আমার নাম ইমরান হোসেন । আমি সৌদি আরবে অনেক দিন ছিলাম । এখন আমি দেশে কারন একটি মরা মানুষের আত্না আমাকে দেশে পাঠাতে বাধ্য করেছে। আমার সাথে ঘটা সমস্ত ঘটনা তুলে ধরলাম।
আমি সৌদিতে রিয়াদে এক কোম্পানিতে চাকরি করতাম । ভালই বেতন পেতাম আমি। আমি ও আমার এক বাংলাদেশি বন্ধু এক সাথে থাকতাম। কিন্তু সে মাঝ খানে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছিল। আমি তখন একা ছিলাম। শহরের তিন মাইল দূরে ছিল অনেক বছরের পুরানো পুড়ে যাওয়া মসজিদ। সেই মসজিদটি যখন পুড়ে ছিল তখন সেখানের একজন ঈমাম পুড়ে মারা যায়। তার লাশ ছাই হয়ে যায় । তখন থেকে এখন ও মসজিদটি পুড়া অবস্তায় আছে। কেউ ওখানে ঘুরতে যায় বলে শুনিনি। আমাকে আমার বন্ধু ওখানে যেতে মানা করেছিল। কিন্তু আমি ওর কথা না শুনে ভুলটাই করি। আমি মাগরিবের নামাযের পরে সেখানে যাই মসজিদটি দেখতে। আমি প্রায় আধা ঘন্টা ঘরে দেখতে থাকি। দেখতে দেখতে এক সময় আমি মানুষ পুড়া গন্ধ পাই। আমি তখন তাড়াতাড়ি সেখান থেকে আমার মেছের দিকে রওনা হই। এক দের ঘন্টা পর আমার থাকার স্তানে পৌছি। খাওয়ার জন্য আমি রান্না ঘরে যাই । আমি সেখানে যেয়ে দেখি সেই মানুষ পুড়া গন্ধটা আমার সারা রূমে ছড়িয়ে পরেছে। আমি অনেক ভয় পেতে থাকলাম। আমি তখন রান্না না করেই বিছানায় শুতে গেলাম । কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছিল না। অনেক ভয় পেতে শুরু করলাম। অনেক ঘুমাতে চেষ্টা করেও পারলাম না। অবশেষে ছাদে গেলাম একটু দেখি ভাল লাগে কিনা?আমি ছাদে উঠে দেখি ছাদের কোনায় কে যেন সাদা পাঞ্জাবি পড়ে দাড়িয়ে আছে। আমি ভয়ে ভয়ে তাকে জিজ্ঞাস করলাম কে আপনি ?কয়েকবার বলার পর ও কোন উত্তর আসল না। আমি আরেক বার বলতে না বলতেই লোকটা ঘুরে আমার দিকে তাকাল। আমি আর চেহারে দেখে আরো ভয়ে পালাতে চেষ্টা করলাম। কারন তার চেহারায় আস্ত পুড়ে যাওয়ার দাগ ছিল। আমাকে লোকটা ডেকে বলল তুমি তোমার মরার জন্য প্রস্তুত হও। আমি এক দৌড়ে রুমে এসে দরজা আটকিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম । তখন আমার সারা শরীর কাপছে । কোন মতে রাত টা কাটিয়ে আমি সকালে গেলাম হুজুরের কাছে সব কথা খুলে বললাম। তিনি আমাকে দুইটা তাবিজ দিয়ে বলল যত তাড়াতাড়ি পারো দেশে চলে যাও । তোমাকে ও এখানে থাকতে দিবে না। আমি তখনই গেলাম ভিসা করতে । তাছাড়া আমার বাড়িতে আসার জন্য মন ছিল। তাই আমি দেরি না করে দেশে ফিরে এলাম। এখন আমি অনেক ভাল আছি। ধন্যবাদ।
Aponr post ta onk vlo laglo ..this is very wonder full post