই।
আচ্ছা যাইহোক।রাতে বাসায় ফিরলাম ১১ টা ৩০ এ। প্রত্যেক দিনের মতো কলিং বেল বাজালাম। আম্মুকে ডাকলাম। তার পরে মনে পরলো আম্মু তো বাসায় নাই। তাই জাহানকে ডাকলাম, কল দিলাম। কল কেটে দিয়ে মেসেজে বললো।
--- এই বাসায় আপনার যায়গা নাই। এতো রাতে কারো জন্যে আমি দরজা খুলতে পারবো না। যতসব লুচ্চা মানুষ। যান যেই যেই মেয়েদের সাথে অফিসে কথা বলছিলেন তাদের বাসায় জান।
কেনো জানিনা খুব বেশি মাত্রায় রাগ হলো। ফোনটা একটা আছার দিলাম। কিন্তু ফোন ও সালায় বেহায়া তাই ভাঙলোই না। আবার পকেটে নিয়ে বের হয়ে এলাম। বাসা থেকে।
ফোন বন্ধ হয়ে গেছিলো তাই আর অন করি নাই। খুব কষ্ট হলো। তবুও চলে এলাম একটা হোটেলে। রাত পার করার জন্যে। মানে ঘুমিয়ে অন্য কিছু না।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টাকা দিয়ে চলে আসলাম অফিসে। কিচ্ছু খাই নাই সকালে৷ তাই পিওনকে বলে ১ প্যাকেট বিরিয়ানি আনিয়ে খেয়ে নিলাম।
কোনো রকমে দিনটা পার করলাম বিকেল দিকে বাসায় আসলাম। এসে দরজার দিকে তাকিয়ে আমিতো পুরাই অবাক।................
#-To be Continue................
0
19
ধন্যবাদ গল্পের লেখক কে এত সুন্দর একটি গল্প উপস্থাপন করার জন্য। আমার কাছে গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে।